অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি

>অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? সাধারণত এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল। আমরা যারা অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করি সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে রাতের বেলায় পা কামড়ানোর সমস্যা দেখা দেয়।
অতিরিক্ত-পা-কামড়ানোর-কারণ-কি

সাধারণত এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে জেনে নিতে হবে যে কেন এই ধরনের সমস্যাগুলো কেন হয়ে থাকে? আর এই বিষয়টি জানতে হলে অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? এ বিষয়ে জানা জরুরী।

পেজ সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি

অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি 

অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? এ বিষয়ে জেনে নিন। অনেক সময় আমাদের হাত-পা কামড়ানোর মত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে বিশেষ করে রাতের সময়। এছাড়াও অতিরিক্ত পা কামড়ানোর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যে কারণ গুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। বেশকিছু জটিলতম সমস্যা ও থাকতে পারে। এ সমস্যা গুলো যেন অতিরিক্ত জটিল না হয় এর জন্য আগে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ secret tone up sun cream এর উপকারিতা, ব্যবহারের নিয়ম 

অনেকেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করে থাকেন যার কারণে পা ব্যথা সমস্যাটি দেখা দেয়। আবার অনেক সময় পায়ে রক্ত চলাচল কম থাকার কারণেও পা কামড়ানো সমস্যাটি হয়ে থাকে। পা কামড়ানোর বিভিন্ন কারণ রয়েছে অনেকেই আবার অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি বা চলাফেরার কারণে রাতের বেলায় পা কামড়ানো সমস্যা হয়ে থাকে। আবার মেরুদন্ডের নানা রোগে আক্রান্ত থাকে যার কারণে হাত-পা কামড়ানো বা ব্যথা হওয়ার সমস্যাটি হয়ে থাকে।

পায়ের চামড়ার নিচে নরম অংশটি হাড় ও পেশি জয়েন্ট এর বিভিন্ন রোগের কারণে পা কামড়ানো সমস্যাটি হয়ে থাকে। অনেকের সারাদিন অতিরিক্ত পরিশ্রম করে এবং বেশিরভাগ সময়ে হাত বা পা কামড়ানোর বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেকেরই ক্ষেত্রে সকালবেলায় হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলে এক পায়ে ব্যথা অনুভব হয় আবার কারো থেমে থেমে ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। পা কামড়ানোর বিষয়টি নানা কারণ বা ধরনের হয়ে থাকে। অনেক সময় আমাদের শরীরে পুষ্টি ঘাটতির কারণেও পা কামড়ানো সমস্যাটি হয়ে থাকে।

হাত পা চাবানোর কারণ

হাত পা চাবানোর কারণ কি? এই বিষয় নিয়ে অনেকেই জানতে চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাদের হাত-পা চাবানো বা ব্যথা অনুভব হয়ে থাকে। কিন্তু এটি কেন হচ্ছে বা এটি হওয়ার কারণ কি সে বিষয়ে আমরা অনেকেই হয়তো সঠিক ভাবে বলতে পারি না। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে পরিশ্রম করে তাদের এই ধরনের সমস্যা গুলো বেশি দেখা দেয়। কারণ জানলে খুব সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায় তাই কারণ জেনে নেওয়া যাক।

  • কেউ যদি অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করে তাহলে পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয় যার ফলে হাত পা চাবানো সমস্যা হয়ে থাকে।
  • রোদে বা গরমে অনেকক্ষণ ধরে হাঁটাহাঁটি করার কারণে শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা দেয় যার কারণে হাত পা চাবানো সমস্যা হয়ে থাকে।
  • হাত পায়ের মাংস পেশিতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হাত পা চাবানো সমস্যা হয়ে থাকে।
  • ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত পাত চাবানোর কারণ হলো তারা অতিরিক্ত ছোটাছুটি করা যার কারনে তাদের রগে টান পড়ে এবং হাত-পা চিবানো সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে।
  • বাত ব্যথা সমস্যা যারা ভুগছেন তাদের পায়ের অস্থি সন্ধিতে অক্সলেট জমা হওয়ার কারণে হাত পা চাবিয়ে থাকে।
  • আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে রাতে হাত পা চাবানো সমস্যাটিও দেখা দিয়ে থাকে এবং আমাদের শরীরে যখন ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের অভাব হয় তখন কি সমস্যা গুলো দেখা দিয়ে থাকে।

পা কামড়ানো কমানোর ব্যায়াম

অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি পা কামড়ানো সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই পা কামড়ানো ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে এটি অনুসরণ করা উচিত। আমরা যদি নিয়মিত ভাবে এ ব্যায়াম গুলো চালিয়ে যেতে পারি তাহলে অবশ্যই পা কামড়ানো সমস্যা থেকে রেহাই পাব। নিয়মিত হাঁটা চলার না করা এবং ব্যায়াম না করার কারণে অনেক সময় আমাদের পা কামড়িয়ে থাকে। পা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ কারণ সারাদিন আমরা পায়ের উপর ভর দিয়ে হাঁটা বা চলাফেরা করি।

পা-কামড়ানো-কমানোর-ব্যায়াম

পায়ের কোন প্রবলেম হলে আমাদের দ্রুত সেটি সমাধান করা উচিত এবং পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। সঠিক সময়ে পায়ের সমস্যার গুরুত্ব না দিলে আপনি পায়ের আরথ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই আমাদের পায়ের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই নিয়মিত পা কামোড়ানো ব্যায়াম করা উচিত।

মার্বেল পিকআপঃ একটি পাত্রে ১০ থেকে ১৫ টি মার্বেল নিয়ে তা মেঝেতে ছড়িয়ে দিন এবার আপনি বসে মেঝেতে পা রাখুন। এই ব্যায়াম করতে হলে আপনাকে পায়ের আঙ্গুলের ব্যবহার করতে হবে পায়ের আঙ্গুল দিয়ে একটা একটা করে মার্বেল গুলো উঠিয়ে পাত্রে রাখুন। এভাবে দুই পায়ে আঙ্গুল দিয়ে মার্বেল গুলো উঠিয়ে রাখলে আপনার পায়ের সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।

টাওয়েল কার্লঃ এ ব্যায়ামের জন্য আপনাকে একটি টাওয়েল ব্যবহার করতে হবে। একটি টাওয়েল নিয়ে মেঝেতে রাখুন। একটি চেয়ারে সোজা হয়ে বসে পড়ুন। টাওয়েলের মধ্যে পা রাখুন। পায়ের আঙুল দিয়ে টাওয়েলটি ধরুন, আবার ছেড়ে দিন। এই নিয়মে ৭/৮ করুন। এই ব্যায়াম পা ও পায়ের পাতার পেশিকে শক্ত রাখতে সাহায্য করে ।

গলফ বল রোলঃ একটি গলফ বল মেঝেতে রেখে একটি চেয়ারে বসে পড়ুন। এরপর পা দুটো সোজা করুন। একটি পা গলফ বলের ওপর রাখুন এবং পা দিয়ে বলটি দুই থেকে তিন মিনিট ঘোরান। এটি দিনে দুই থেকে তিনবার করুন। এভাবে ব্যায়াম করলে আপনার পা শক্তিশালী এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ

পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ? জেনে নিতে হবে। পা কামড়ানো বিষয়টি আমাদের অনেকেরই দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু এটি কিসের লক্ষণ হতে পারে? সে বিষয়ে জেনে থাকা উচিত। কারণ পা কামড়ানো লক্ষণটি বিভিন্ন বড় রোগের কারণ হতে পারে। আগে থেকে পা কামড়ানো কিসের লক্ষণ সে বিষয়ে জেনে সচেতন হোন।

  • আমাদের শরীরে যখন পানি শূন্যতা দেখা দেয় তখন হাতপা কামাড়ানো লক্ষণটি প্রকাশ পায়।
  • মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের সময় হাত-পা কামড়ানো একটি স্বাভাবিক সমস্যা।
  • ঘুমানোর সময় ভুল অঙ্গভঙ্গির কারণে আমাদের হাত-পা কামড়ানো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত হাঁটাচলা ফেরা বা অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা ও লিফটে চলাফেরার কারণে পা ব্যথা সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে।
  • আমাদের শরীরে যখন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তখন পা ব্যথা লক্ষণটি প্রকাশ পায়।

রাতে অতিরিক্ত পা কামড়ালে করণীয়

রাতে অতিরিক্ত পা কামড়ালে করণীয় কি? হতে পারে সে বিষয়ে আমাদের জানা উচিত। কারণ রাতের বেলায় অধিক সময় আমাদের হাত-পা কামড়ানো সমস্যাটি হয়ে থাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবশ্যই আমাদের কিছু করনীয় মেনে চলা উচিত। এ করণীয় গুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই রাতের বেলায় অতিরিক্ত পরিমাণে পা কামড়ানো থেকে মুক্তি পাব। বিশেষ করে যাদের প্রতিদিনের রুটিন এ ধরনের সমস্যা সাধারণত তাদের অবশ্যই এই করণীয় গুলো অনুসরণ করা উচিত।

ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুনঃ রাতে অতিরিক্ত পা কামড়ানো থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আমাদের খাদ্য তালিকায় ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাদ্য রাখা জরুরি। আমাদের শরীরের খনিজের প্রয়োজন অনেক বেশি আর দিন দিন খনিজের গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে এই সমস্যা গুলো ভোগে থাকেন। ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার যেমন সিমের বিচি, শস্য দানা, বাদাম, শাকসবজি ইত্যাদি। ছাড়াও ভিটামিন বি এর অভাবে আমাদের পা কামড়ানো সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে তাই আপনার পা কামড়ানোর সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরি করুন এবং সে অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।

হাইড্রেটেড থাকুনঃ হাইড্রেট রাখতে সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। আপনি যদি অতিরিক্ত এক্সারসাইজ করে থাকেন বা অতিরিক্ত ঘামেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই দিনে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের শরীরে যখন পানিশূন্যতা দেখা দেয় তখন গলা শুকিয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, ত্বক শুষ্ক সমস্যা গুলো দেখা দিয়ে থাকে। এই সমস্যা গুলো পানি শূন্যতার অন্যতম লক্ষণ শরীরে পানি শূন্যতা অভাব হলে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে থাকে। নিয়মিত পানি খান এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখার চেষ্টা করুন। ‌

রাতে পা কামড়ানো দূর করার উপায়

অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি রাতে পা কামড়ানো দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা জরুরী। রাতে পা কামড়ানোর একটি বিরক্তিকর সমস্যা মুক্তি পেতে আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। কেউ আবার হাত-পা টিপে শান্তি অনুভব করি। আজকে আপনাদের এমন কিছু উপায় সম্পর্কে জানাবো এই উপায় গুলো মেনে চললে আপনারা খুব সহজে রাতে পা কামড়ানো দূর করতে পারবেন।

  • চিকিৎসকরা পা কামড়ানো একটি স্বাভাবিক সমস্যা মনে করে থাকেন। 
  • পা কামড়ানো সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম তরল খাবার নিলেই আপনার এই সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে পারেন। 
  • এছাড়াও কুইনিন সালফেট জাতীয় ওষুধ সেবনে এর প্রতিকার পাওয়া যায়।
  • রাতের বেলা আপনি পায়ের কিছু প্যাসিভ বা পরোক্ষ ব্যায়াম গুলো করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

পা কামড়ানো কমানোর ওষুধ

পা কামড়ানো কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জেনে নিন। রাতের বেলায় পা কামড়ালে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এ সময় আমরা অশান্তিতে ভুগে থাকি। রাতে সুন্দর ঘুমের জন্য এবং পা কামড়ানো থেকে মুক্তি পেতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু কিছুতেই যেন পা ব্যথা বা পা কামড়ানো থেকে মুক্তি পায় না। পা কামড়ানো কামানোর ওষুধ খেয়ে খুব সহজেই পা কামড়ানো কমাতে পারবেন। পা কামড়ানোর ঔষধ হিসেবে Ibuprofen 400 mg ব্যবহার করতে পারেন। এটি খাওয়ার পর যদি এসিডিটি অনুভব হয় তাহলে Imeprazol 20mg ক্যাপসুল একটি করে খেতে হবে। অনেকেই পা কামড়ানোর জন্য প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে যেকোন ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

হাত পা চাবানোর চিকিৎসা

হাত পা চাবানোর চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখুন। কারণ হাত পা চেবানো সমস্যাটি আমাদের সবার ক্ষেত্রেই একবার না একবার দেখা দিয়ে থাকে। যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি না পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে চিকিৎসা করাতে হবে।

হাত-পা-চাবানোর-চিকিৎসা

  • আপনার পা যদি ফুলে থাকে বা ব্যথা চাবানো অনুভব হয়ে থাকে তাহলে বিশ্রাম নিতে পারেন। হাত পা চাবালে আপনি বসে কাজ করার সময় পা টা একটু উপরে পড়ে রাখুন। শোয়ার সময় পায়ের নিচে একটি বালিশ দিন।
  • পা ব্যথা বা চাবানো থেকে রেহাই পেতে উষ্ণ পানির সাহায্য নিতে পারেন। একটি পাত্রে পানি গরম করে তার মধ্যে একটি নরম কাপড় চুবিয়ে পায়ে সেঁক দিতে পারেন। গরম পানি বোতলে ভরে পায়ের নিচে ধরতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আপনি এইভাবে ধরে থাকুন এবং দিনে দুই থেকে তিনবার এভাবে করার চেষ্টা করুন। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত গরম পানি আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনার ত্বক যতটুকু সহ করতে পারে ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করুন।
  • পা ব্যথা বা চাবানো কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। মেনথল অথবা ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম মিশ্রিত মলম দিনে দুইবার ব্যবহার করুন।

গর্ভাবস্থায় হাত-পা কামড়ালে করণীয়

গর্ভাবস্থায় হাত-পা কামড়ালে করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের অথবা তার পরিবারের সদস্যদের জেনে রাখতে হবে। আপনি অথবা আপনার পরিবারের কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তাহলে এ সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার মধ্যে একটি হল গর্ভাবস্থায় হাত পা কামড়ানো।

আরো পড়ুনঃ 4k plus cream এর উপকারিতা,পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

  • গর্ভাবস্থায় পা কামড়ালে পায়ের পেশি জোরে জোরে ঘষলে এবং পায়ের আঙুল গুলো সজোরে ওপরের দিকে টানটান করতে হবে তাহলে পা কামড়ানো উপশম হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় অনেকক্ষণ বসে থাকার পর যদি পা কামড়ানো শুরু হয় তাহলে সাথে সাথে কিছুদূর হেঁটে অথবা পা ঝাঁকিয়ে এরপর পা উঁচু করুন।
  • যখন গর্ভাবস্থায় পায়ের রগে টান লাগা বা পা কামড়ানো শুরু হবে তখনই দাঁড়িয়ে পড়ুন। এরপর পায়ের পাতা দুটিকে কিছুটা ভেতরের দিকে নিন। এরপর পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে উঁচু হতে চেষ্টা করুন। ওপরে কিছু ধরার চেষ্টা করছেন এমন ভান করুন। পায়ের পেশিতে যেন টানটান অনুভূতি হয় এতে কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
  • পায়ে আলতো ভাবে ঘষে ঘষে বরফ লাগাতে পারলে পা কামড়ানো ব্যথা কমতে পারে। হাঁটুর নিচের মাংসল অংশে হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করে গরম সেঁক দিতে পারেন। 

আমাদের শেষ কথা

অতিরিক্ত পা কামড়ানোর কারণ কি? এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে এই সম্পর্কিত আরও যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল প্রায় সবগুলোই আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি অতিরিক্ত পা কামড়ানোর মতো সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর এই সমস্যার সমাধান করার জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো নিয়মিত অনুসরণ করা জরুরী।

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url