দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা - বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়

দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা প্রচুর। কেননা শিক্ষিত ব্যক্তিরা দারিদ্র্য শিকল থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারে। শিক্ষিত ব্যক্তির একাধিক অভিজ্ঞতা থাকে তারা তাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্রতা দূর করতে পারে। বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত বাংলাদেশের দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়
দারিদ্র একটি জাতির অভিশাপ স্বরূপ। দারিদ্রতার করাল গ্রাসে আক্রান্ত জাতি কখনো সফলতা অর্জন করতে পারে না। যতই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই পেছনের দারিদ্রতা তত টেনে ধরে। তাই এই দারিদ্রতা দূর করতে পারলে সফলতা নিশ্চিত। দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা অনেক। বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলো অনুসরণ করে বাংলাদেশ থেকে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। তাই দারিদ্র দূরীকরণের প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা - বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়

  • দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা
  • বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়
  • দারিদ্র্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা
  • দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ
  • দারিদ্র্য দূরীকরণের দোয়া
  • দারিদ্র্য দূরীকরণে সামাজিক গুরুত্ব
  • বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায়

বাংলাদেশের দারিদ্র দূরীকরণের জন্য কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করা প্রয়োজন। দারিদ্র দূর করার জন্য পদক্ষেপ গুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা সঠিক সিদ্ধান্ত সফলতা অর্জন করতে সাহায্য করে। প্রত্যেকটি বিষয়ের সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া দারিদ্রতা একটি জাতিকে সফলতা অর্জনে বাধার সম্মুখীন করে। 

বাংলাদেশের দারিদ্র দূরীকরণের উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারলে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
  • শিক্ষার হার বৃদ্ধি
  • ফ্রি দক্ষতার প্রশিক্ষণ
  • ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান
  • কৃষি আধুনিকীকরণ
  • নারীর ক্ষমতায়ন
  • সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ
  • স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করা
  • গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামনির্মাণ
  • সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব
কর্মসংস্থান বৃদ্ধিঃ বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি। দারিদ্র দূর করার জন্য অবশ্যই কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরী। বিশেষ করে শিল্পায়ন, ক্ষুদ্র উদ্বেগ, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করলে বেকার যুবকেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে ফলে দারিদ্রতা দূর হবে।

শিক্ষার হার বৃদ্ধিঃ শিক্ষা মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে তোলে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যেকোনো কিছু করতে সক্ষম হয়। কেননা একজন শিক্ষিত ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাই শিক্ষার হার বৃদ্ধি করলে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যে কোন কর্ম ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করে বেকারত্ব দূর করতে পারে। ফলে দারিদ্রতা দূর হয়।

ফ্রি দক্ষতার প্রশিক্ষণঃ বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকা ও শহরাঞ্চলের লোকজনদের ফ্রি দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। যারা শিক্ষিত বেকার, বেকার বসে আছেন এরকম ছেলেমেয়েদেরকে একাধিক দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। খামারি, মাছ চাষ, কৃষি চাষাবাদ, অনলাইন প্রশিক্ষণ, টেইলার্সের কাজ এছাড়া অন্যান্য কিছু। এই দক্ষতা গুলোর ফ্রি প্রশিক্ষণ দিলে তারা এই প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখান থেকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।

ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানঃ কোন কিছু শুরু করতে হলে প্রথমে অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দারিদ্র্য লোকদের কাছে অর্থের প্রচুর অভাব। ফলে তারা কোনো কিছু করতে গিয়ে বাধা গ্রস্থ হয় শুধু অর্থের অভাবে। তাই দারিদ্র ব্যক্তিদের ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করলে তারা সেখান থেকে এই দিনের টাকা দিয়ে গবাদি পশু পালন, কৃষিকাজ, ব্যবসা, অথবা যেকোনো কিছু শুরু করে সেখান থেকে দারিদ্রতা দূর করতে পারবে।

কৃষি আধুনিকীকরণঃ কৃষি আধুনিকীকরণ করলে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। কেননা বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। যেখানে জমিতে অল্প পরিমাণ ফসল ফলছে। কিন্তু এই ফসল ফলানোর উপায় গুলো আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উন্নত বীজ, উন্নত যন্ত্রাংশ, উন্নত সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে। ফলে কৃষকেরা অল্প পরিমাণ চাষাবাদ করেও দ্রুত লাভবান হতে পারবে। এভাবে বাংলাদেশের দারিদ্র দূর করা সম্ভব।

নারীর ক্ষমতায়নঃ বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো নারীর ক্ষমতায়ন। বিশেষ করে নারীদের প্রত্যেকটি কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। তারা যাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোনো কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারে এরকম কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে যে সকল বেকার নারী ঘরে বসে আছে তারা এ বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। হলে বাংলাদেশের দারিদ্র্যতা দূর হবে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণঃ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে দারিদ্র দূর করা সম্ভব। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, বিশেষ সাহায্যে সহযোগিতা কর্মসূচি সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে দারিদ্রদের সুরক্ষা প্রদান করা যায়।

স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করাঃ স্বাস্থ্য সেবার অভাবে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পায়। তাই সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বিশেষ করে কমিউনিটি সেন্টার স্বাস্থ্য সেবা সাধারণ ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো সেবা উন্নয়নের জন্য উদ্বেগ নিতে হবে।

গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামনির্মাণঃ বিশেষ করে গ্রামীন এলাকাগুলোর উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। কেননা গ্রামীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহের অভাবের কারণে তারা উন্নতি থেকে পিছিয়ে থাকে। ফলে এগুলোর যদি উন্নয়ন করা যায় সেক্ষেত্রে তারা দ্রুত উন্নতি করতে সক্ষম হবে এবং বাংলাদেশ থেকে দারিদ্রতা দূর করা যাবে।

সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বঃ বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব। একমাত্র সরকার ঐ পারে এই দারিদ্রতা দূর করতে। তাই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকার যদি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সে ক্ষেত্রে দারিদ্ররা সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারবে।

প্রিয় পাঠক উপরে বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় গুলো আলোচনা করেছি। এই উপায় গুলো অনুসরণ করে বাংলাদেশের দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতি জোরদার দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষিত জাতি দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা

দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা বলে শেষ করার মত নয়। শিক্ষা যাদের দারিদ্র দূরীকরণে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। শিক্ষা জাতির জীবন মান উন্নয়ন করার পাশাপাশি তাদের আর্থিক স্বাবলম্বীতা অর্জনের সাহায্য করে। শিক্ষিত মানুষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার সুযোগ পায়। শিক্ষিত মানুষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করার পাশাপাশি যেকোনো দক্ষতা অর্জন করতে পারে। 

কঠিন পর্যায়ে তারা চ্যালেঞ্জ কে মোকাবিলা করে সফলতা অর্জনের সক্ষম হয়। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে তারা ভালো চাকরি করতে সক্ষম হয়। শিক্ষিত ব্যক্তি যেকোনো কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ব্যবসা থেকে শুরু করে চাকরি অথবা অন্যান্য যেকোনো পেশায় অংশগ্রহণ করতে পারে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার আয় বৃদ্ধি করে এবং দরিদ্রের দুষ্ট চক্র থেকে মুক্তি পায়। 
দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা
শিক্ষিত মানুষ সমাজ স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতি সম্পর্কে সচেতন থাকে। তাহলে শিক্ষিত মানুষ মানুষ অল্প সম্পদ দিয়েও ভালো জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে নারীদের জন্য শিক্ষা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষিত নারী পরিবার পরিচালনায় এবং পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নারীদের জন্য তাই শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। 

শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নতুন প্রযুক্তি এবং ধারণা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে যা তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। একজন শিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে সকল জ্ঞান সুস্পষ্ট থাকে। সে সহজে যেকোনো কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দ্রুত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। শিক্ষিত হলে সে নিজে আয়ের পাশাপাশি আরো কিছু ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে এভাবে দেশের দারিদ্রতা দূর করতে পারে। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা অতুলনীয়।

দারিদ্র্য দূরীকরণে যাকাতের ভূমিকা

যাকাত ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভ, যা দারিদ্র দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাকাত এর মাধ্যমে সমাজের ধনী ব্যক্তিরা দরিদ্রের দান করার সুযোগ পায়। ফলে সমাজের দরিদ্র ব্যক্তিরা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। এর ফলে দরিদ্র দূরীকরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পায়। যাকাতের মাধ্যমে দরিদ্রদের মৌলিক চাহিদা যেমন খাদ্য বস্ত্র স্বাস্থ্যসেবা বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়।

যারা যাকাত প্রাপক ব্যক্তি তারা এই সুবিধাগুলো পাই এবং উন্নত জীবন যাপন করতে পারে ফলে দরিদ্রতা দূর হয়। বিশেষ করে দরিদ্র ব্যক্তিরা উপার্জনে ব্যর্থ হয়। ফলে তাদের কোন আয়ের সুযোগ থাকে না, যাকাতের মাধ্যমে তারা আর্থিক দিক থেকে সচ্ছলতা অর্জনের পর তারা আর্থিক অভাব অনটন থেকে মুক্তি পাই। যাকাত সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করে। 

ধনী ও দরিদ্রদের মধ্যে আর্থিক বৈষম্য রয়েছে যাকাত এটি কমিয়ে একটি ভারসাম্য মূলক সমাজ তৈরি করে। পাশাপাশি যাকাত সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। কেননা দারিদ্র ব্যক্তিরা অধিকাংশই অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে। এছাড়া যাকাতের মাধ্যমে সমাজ রাষ্ট্র আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়। যাকাত সঠিকভাবে পরিচালিত হলে শুধুমাত্র দারিদ্র দূরীকরণে নয় এটি একটি ন্যায় পরায়নতা ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে বিশাল অবদান রাখতে পারে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের পদক্ষেপ

দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের পদক্ষে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা দারিদ্র দূর করা সাধারণ কোন ব্যক্তির মাধ্যমে সম্ভব নয়। সরকারি পদক্ষেপের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করার সহজেই সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র দূরীকরণে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দারিদ্র দূরীকরণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, 

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়তা করছে। এছাড়া বিনামূল্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার প্রসার ঘটিয়েছে ফলে দারিদ্রতা অধিকাংশই কমেছে। এছাড়া কৃষকদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে ফলে কৃষকরা এ ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য নানা প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে, এর মধ্যে সরকারি কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ উদ্যোগগুলো অন্যতম। 

গ্রামীণ উন্নয়ন অবকাঠামো, নারীদের শিক্ষার সুযোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। হলে নারীরা সহজেই এই কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ করে দারিদ্রতা দূর করতে পারছে।

দারিদ্র্য দূরীকরণের দোয়া

দারিদ্র দূর করনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলে, বিশ্বাস রেখে এবাদত করলে আল্লাহ নিশ্চয়ই দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দেবেন। তবে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রথম শর্ত হল পরিশ্রম করা। আপনি যেকোনো কাজে করুন পরিশ্রমের মাধ্যমে করুন। কখনো বেকার বসে থাকবেন না বেকার বসে থাকলে সফলতা কখনোই আসে না। 

আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকুক অথবা না থাকুক এর সাথে কোন যায় আসে না। আপনার বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী আপনি পরিশ্রম করুন ইনশাল্লাহ দারিদ্রতা দূর হবে। পরিশেষে আল্লাহর এবাদত করুন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে দোয়া করুন। নিচে দারিদ্র দূরীকরণের দোয়া দেওয়া হলঃ 'আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক'।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সামাজিক গুরুত্ব

দারিদ্র দূরীকরণের সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম। দারিদ্র একটি সামাজিক সমস্যা। এটি শুধুমাত্র দারিদ্র ব্যক্তিদের ক্ষতিগ্রস্ত করে না। এটি পুরো গোষ্ঠী, পুরো জাতি, পুরো দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দারিদ্র ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি সমাজের সার্বিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্থ করে। দারিদ্র দূরীকরণ অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করতে সাহায্য করে। অনেক সময় দারিদ্র ব্যক্তিরা চুরি ছিন্তায় ডাকাতি করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। দারিদ্র দূরীকরণের সামাজিক পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যাগুলো দূর হবে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা

বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা গুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিওগুলো যৌথভাবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য কাজ করছেন। বেসরকারি এই এনজিওগুলো বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা, পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশন, এছাড়া সরকারি অন্যান্য সংস্থাগুলো দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

এ সংস্থাগুলোর স্বল্প সুদের ঋণ প্রদান করছে। এছাড়া "একটি বাড়ি একটি খামার" সরকারের উল্লেখ্যযোগ্য উদ্যোগ দারিদ্র্য বিমোচন এর ভূমিকা রেখেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো শিক্ষা স্বাস্থ্য সেবা ও ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্রের ঋণ প্রদান করে আর্থিক দিক থেকে সহযোগিতা করছে। 

এভাবে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি এই সংস্থাগুলো যদি সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়ায় তাহলে দারিদ্রতা সহজেই দূর করা সম্ভব।

লেখকের মন্তব্য

আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকা, বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। দারিদ্র দূরীকরণে প্রত্যেকেই কর্মসূচি হাতে নেওয়া প্রয়োজন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করা যায়। অলস জাতি দারিদ্রতার বেশি শিকার হয়।

বিশেষ করে অধিক সংখ্যক শিক্ষিত ব্যক্তিরা দারিদ্রতার জাল থেকে বেরতে পারেন। তাই বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করতে হবে যাতে দারিদ্রতা দূর হয়। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url