অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য

 সকালে কি খেলে গ্যাস হবে নাঅপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আপনি যদি না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জেনে নিতে পারেন। অপরাজিতা খুবই উপকারী এবং শোভা বর্ধণকারী একটি ফুল। আর সেই জন্য এই ফুল সকল লোকের কাছেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
অপরাজিতা- ফুল- কয়- ধরণের- হয়
অপরাজিতা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি তার কার্যকারিতার দিক থেকেও এটি বেশ সুন্দর। এই ফুলে রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। আর এই সব ঔষধি গুণের জন্যই মূলত অপাজিতাকে সবাই একটু বেশী পছন্দ করে। তাহলে চলুন, অপরাজিতা সম্পর্কে এবং এর ফুল সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে নিই।

পেজ সূচিপত্র : অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য

অপরাজিতা গাছটি হলো ফাবেসিয়া গোত্রের একটি উদ্ভিদ। অপরাজিতা হলো একটি লতানো উদ্ভিদ। এটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। অপরাজিতা উদ্ভিদ পাওয়া যেত আগে মালয় উপদ্বীপে। অপরাজিতা ফুলের প্রধান পাপড়ির বাইরের দিকে রং নীল এবং মধ্য স্থলের রং হয় থাকে ফিকে সাদা বর্ণের। এই ফুলের পুংকেশরের সংখ্যা থাকে ১০ টি। অপরাজিতা গাছের ফুল বর্ষা কালে ফোটে। এই ফুল কখনো কখনো সাদা বা বেগুনি বর্ণের ফুলও দেখা যায়। কোনো কোনো অপরাজিতা ফুলের একদম পুরো অংশটাই একেবারে সাদা হয়ে থাকে। অপরাজিতা ফুলের বৃতি সংখ্যা হলো ৫ টি।

অপরাজিতা উদ্ভিদটি অনেক বছর বেঁচে থাকে। অপরাজিতার পাতা গুলো হলো উপবৃত্তাকার, এর পাতা হলো স্থূল। এটি পরিবেশে একটি লতা হিসেবে বৃদ্ধি পায়, তাই এটি একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ।
অপরজিতা- ফুল- কখন- ফোটে
এটির সব চেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর ফুলের রং। একটি শোভাময় উদ্ভিদ হিসাবে, এটি বাড়ির আশে পাশে লাগানো হয়ে থাকে। অপরাজিতা উদ্ভিদটি চাষও করা হয়ে থাকে। অপরাজিতার শিকড় রাইজোবিয়া নামে পরিচিত মাটির ব্যাকটেরিয়া গুলোর সাথে একটি সিম্বিওটিক অ্যাসোসিয়েশন গঠণ করে। যার কারণে বায়ু থেকে গৃহীত নাইট্রোজেন কে উূদ্ভিদ ব্যবহার করতে পারে।

অপরাজিতা ফুল কয় ধরনের হয়

ঔষধি গুণে ভরপুর হলো অপরাজিতা ফুল। এই অপরাজিতা ফুল দুই রকমের হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত নীল অপরাজিতা ও সাদা অপরাজিতা দেখতে পাই আমাদের আশে পাশে। নীল অপরাজিতা ফুলে ঔষধি সাধারণত একটু বেশী হয়ে থাকে। অনেকেই নীল অপরাজিতা ফুলের নীল চা সম্পর্কে অবগত আছেন। প্রতিদিন যদি কোনো ব্যক্তি এই নীল অপরাজিতা ফুলের নীল চা গ্রহণ করে থাকে, তবে সেই ব্যক্তি অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

সনাতন ধর্মের লোক যারা রয়েছে তাদের কাছে অপরাজিতা একটি পবিত্র ফুল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নীল অপরাজিতা ফুল হলো মহাদেবের প্রিয় একটি ফুল, এমনটিই তারা ভেবে থাকেন। শনিদেব সহ আরো অনেক দেবতা এই ফুল অনেক পছন্দ করে থাকেন। অপরাজিতা অনেকেরই ভাগ্য ফিরিয়ে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে, এমন ভাবনা সনাতন ধর্মের লোকেরা করে থাকেন। হিন্দু ধর্মে তুলসীর মতো করে অপরাজিতা ফুলকেও অত্যন্ত শুভ ও সম্মান করা হয়ে থাকে।

সনাতন ধর্মের জ্যোতি শাস্ত্রে এই ফুলকে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদেও অপরাজিতা ফুলের ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে সব দিকে অপরাজিতা গাছ লাগালে, সেই বাড়িতে আর কোনো সমস্যা নাকি প্রবেশ করে না। তন্ত্র শাস্ত্রেও অপরাজিতা ফুলের ব্যবহার রয়েছে। এউ রকম ভাবে আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় অপরাজিতা ফুল কে।

অপরাজিতা ফুলের বিভিন্ন অংশ

অপরাজিতা ফুলটি হলো ফাবেসিয়া গোত্রের একটি উদ্ভিদ। এটি একটি বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। অপরাজিতা গাছ অনেক দিন পর্যন্ত বাঁচে। অপরাজিতা উদ্ভিদের আদি নিবাস হলো মালয় উপদ্বীপে। তবে বর্তমানে এটি এশিয়া মহাদেশের ভারতীয় উপমহাদেশেও পাওয়া যায়। এটি এখন ভারত, বাংলাদেশ সহ আরো অনেক দেশে পাওয়া যায়। অপরাজিতা উদ্ভিদের ফুল গাঢ় নীল কিংবা বেগুণী বর্ণেরও হয়ে থাকে। অপরাজিতা উদ্ভিদের ফুলেই মূলত সবচেয়ে বেশী ঔষধি গুণ রয়েছে।

অপরাজিতা ফুলের প্রধান পাপড়ি বাইরের দিকে থাকে। প্রধান পাপড়ির বাইরের দিকের রং হয়ে থাকে  নীল বর্ণের এবং ভিতরের দিকের মধ্য স্থলে ফিকে সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। অপরাজিতা ফুলের ভিতর পুং কেশরের সংখ্যা থাকে ১০ টি। এই গাছের ফুল গুলো বর্ষা কালে বেশী ফুটে থাকে। অপরাজিতা গাছে কখনো কখনো সাদা বা বেগুনী বর্ণেরও ফুল দেখা যায়। এই গাছের কোনো কোনো ফুল গুলোর ভেতরের দিকেও অনেক সাদা হয়।
অপরাজিতা ফুলে বৃতি সংখ্যা হলো ৫ টি। অপরাজিতার শুঁটি লম্বায় ৮ থেকে ১০ সেন্টি মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই শুঁটির ভিতরে ৬ থেকে ১০ কালো রংয়ের বীজ থাকে। অপরাজিতা গাছের ফল ধরে শীতকালে। অপরাজিতা একটি ঔষধি উদ্ভিদ হিসেবেই সকল জায়গায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

অপরাজিতা ফুল কখন ফোটে

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। গাঢ় নীল ফুল হিসেবে আমাদের সবার কাছে খুব অতি পরিচিত একটি ফুল হলো অপরাজিতা। অপরাজিতা ফুল কে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে বাটার ফ্লাই পি। এই অপরাজিতা হলো পপলিনিসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি ফুল। বাংলায় এই অপরাজিতা ফুল কে বলা হয়ে থাকে নীল কন্ঠ। কেরালায় একে বলে শঙ্খ পুষ্পী। এই ফুল এসেছে মলাক্কা উপদ্বীপ থেকে। টরেনটি বা মালাক্কা থেকে এসেছে বলে এই অপরাজিতা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো ক্লিটোরিয়া টারনেটিকা।

অপরাজিতা ফুল নীল রং ছাড়াও সাদা, হালকা গোলাপী ও হালকা বেগুনী রংয়েরও হয়ে থাকে। অপরাজিতা হলো হালকা লতানো ঝোঁপের ন্যায়। এটি একটি বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ। সবুজ পাতা বিশিষ্ট গাছে সুন্দর দেখতে সিঙ্গেল ও ডাবেল পেটালের ফুল হয়ে থাকে। তবে এই ফুলের কোনো গন্ধ নেই। তবুও রংয়ের বাহারে এবং সৌন্দর্যে এই ফুলটি হলো অন্যন্য। বহু বর্ষজীবী এই লতানোর প্রকৃতির গাছ ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। অপরাজিতা গাছের ফুল ফোটে থাকে বষা কালে। আর এই গাছের ফুল শীত কালে পরি পূর্ণ বীজে পরিণত হয়।

অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। নীল রংয়ের অপরাজিতার রয়েছে অনেক ঔষধি উপকারীতা। এই ফুল দেখতে অনেকটা দীঘল চোখের মতো। প্রকৃতিতে যত সুন্দর কিছু সৃষ্টি হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো এই অপরাজিতা ফুল৷ ফুলের মধ্যে এক অন্যন্য ফুল হলো এই অপরাজিতা ফুল৷ আমাদের দেশে এই ফুল নীলকন্ঠ নামেও পরিচিত। অপরাজিতা তার ঔষধি গুণেও বেশ জনপ্রিয় অবদান রেখেছে। কারণ এই অপরাজিতা ফুলের অসংখ্য ঔষধি গুণ রয়েছে। অপরাজিতা ফুলের চা আমাদের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে বেশ ভালো উপকারী ভুমিকা পালন করে।

হাজারো উপকারিতা রয়েছে অপরাজিতা ফুলে। অপরাজিতা ফুলে চায়ে রেচক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যার জন্য এটি খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া অপরাজিতা ফুলের চা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগও দূর করে থাকে। এই চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
অপরাজিতা ফুলের চায়ে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক ধরণের রাসায়নিক উপাদান। তাছাড়া আরো আছে প্রোনথোসায়াননিডিনস ও কোয়াসের্টিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুলো শরীরের কোষ গুলো কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

নীল চা হাইপার লিপিডেমিয়া বা রক্তে অত্যধিক চর্বি জমা থেকেও রক্ষা করে থাকে। আমাদের শরীরের প্রদাহ কমাতে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করে থাকে অপরাজিতার চা। অপরাজিতা ফুলের নির্যাস আমাদের দেহের কিছু সংখ্যাক কোষ কে অগ্রগতিতে বাধা দেয় এবং চর্বির গঠণ কে ধীর করে দিতে পারে। হতাশা এবং উদ্বগের ভিতরে প্রতিরোধ বাড়াতে পারো নীল চা। অপরাজিতার চা আমাদের শরীরের এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরল কে কমিয়ে থাকে। আর শরীরের এইচ ডি এল বা ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।

অপরাজিতা ফুলের চা খেলে কি হয়

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা হয়েছে। অপরাজিতা ফুলের চা থেকে বিভিন্ন প্রকার উপকার পেয়ে থাকি। অপরাজিতা হলো একটি ঔষধি উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ অনেকেই তাদের বাড়ির আশে পাশে লাগিয়ে থাকে। আর সেই জন্যই অপরাজিতা ফুল খুব সহজেই পাওয়া যায়। লিভারের সমস্যা, অ্যাজমার সমস্যা ও ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় যদি আপনি ভুগে থাকেন, তাহলে আপনি এই অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন। অপরাজিতা ফুলের চা খেলে, এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে অনেক। নীল অপরাজিতার চা এখন বাজারেও পাওয়া যায়। যদি বাজারে পাওয়া না যায়, তাহলে খুব সহজেই বাড়িতে বসে আপনি নীল অপরাজিতার চা বানিয়ে নিতে পারেন।

অপরাজিতা ফুলের চা খাওয়ার ফলে যে সকল উপকার পাওয়া যাবে তার তালিকা গুলো নিম্নে দেওয়া হলো।

১.অ্যাজমা প্রতিরোধে অপরাজিতা
অপরাজিতায় বিদ্যমান থাকে স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনয়িড যৌগ। আর এই উপাদান গুলোই অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। অ্যাজমায় যে সকল রোগী গুলো ভুগছেন, তারা অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন।

২. ক্যানসার প্রতিরোধে অপরাজিতা
ক্যানসারের মতো জটিল একটি রোগ প্রতিরোধেও অপরাজিতার কথা চলে আসে। কারন অপরাজিতায় বিদ্যমান থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। অ্যান্থোসায়ানিন নামক এই উপাদান মানব দেহে ফ্রী রেডিকেল উৎপাদনে বাধা প্রদান করে থাকে। যা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

৩. স্মৃতি শক্তি বাড়াতে অপরাজিতা
অ্যালঝেইমার বা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে ভুমিকা রাখে এই অপরাজিতা। তাই অপরাজিতা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে ব্যবহার করেন অনেক চিকিৎসায় নানা চিকিৎসকগণ। তাই আপনার স্মৃতি শক্তি জনিত কোনো সমস্যা থাকলে আপনি অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন।

৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় অপরাজিতা
অপরাজিতা রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমায়। তাছাড়া কোলেস্টেরল ও এলডিএলের পরিমাণও কমিয়ে থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এগুলো যেহুতো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই অপরাজিতা এগুলোর পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।

অপরাজিতা গাছ বাড়ির কোন দিকে লাগানো উচিত

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। অপরাজিতা গাছ হলো একটি ভেষজ ঔষধি গাছ। অপরাজিতা কে ইংরেজিতে ক্লিটোনা টারনেটা বলা হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদটি ভারতে একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসাবে গণ্য করা হয়। এই ধরণের উদ্ভিদ গুলো কে প্রতিদন পার্থনায় ব্যবহার করা হয়। অপরাজিতা হলো একটি সবল উদ্ভিদ, লেবু জাতীয় লতানো একটি উদ্ভিদ এবং গোঁড়া থেকে পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতো পারে। এই উদ্ভিদটি হলো একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ উদ্ভিদ খুবই কম খরচে জন্মানো যায়। অপরাজিতা উদ্ভিদটি চরণ ভূমি হিসাবে মূল্যায়ন করা হয়, কারন এটি পশু খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অপরাজিতা বীজ রোপণের উপযুক্ত সময় হলো মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝে। আপনাট বাড়িতে অপরাজিতা উদ্ভিদ জন্মানোর ক্ষেত্রে নিম্ন উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করুন।
  • একটি পাত্র নিন এবং সেখানে ৪০০" পর্যন্ত মাটি নিন।
  • ঐ পাত্রের মিশ্রণে বীজ ছিটিয়ে দেন।
  • প্রত্যেকটা বীজের মধ্যবর্তী দূরত্ব রাখবেন ১ থেকে ২ ইঞ্চি করে। যাতে পরে রোপণের সময় চারা গুলো টেনে বের করা সহজ হয়।
  • বীজ গুলো কে ভালো করে জল দেওয়ার আগে পাত্রের মিশ্রণটি কে একটি পাতলা স্তর দিয়ে ঢেকে দিন। পাত্রটিকে এমন একটি জায়গায় রাখবেন, যেখানে কিছু মাত্র সূর্যের আলো পাওয়া যাবে।
  • মাটি যখন শুকিয়ে যাবে, তখন জল দিবেন। অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে বা পানি দিলে সমস্যা হতে পারে।
  • অন্কুরোদগম সময় সাধাণত ১ থেকে ২ সপ্তাহ হয়ে থাকে। আপনি ১৮ থেকে ২০ দিনের মাঝে বেশ কয়েকটি পাতা সহ চারা দেখতে পাবেন।

অপরাজিতা কি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনেছি। অপরাজিতা হলো একটি ঔষধি ভেষজ উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদ আমাদের বিভিন্ন অপসারণ করতে সাহায্য করে। নীল অপরাজিতার চা খেলে আপনি ডায়াবেটিস রোগ থেকে অনেক উপকার পেতে পারবেন। তাই নীল অপরাজিতা ফুলের চা খেলে আপনি বেশ ভালো একটা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।

অপরাজিতা বীজ কখন বপণ করতে হয়

অপরাজিতা হলো বহু বর্ষজীবী একটি উদ্ভিদ। এটি অনেক লতানো ধরণের হয়ে থাকে। অপরাজিতা উদ্ভিদের বীজ মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে রোপণের উপযুক্ত সময়।
অপরাজিতা- ফুলের- উপকারিতা
আপনি যদি অপরাজিতা উদ্ভিদের বীজ রোপণ করতে চান, তাহলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী বীজ রোপণ করতে পারেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানতে পেরেছি অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আশা করি সবাই বেশ ভালো ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনার মন্তব্য জানিয়ে যাবেন পাশাপাশি এটি শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url