ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম

 চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতাইলিশ মাছ ধরার মৌসুম সম্পর্কে যারা জানেন না, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনি কখন মাছ ধরতে পারবেন না, কখন আপনি মাছ ধরতে পারবেন ইত্যাদি সকল বিষয় নিয়ে।
ইলিশ- মাছ- কোথায়- পাওয়া- যায়

ইলিশ মাছ সবারই পছন্দের একটি খাবার। কিন্ত এই মাছ ধরা নিয়ে সরকারের কিছু আইন রয়েছে। এই গুলো না মানলে আপনার জেল জরিমানা হতে পারে। তাই এই বিষয় গুলো নিয়ে আপনি ভালো ভাবে না জানলে জেনে নিতে পারেন এই লেখার মাধ্যমে। তাহলে চলুন জেনে নিই ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে।

পেজ সূচিপত্র : ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম

ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম

বাংলাদেশ হলো কৃষি প্রধান একটি দেশ। এই দেশের ৮০ শতাংশ লোক জনই কৃষিজনিত বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। আমাদের দেশের জাতীয় মাছ হলো ইলিশ মাছ। নোনা পানির এই মাছ একটা নির্দিষ্ট সময়ে তার প্রজননের কাজে মিঠা পানিতে চলে আসে। আর তখনই যারা জেলে রয়েছেন, তাদের জাল নিয়ে নেমে যান পার্শ্ববর্তী নদীতে। এই ইলিশ মাছ কে ধরার জন্য। আর ঠিক এই সময়ই ইলিশ মাছ বেশী ধরা পড়ে জেলেদের জালে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সময়টায় ইলিশ মাছ ধরা কি অপরাধ নাকি ঠিক। ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম সম্পর্কে না জানলে আপনার ক্ষেত্রে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখাটা কতটা জরুরি, তা আপনি তখন বুঝতে পারবেন যখন অসময়ে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে আইনি লোকের হাতে পড়বেন।

ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় একটি। অন্য মাছ গুলোর তুলনায় এই মাছের চাহিদা শুধু আমাদের দেশেই নয় বরং বিশ্ব ব্যাপী অনেক পরিমাণ। তাই জেলেরাও অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার লোভে এই মাছ ধরে থাকে। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য পাগল৷ এই ইলিশ মাছ প্রত্যেকটা বাঙালিই অনেক বেশী পরিমাণ পছন্দ করে থাকে।
ইলিশ- মাছের- রেসিপি
বরিশাল সহ দক্ষিণ উপকূলবর্তী যে এলাকা গুলো রয়েছে সেখানকার নদনদী গুলোতে বেশী পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়। তবে বাস্তবতা হলো যে, গত কয়েক বছর ধরে এই সব নদীতে যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কথা সেই পরিমাণ ইলিশ মিলছে না। পহেলা জুলাই সাধারণত ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ৯ ইঞ্চির কমে কোনল জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

এখন যে কোনো আকারের ইলিশ ধরার কোনো বাধা নেই। গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ আহরণ করার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে আগামী ২৩ জুলাই। এই সময়ের পর থেকে নদী ও সাগর সকল স্থানে ইলিশ মাছ আহরণ করা যাবে। প্রজনন মৌসুম হিসাবে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা ও আমাবস্যা মাঝে রেখে অক্টোবরের মাঝামাঝি পরবর্তী ২২ দিন এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকতে পারে।
সেই হিসাব অনুযায়ী আগামী তিন মাস ইলিশ আহরণ করা যাবে। এই সময়ই হলো ইলিশ মাছ ধরার মূল মৌসুম। ইলিশ মাছের প্রধান বিচরণ ক্ষেত্র হলো বরিশাল ও ভোলা জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা।

অর্থনীতিতে ইলিশ মাছের অবদান

ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবেই জেনেছি। দেশের অসংখ্য জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, বিভিন্ন কর্ম সংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য মোচন ও রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদের মাধ্যমে। তা ছাড়া দেশের আর্থ সমাজিক উন্নয়ন সহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান হলো ১২ দশমিক ২২ শতাংশ পর্যন্ত। এর বাজার মূল্য হলো ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশী পরিমাণ৷ বিশ্বের ১১ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ইলিশ মাছ উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশ। বিশ্বের যে পরিমাণ ইলিশ মাছের দরকার হয়ে থাকে তার ৭০ শতাংশ যোগান দিয়ে থাকে বাংলাদেশের ইলিশ।

বাঙালির এই অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার এতো দিন দেশের মানুষ স্বপ্ব দেখতো। কারন স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনা সুদীর্ঘ ষোলো বছর ভারত কে দাম মাত্র মূল্যে ইলিশ খাইয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ইলিশ মাছ নিয়ে ছিল হাহাকার। এই মাছের দাম এই দেশেই ছিল আকাশচুম্বী। দেশের মধ্যবিত্ত পারিবার গুলোই ইলিশ খাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারতো না। তবে বর্তমানে ড. ইউনূস স্যারের আমলে এই মাছ ভারতে রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। তবে বাজারের যে সিন্ডিকেট রয়েছে এখনো কমেনি। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই সাধারণ মানুষ গুলোর হাতের লাগালে ইলিশ মাছের দাম চলে আসবে।

দেশে বিদেশে ইলিশ মাছের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে মৎস্য একক ভাবে ইলিশের অবদান হলো সবচেয়ে বেশী। এই মাছ উৎপদানে বাংলাদেশ হলো একটি রোল মডেল এবং পৃথিবীর প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এর অধিক পরিমাণ ইলিশ আহরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ খ্যাত। বাংলাদেশ ৬.৭১ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরণ করে থাকে এবং এর জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। সরকারের নামমুখী উদ্যোগে ইলিশের উৎপদান বেশ বেড়েছে।
২০০৮ থেকে ২০০৯ অর্থ বছরে ইলিশ মাছের আহরণ ছিল ২ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক্স টন পর্যন্ত। ২০২২ ও ২৩ অর্থ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টন পর্যন্ত। তথ্য অনুযায়ী এই ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত।

ইলিশ কোথায় বেশী পাওয়া যায়

ইলিশ হলো লবণাক্ত জলের একটি মাছ। কিন্তু প্রজনন ঋতুতে তাকে আসতে হয় মিঠা পানিতে। ইলিশ হলো অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রীষ্ম মন্ডলীয় মাছ। বঙ্গোপসাগরের বদ্বীপ অঞ্চল, পদ্মা ও মেঘনাতে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়৷ মোহনার হাওড় থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ ধরা হয়ে থাকে। এই মাছ সমুদ্রে থাকলেও ডিম দেওয়ার সময় হলে এটি নদীতে চলে আসে এবং ডিম দেওয়ার পরে এটি আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। তা ছাড়া ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়ার পরে বাচ্চা বা ইলিশ মাছের পোনা গুলোও চলে যায় আবার সমুদ্রে। এরা বংশ বিস্তার এর জন্য সমুদ্র থেকে ১২০০ কিমি পথও অতিক্রম করে আসে।

বাংলাদেশ নদী গুলোর সাধারণ দূরত্ব হলো ৫০ কিমি থেকো ১০০ কিমি এর মধ্যে হয়ে থাকে। ইলিশ মাছ হলো নোনা জলের মাছ৷ সাধারণত বড় নদী ও মোহনায় সংযুক্ত খালে বর্ষা কালে এটি পাওয়া যায়। এই সময় ইলিশ মাছ ডিম পাড়ার জন্য সমুদ্র থেকে চলে আসে মিঠা পানিতে। জেলেরা তখন জাল নিয়ে নদীতে যায় এবং জাল ফেলে মাছ ধরে৷ ভোলা জেলার তজমুদ্দিনে মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সর্বাধিক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। ভোলা জেলা হলো ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত।

ইলিশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রেসিপি

ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবে জানতো পেরেছি। বাঙালি হলো ইলিশ প্রিয়। তারা ইলিশ মাছের বিভিন্ন রেসিপি অনেক বেশী পরিমাণ পছন্দ করে থাকে। ইলিশ দিয়ে তৈরি করা কিছু রেসিপি নিচে বর্ণনা করা হলো :

১. ইলিশ তিলোত্তমা

প্রয়োজনীয় উপকরণ : ৪ পিস ইলিশ, সরষে ১ টেবিল চামচ, পোস্ত ১ টেবিল চামচ, সাদা তিল ১ টেবিল চামচ, হাফ কাপ টমোটো কুচি, ৩ থেকে ৪ চেঁরা কাঁচা লঙ্কা, হাফ চামচ হলুদ গোঁড়া, হাফ চামচ লঙ্কা গুড়ো, নুন চিনি প্রয়োজন অনুযায়ী, হাফ কাপ সরষে তেল, হাফ কাপ জিরা।
ধাপ সমূহ : 
  • প্রথমে মাছ গুলো ভালো ভাবে ধুয়ে নিন ও হলুদ মাখিয়ে নিন।
  • এরপর সরষে, পোস্ত, সাদা তিল, জিরা এক সঙ্গে বেটে নিন। এবার মাছের উপর ঢেলে দিন বাটা মশলা।
  • এবার সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে নিন৷ পরে ১৫ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এরপর কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন।
  • এবার কালো জিরা ফোড়ন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিন। নুন চিনি আন্দাজ করে দিয়ে দিন।
  • এরপর উপর থেকে সরষে তেল ও চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে বসি নিন।
  • এরপর গ্রেভি ঘন হয়ে উপর থেকে সরষে তেল নামিয়ে নিন।
২. পুঁটি ইলিশ ঝোল

প্রয়োজনীয় উপকরণ : ২ টি ইলিশ মাছ, ১০০ গ্রাম পুঁটি মাছ, ১ টি বেগুন ও আলু, ৩ টেবিল চামচ আদা জিরা বাটা, ২ টেবিল চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা, ২/৩ টা কাঁচা মরিচ, পরিমাণ মতো সর্ষে তেল, পরিমাণ মতো পানি, স্বাদ মতো লবণ, ২ চামচ হলুদ গোড়া, ফোড়নের জন্য ১ চামচ গোটা জীর, ১ টি শুকনো মরিচ, ২/৩ টি তেজপাতা।

ধাপ সমূহ :
  • মাছ কেটে ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে নিতে হবে। বেগুন আলু কেটে ধুয়ে নিতে হবে।
  • কড়াইয়ে তেল দিয়ে আলু, বেগুন ভাজতে হবে৷ একটু ভাজা হয়ে গেলে সব মশলা লবণ, হলুদ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে মিডিয়াম হিটে ৪ থেকে ৫ মিনিট। তারপরে পানি দিতে হবে। এবার একটু ফুটলে লবণ, পানিতে মিশিয়ে রাখা সব মাছ দিতে হবে ও ২ থেকে ৩ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে।
  • সব শেষে নামিয়ে নিন ও ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
৩. খোকা ইলিশের তেঁতুল টক

প্রয়োজনীয় উপকরণ : ৪ পিস খোকা ইলিশ, ১ টা আম ফলসি ও ১ টেবিল চামচ তেঁতুল, হাফ চামচ করে পাঁচ ফোড়ন ও সর্ষে, ২ চামচ সাদা তেল, ১ চামচ হলুদ, ১ টা কাঁচা মরিচ, ১ টা শুকনো মরিচ, প্রয়োজন অনুযায়ী লবণ, ১ চামচ চিনি, ১ চামচ কাশ্মীরি মরিচ, ৪ গোট রসুন।

ধাপ সমূহ :
  • প্রথমে মাছ ভালো করে ধুয়ে, হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।
  • কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে মাছ গুলো কে ভেজে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে।
  • কড়াই বসিয়ে ফোড়ন দিতে হবে, ফোড়ন হলো মাছ দিয়ে নুন, হলুদ, মরিচ দিয়ে এ পিঠ ও পিঠ করে নিতে হবে। একটা ছোট বাটিতে সামান্য গরম হলে ফলসি ও তেঁতুল ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • মাছ গুলো ভালো হলে জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে।
  • টক প্রায় হয়ে গেলে চিনি দিয়ে অফ করে দেওয়া হবে।

বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ইলিশ মাছ

ইলিশ হলো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। পয়েলা বৈশাখে পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বিয়ের সময় ইলিশ তাতওয়া উপহার হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক বাঙালি হিন্দু পরিবার পূজার সময় জোড়া ইলিশ মাছ কিনে। পাল্লো মাচি নামক ইলিশ মাছ সিদ্ধি রন্ধনশিলের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ইলিশের বাসস্থান কোথায়

ইলিশ হলো নোনা জলের একটি মাছ। ডিম পাড়ার সময় এই মাছ চলে স্বাদু পানিতে। বর্ষা কালে এর ডিম পাড়ার সময় হয়।
ভোলা জেলায় এই মাছ বেশী পরিমাণ পাওয়া যায়। এই জেলা হলো ইলিশের জন্য বিখ্যাত৷ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইলিশ ধরা পড়ে বরগুনা জেলায়। বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

ইলিশ উৎপাদনকারী শীর্ষ দেশ

ইলিশ উৎপাদন করা হয়ে থাকে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে। তার মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও চীন সহ আরো কয়েকটি দেশ। তবে তারা ইলিশ উৎপাদন করো বিশ্বে যত পরিমাণ চাহিদা পূরণ করে থাকে তার থেকেও বেশী পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন করা হয়ে থাকে বাংলাদেশে। এই ইলিশ উৎপাদন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ বিশ্বের মোট ইলিশের ৭০ শতাংশই যোগান দিয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশ হলো উৎপাদনে শীর্ষ দেশ।

পুষ্টি গুণে ইলিশ

মানবদেহের জন্য প্রতিদিন দরকারী ২৭ ভাগ ভিটামিন সি, ২ ভাগ আয়রন ও ২০৪ ভাগ ক্যালসিয়াম ইলিশ মাছ থেকে পাওয়া যায়। ইলিশে অধিক পরিমাণ ওমেগা - ৩ ফ্যাট থাকে। এটি ট্রাই গ্লিসারাইড ও উচ্চ রক্ত চাপের পরিমাণ কমিয়ে আনে। এটি রক্ত জমাট বাধতেও বাধা প্রদান করে থাকে। ইলিশ মাছ রক্তের কার্য ক্ষমতা বাড়ায় ও ইনস্যুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

ইলিশ মাছ চেনার উপায়

নদীর ইলিশ মাছ গুলো অনেক চকচকে হয়ে থাকে। গায়ের রং অনেক রূপালী হয়ে থাকে। সাগরের ইলিশ তুলনামূলক কম পরিমাণে উজ্জ্বল হয়ে থাকে।
পুষ্টি -গুণে- ইলিশ
ইলিশের গায়ের রং যত বেশী পরিমাণ উজ্জল হবে তা তত বেশী সুস্বাদু হবে। যে ইলিশ মাছ শক্ত হবে, বুঝবেন তা টাটকা৷ ইলিশ মাছের শরীর সাধারণত পটলের মতো হয়ে থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ইলিশ মাছ ধরার মৌসুম তা সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url