ইসমে আজমের গুরুত্ব
বিশেষ করে আল্লাহতালার কাছে আমাদের মনের ইচ্ছা গুলো পূরণ করানোর জন্য ইসমে আজম পাঠ করে তারপরে দোয়া করতে হবে। সেই জন্য বিস্তারিত ভাবে ইসমে আজমের গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ ইসমে আজম পাঠ করার গুরুত্ব বিস্তারিত জানুন
- ইসমে আজমের গুরুত্ব
- ইসমে আজম কাকে বলে
- ইসমে আজম কোন সূরায় রয়েছে
- কোন সময় ইসমে আজম পড়তে হয়
- কিভাবে পড়তে হয় ইসমে আজম
- কতবার ইসমে আজম পড়তে হয়
- ইসমে আজম আরবিতে
- ইসমে আজম পাঠ করলে কি হয়
- প্রতিদিন ইসমে আজম পাঠ করার গুরুত্ব
- আমাদের শেষ কথা
ইসমে আজমের গুরুত্ব
ইসমে আজমের গুরুত্ব না জানার কারণে এই আমলটির বিষয়ে আমরা অবগত নয়। মুসলিম হিসেবে আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি আল্লাহতালাকে খুশি করার জন্য। সাধারণত প্রতিনিয়ত আমল করতে হয় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইসমে আজম। এর গুরুত্ব যদি আপনি জেনে রাখতে পারেন তাহলে আপনার জন্য আমলগুলো করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ আজ আরবি মাসের কত তারিখ জানুন
বিভিন্ন হাদিস দ্বারা এদের মধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে ইসমে আজমের গুরুত্ব কত বেশি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ব্যাপারে বেশ কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। যদি এই আমলটার গুরুত্ব না থাকতো তাহলে কখনোই এই বিষয়ে আমাদের প্রিয় নবী কিছু বলতেন না। মানুষ হিসেবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের চাওয়া পাওয়া রয়েছে। আর এই চাওয়া পাওয়া গুলো আমরা আল্লাহ তালাকে বলে থাকি।
মহান আল্লাহতালা ছাড়া আমাদের এইগুলো অন্য কেউ পূরণ করতে পারে না। আপনি যদি আপনার মনের চাওয়া পাওয়া গুলো পূরণ করতে চান আপনাকে প্রথমেই আল্লাহতালার কাছে তওবা করতে হবে এবং সকল ধরনের খারাপ কাজ করতে হবে। এরপরে ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহতালার কাছে নিজের মনের ইচ্ছাগুলো প্রকাশ করতে হবে। আশা করা যায় আল্লাহ তা'আলা এই ইচ্ছা গুলো পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
ইমাম আবু জাফর তাবারি রহঃ ও আবুল হাসান আশআরি রহঃ বলেন, আল্লাহ তাআলার প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত। একবার প্রিয় নবী সাঃ একজন ব্যক্তির কাছ দিয়ে গেলেন। সে বলছিল, "ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম" অর্থাৎ হে মহিমাময় ও মহানুভব। নবীজি সাঃ বলেন, এসব শব্দ দিয়ে দোয়া করার দরুন তোমার জন্য আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতার দরজা খুলে গেছে। এখন তুমি যা ইচ্ছা তার কাছে চেয়ে নাও। {কানযুল উম্মালঃ পৃষ্ঠা ১/২৯২}
ইসমে আজম পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে মনের ইচ্ছা পূরণে দোয়া করলে তিনি অবশ্যই তার বান্দার মনের নেক ইচ্ছাগুলো পূরণ করে দেয়। সেহেতু একজন মুমিন মুসলমানের উচিত নিজেদের কল্যাণকর বিষয়গুলো আল্লাহতালার কাছে চেয়ে নেওয়া এবং নিয়মিত ইসমে আজম পাঠ করা। আশা করা যায় আল্লাহ তা'আলা আমাদের এই মনের চাওয়া পাওয়া গুলো খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের কল্যাণকর হলে তা পূরণ করবেন।
ইসমে আজম কাকে বলে
ইসমে আজম কাকে বলে? আপনাকে প্রথমে এই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ইসমে আজম সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। শুধু জেনেছে এই আমলটি করলে আল্লাহ তায়ালা মনের ইচ্ছা পূরণ করে থাকে। আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি যে প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি আল্লাহতালাকে সন্তুষ্ট করার জন্য। এই আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম আমল হলো ইসমে আজম।
ইসমে আজম বাংলা কোন শব্দ নয়। এই দুইটি শব্দের প্রথম অংশ ইসমে এর অর্থ হলো নাম এবং আজম এর অর্থ হল শ্রেষ্ঠ। তাহলে এই দুইটি শব্দের অর্থ দাঁড়ায় শ্রেষ্ঠ নাম। আমরা জানি যে আল্লাহ তাআলার অনেকগুলো নাম রয়েছে আর এই নামগুলোতে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা এবং তার মহত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। ইসমে আজম অর্থ হলো আল্লাহ তায়ালার শ্রেষ্ঠ নাম সমূহ।
ইসমে আজম কোন সূরায় রয়েছে
ইসমে আজমের গুরুত্ব সম্পর্কে ইতিমধ্যেই জেনেছি। কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহতালার প্রশংসা নিয়ে বেশ কিছু আয়াত রয়েছে। আপনি যদি ইসমে আজম আমলটি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আগে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে পবিত্র কোরআনের কোন আয়াতে এবং কোন সুরাতে ইসমে আজম রয়েছে? বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুরার মধ্যে আল্লাহতালার প্রশংসা করে ইসমে আজম উল্লেখ করা হয়েছে।
- প্রথম ইসমে আজম অবস্থিত পবিত্র কোরআনের সবথেকে বড় সূরা সূরা বাকারার ১৬৩ নম্বর আয়াত। সাধারণত এখানে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা এবং তার মহত্ব প্রকাশ করা হয়েছে।
- এরপরে সূরা পবিত্র কোরআনের আরও একটি বড় সূরা সূরা আল ইমরানের প্রথম আয়াতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা এবং মহত্ব প্রকাশ করা হয়েছে।
সাধারণত এই দুইটি আয়াতকেই ইসমে আজম বলা হয়। আমরা যেহেতু জেনেছি এই আমলটি করলে আল্লাহ তা'আলা আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে থাকেন সেহেতু আমাদের উচিত পবিত্র কোরআনের এই দুইটি সূরার এই দুইটি আয়াত নিয়মিত পাঠ করা। এতে করে আমাদের মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ হয়। বিশেষ করে ইচ্ছা গুলো যদি আমাদের জন্য মঙ্গল হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেগুলো আমাদেরকে দিয়ে থাকেন।
কোন সময় ইসমে আজম পড়তে হয়
কোন সময় ইসমে আজম পড়তে হয়? খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। যারা নিয়মিত এই আমল গুলো করতে থাকে সাধারণত তারা খুব ভালোভাবেই জানে। তবে যারা নিয়মিত এই আমল গুলো করে না অথবা প্রথমবার এই আমলগুলো করতে চাই সাধারণত তাদের জন্য ইসমে আজম কোন সময় পড়তে হয়? এ বিষয়টি ভালোভাবেই জানতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো করার বেশ কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।
আমরা যদি এই সময়ের মধ্যে আমলগুলো করতে পারি তাহলে আল্লাহ তাআলা এই আমলের গুরুত্ব বেশি দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে আমরা যখন আল্লাহতালার সবথেকে নিকটে থাকি তখন আমাদেরকে এই আমলগুলো করতে হবে এতে করে আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমলগুলো গ্রহণ করবেন। অথবা আপনি চাইলে যে কোন সময় এই আমল গুলো করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে পারবেন।
তবে আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে আমরা যখন নামাজ আদায় করি তখন আমরা আল্লাহ তাআলার সবথেকে নিকটে অবস্থান করি। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নামাজ আদায় করার পরে ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করা। বিশেষ করে আমরা যখন ফজরের নামাজ আদায় করি এরপরে এবং মাগরিবের নামাজের পরে ইসমে আজম পড়ে মনের ইচ্ছাগুলো আল্লাহ তাআলাকে বলতে হবে।
কিভাবে পড়তে হয় ইসমে আজম
ইসমে আজমের গুরুত্ব প্রতিটি মুসলিমের জানা উচিত। কারণ বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। আর এই সমস্যাগুলো একমাত্র আল্লাহ তা'আলা ছাড়া অন্য কারো সাধ্য নেই সমাধান করার। যেহেতু ইসমে আজম পড়লে আমাদের মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ হয় সেহেতু আমাদের মনের ইচ্ছা এবং বিভিন্ন ধরনের বিপদ আপদ থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে ইসমে আজম করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে কোন সময় আপনি ইসমে আজম পাঠ করবেন? প্রথমে আপনাকে ফরজ ইবাদত গুলো আদায় করে নিতে হবে বিশেষ করে ফরজ নামাজগুলো। ফরজ নামাজ আদায় করার পরে যায় নামাজে বসে থেকে ইসমে আজম পাঠ করতে হবে কয়েকবার। নির্ভুলভাবে পাঠ করার পরে আল্লাহতালার দরবারে হাত তুলে আমাদের মনের আশা আকাঙ্ক্ষা গুলো শেয়ার করতে হবে।
আপনি যদি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের নেক ইচ্ছাগুলো পূরণ করবেন। বিশেষ করে আপনার জন্য যদি সেটি কল্যাণকর হয় তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা ইচ্ছাগুলো পূরণ করবে। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।
কতবার ইসমে আজম পড়তে হয়
কতবার ইসমে আজম পড়তে হয়? এ ধরনের প্রশ্ন শোনা যায়। বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক বার করতে হয়। সাধারণত তাই যারা ইসমে আজম এই আমলটি করতে চাই তাদের মনের মধ্যে এই ধরনের প্রশ্ন আসে। আপনার সুবিধার্থে একটি বিষয় বলে রাখি যে ইসমে আজম কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক বার পড়তে হয় না। আপনি যত খুশি ততবার এই আমলটি করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
সাধারণত ইসমে আজম শব্দের অর্থ হলো আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ নাম সমূহ। এখানে সব সময় আল্লাহতালার প্রশংসা এবং আল্লাহতালার মহত্বের বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়। কেউ যদি আল্লাহতালার উপর প্রশংসা করে তাহলে আল্লাহতালা তার উপরে অনেক বেশি খুশি হয়। আপনি নিঃসন্দেহে আপনার যত খুশি ততবার এই আমল করতে পারেন। যত বেশি পড়বেন আল্লাহ তায়ালা আপনার উপরে তত বেশি খুশি হবে।
ইসমে আজম আরবিতে
ইসম আজম আরবিতে পড়তে হবে। আমরা বাঙালি হিসেবে আরবি পড়াতে অনেক দুর্বল হয়ে থাকি। কিন্তু আল্লাহতালার কাছে মনোনীত ভাষা হলো আরবি। তবে এমনটা নয় যে আল্লাহ তা'আলা আমাদের বাংলা কথা বোঝেন না। আল্লাহ তায়ালা হলো অন্তর্যামী আল্লাহ তা'আলা জানে না পৃথিবীতে এরকম কোন বিষয় এবং ভাষা নেই। আপনারা যারা এই আমলটি করতে চান তাদের জন্য ইসমে আজম আরবিতে উল্লেখ করা হলো।
আরবিঃ وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ ওয়া ইলাহুকুম ইলাহু ওয়াহিদ, লা ইলাহা ইল্লা হুয়ার রহমানুর রহিম।
অর্থঃ আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্য আল্লাহ। তিনি ব্যতীত আর কোন সত্যিকার উপাস্য নেই, তিনি পরম করুণাময়, অতিশয় দয়ালু।
আরবিঃ اللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۙ الۡحَیُّ الۡقَیُّوۡمُ
উচ্চারণঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহহুয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম।
অর্থঃ আল্লাহ তিনিই, যিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সমগ্র জগতের নিয়ন্ত্রক।
ইসমে আজম পাঠ করলে কি হয়
ইসমে আজম পাঠ করলে কি হয়? উপরে আলোচনায় এই বিষয়টি আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। সাধারণত আমরা আমাদের মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করার জন্য আল্লাহ তাআলাকে খুশি করতে বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি। এই আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হল ইসমে আজম। এই বিষয়ে যারা ধারণা রাখেনা সাধারণত তারাই এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা অর্থ সহ পড়ুন
আপনি যদি চান আপনার মনের ইচ্ছা গুলো আল্লাহর দ্বারা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করুক তাহলে আপনার উচিত অন্যান্য আমল পাশাপাশি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে বিশেষ করে ফজরের এবং মাগরিবের নামাজের পরে ইসমে আজম পাঠ করে আল্লাহতালার কাছে আপনার মনের ইচ্ছা গুলোর কথা বলা। পবিত্র কুরআনের বেশ কিছু আয়াতে ইসমে আজম অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে আপনাকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহতালার প্রশংসা হতে হবে একেবারেই অন্তরের ভিতর থেকে কখনোই লোক দেখানো অথবা নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করার জন্য বললে হবে না। আপনাকে প্রথমে সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আল্লাহতালার কাছে তওবা করতে হবে। এর পরেই ইসমে আজম পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।
প্রতিদিন ইসমে আজম পাঠ করার গুরুত্ব
প্রতিদিন ইসমে আজম পাঠ করার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের আমল করে থাকি। এই আমলগুলো করার পাশাপাশি প্রতিদিন ইসমে আজম পাঠ করতে হবে। অনেকেই মনে করে থাকে একদিন ইসমে আজম পাঠ করলাম এরপরে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলাম তাহলে আমাদের দোয়াগুলো কবুল হয়ে গেল। আসলে বিষয়টি এরকম নয়। আপনাকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে ইসমে আজম পাঠ করতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে মহান আল্লাহতালা নিজের প্রশংসা শুনতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি আমাদেরকে লালন পালন করেন। তাছাড়া আমাদের শরীর সুস্থ রাখেন এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করা প্রতিনিয়ত। তাই প্রতিদিন ইসমে আজম পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আমাদের শেষ কথা
ইসমে আজমের গুরুত্ব আশা করি জানতে পেরেছেন। আপনি যদি এই আমলটি করতে চান তাহলে আপনার উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে এই আমলটি করা। আল্লাহতালার কাছে এই আমলের গুরুত্ব অনেক বেশি তাই আপনি যদি এই আমল করে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার দোয়া কবুল হবে। তাই এখন থেকেই এই আমল করা শুরু করুন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url