নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা

 কপালে নতুন চুল গজানোর ১০টি উপায়নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে হয়তো বা কমই বলা হয়ে যাবে, নিম পাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের নিরাময় এর কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে এবং এটি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুনের একটি বড় উৎস এবং একটি প্রাকৃতিক সমাধান হচ্ছে এই নিমপাতা।
নিম-পাতার-গুড়ার-উপকারিতা
নিমপাতা বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি বিভিন্ন ঔষধে ব্যবহার করা হয়। এর ঔষধি গুনাগুন গুলো যেগুলো মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী ও প্রাকৃতিক উপাদান। যা নিয়ে থাকছে আজকের এই বিশেষ আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্র - নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা সম্পর্কে সবকিছু

নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা

নিম পাতার গুড়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যা নিমপাতার বিশেষ গুণাবলীর কারণে হয়। নিম পাতার গুড়া বিভিন্নভাবে পাওয়া যায় তার ভেতরে একটি হল, নিম পাতার গুঁড়া এবং নিম গাছের ছালের গুড়া। আমরা আজকে আপাতত নিম পাতার গুড়া নিয়ে আলোচনা করবো। এই গুড়ার উপকারিতা যা নিমপাতাকে রোগনাশক, জীবাণুনাশক, রক্তশুদ্ধ কারক, পেট পরিষ্কার কারক, ত্বকের যত্নের সাথে এমন আরো হাজারো ছোট-বড় গুণাগুণ সম্পন্ন করে তুলেছে, নিচে আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে স্টেপ বাই স্টেপ বলা হলোঃ

  • ১। রোগনাশক এবং জীবাণুনাশকঃ নিমপাতার গুড়া প্রাকৃতিক রোগনাশক এবং জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে। এটি বিভিন্ন রোগ এবং জীবাণু বিরোধী প্রতিক্রিয়ায় মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • ২। রক্তশুদ্ধারকঃ নিমপাতার গুড়ার উপকারিতা মধ্যে একটি হলো তা রক্তশুদ্ধারক হিসাবে কাজ করে এবং রক্তের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত করে।
  • ৩। পেট পরিষ্কার কারকঃ নিমপাতার গুড়া প্রতিদিন খেলে আপনার পেটের সমস্যা যেমন কৃমি আপনার পাচনতন্ত্র এবং পাক প্রক্রিয়া ভালো হবে যার মাধ্যমে আপনি এর গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা হতে সমাধান পেতে পারেন।
  • ৪। ত্বকের যত্নের সাথে সাহায্যঃ নিমপাতার গুড়া ত্বকের যত্নের সাথে সাহায্য করে এবং ত্বকের সমস্যাগুলি যেমন চুলকানি, চর্মরোগ, ঘা পাসরা এমন অন্যান্য ত্বক সমস্যার চিকিৎসা করে।
  • ৫। সার্কোপ্যালজি স্বাস্থ্যকরঃ নিমপাতার গুড়া সার্কোপ্যালজি স্বাস্থ্যকর হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে, যা ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য অসুস্থতার চিকিৎসা ও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা ও নিমপাতার গুড়ার ব্যবহার সাধারণত স্থানীয় চিকিৎসা বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা হিসাবে প্রচলিত। তবে, এটি নিমপাতা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানগুলির সঙ্গে সমন্বয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রধানত বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, এবং অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত হয়।

নিম পাতা গুড়া করার নিয়ম

নিম পাতার গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি উপাদান। যেটির মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের নিরাময় করা সম্ভব। তো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই নিম পাতার গুড়া আসলে কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আসলে নিমপাতা দুই ভাবে আপনি গুড়া করতে পারবেন একটি হচ্ছে শুকনো নিমপাতা গুঁড়ো, আর একটি হচ্ছে কাঁচা নিমপাতা গুড়া, প্রথমে শুকনো নিম পাতা দিয়ে শুরু করি।

শুকনো নিমপাতা গুঁড়ো করার জন্য প্রথমে আপনাকে আদর্শ নিম পাতা গুলো নিয়ে আসতে হবে এবং সেগুলো পরিষ্কার করে ভালোভাবে ধুতে হবে। ধুয়ে নেওয়ার পরে সেগুলো রোদ্রে শুকাতে হবে। রোদ্রে শুকাবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না পাতাগুলো মচমচে না হয়ে যায়। যখন পাতাগুলো মচমচে হয়ে যাবে তখন আপনি ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিতে পারবেন।

এবার তাহলে চলুন যে কাঁচা নিম পাতা গুড়া কিভাবে করা যায়, ওই সেম প্রসেস, আপনাকে প্রথমে নিম গাছ থেকে ভালো ভালো পাতাগুলো নিয়ে আসতে হবে, সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এবং সে পাতাগুলো ব্লেন্ডারের মাধ্যমে বা পিসে আপনি সেগুলো সুন্দরভাবে পেস্ট করে নিতে পারবেন। এই দুই পদ্ধতিতে আপনি গুড়া করতে পারবেন এবং নিজের প্রয়োজনমতো ব্যবহার করতে পারবেন এবং নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা গুলো ভোগ করতে পারবেন।

নিম পাতার গুড়া খাওয়ার নিয়ম

নিম-পাতা-গুড়া-করার-নিয়ম
নিম পাতার গুড়া আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারবেন এবং তা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। নিম পাতার গুঁড়ো আপনি ছোট ছোট করে বড়ি তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেগুলো বড়ি রোদ্রে ভালভাবে শুকিয়ে দিয়ে কাঁচের বোতলে সংরক্ষন করতে পারেন। কারণ অনেক মানুষজন আছে যারা সরাসরি নিমপাতা খেতে পারে না। কারণ নিমপাতা অনেক তিতা আপনারা হয়তোবা সবাই জানেন এক্ষেত্রে আপনি বড়ি করে নিলে খেতে সুবিধা হয়।

এটি আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটি করে খুব সহজে খেতে পারেন। তাছাড়া নিম পাতার গুড়া আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানির সাথে এক চা-চামচ মিক্স করে খেতে পারেন। এইগুলো পথ অবলম্বন করলেই আপনি নিমের পাতার গুড়া খুব সহজে গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো হবে। যা খেতে আপনার তেমন কোন অসুবিধা হবে না বলে আমি মনে করি।

নিম পাতার গুড়া খেলে কি হয়

নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সাথে সাথে আপনার শরীরে অনেক কিছু ঘটতে থাকবে যেগুলো আপনি আন্দাজ করতে পারবেন বা অনুভব করতে পারবেন। নিম পাতার গুড়া নিয়ম মাফিক প্রতিদিন সকালে আমার বলা নিয়ম মেনে যদি একটি করে বড়ি সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। তাছাড়া নিম পাতার গুড়া খেলে আপনার হার মজবুত হবে এবং রক্তে আয়রন এর পরিমাণ বাড়তে থাকে।

আপনি যদি নিমপাতা খেতে পারেন তাহলে ত্বকের ক্ষত চিহ্ন বা ত্বকের সমস্যা গুলো আস্তে আস্তে দূর হতে থাকে। তাছাড় নিম পাতার গুড়া আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে একই সাথে চুলের খুশকি, ত্বকের যত্ন ও দাঁতের যত্নে অনেক ভালো কাজ করে। একই সাথে এটি আপনার এলার্জি সমস্যা দূর করবে, ওজন কমাতে সাহায্য করে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় অনেক গুণসম্পন্নতে ভরা এই নিম পাতার গুড়া।

তবে অবশ্যই খাওয়ার আগে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে এবং নিয়ম মাফিক খেতে হবে। বেশি খাওয়া যাবে না পরিমাণ মতো খেতে হবে। বেশি খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিতে পারে বা আপনি যদি নিম পাতার গুড়া খাওয়া শুরু করেন বা কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন যদি হন তাহলে নিম পাতার গুড়া খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।

নিম পাতার গুড়া আমাদের শরীরের জন্য কতটা ভালো

নিম পাতার গুড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে নিচে বলা হলো যেগুলো আপনারা জেনে অনেক উপকৃত হবেন, এবং সবারই এগুলো বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার।
  • ১। জিবানু ধ্বংসকারীঃ নিম পাতার গুড়া খেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবানু গুলো ধ্বংস হয়।
  • ২। হাড় কে মজবুত করেঃ নিম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ তাই হাড় মজবুত করতে এটি বেশ সহায়ক।
  • ৩। আয়রন সমৃদ্ধঃ এক কাপ নিম আপনার প্রতিদিনের আয়রনের প্রয়োজনীয়তা মেটাবে।
  • ৪। ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতাঃ নিম পাতা এবং হলুদের গুড়োর পেস্ট ত্বকের ক্ষতচিহ্ন কে দূর করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
  • ৫। চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতাঃ শ্যাম্পুর পরে সেদ্ধ নিমের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলা চুলের ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করার জন্য এবং উকুন থেকে মুক্তি পেতে খুবই কার্যকর।
  • ৬। চোখের ঝামেলাঃ কিছু নিম পাতা সিদ্ধ করুন, পানি পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন এবং এটি আপনার চোখ ধুয়ে ব্যবহার করুন।
  • ৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার উপকারিতাঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকারি।
  • ৮। দাঁতের যত্নেঃ দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে।
  • ৯। এলার্জি সমস্যায়ঃ এলার্জি সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন নিম পাতা ফুটিয়ে গোসল করুন।
  • ১০। ওজন কমাতে নিম পাতার উপকারিতাঃ ওজন কমাতে নিম পাতার ফুল খুবই কার্যকারি।
তবে, নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা পাওর আগে ও নিম পাতার গুড়া খাওয়ার আগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সময় মাত্রা অনুযায়ী খেতে হবে এবং তা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে।

নিম পাতার গুড়াতে কি কি ঔষধি গুনাগুন থাকে

নিম পাতার গুড়াতে বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন থাকে যা সাধারণত স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অনেক উপকারী হতে পারে। নিম পাতার গুড়াতে পাওয়া কিছু প্রধান ঔষধি গুনাগুন সমূহ নিম্নলিখিত অনুসারে পাওয়া যায় এবং কাজ করেঃ
  • ১। এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণঃ নিমে পাতাতে এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য গুলা পাওয়া যায়, যা ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন রোগজীবাণু ও জীবাণুসমূহের বিরুদ্ধে লড়াতে সাহায্য করে।
  • ২। এন্টিফাংগাল গুণঃ নিম পাতার গুড়াতে কিছু জীবাণুনাশক এন্টিফাংগাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা ফাঙ্গাস ও অন্যান্য জীবাণুসমূহের বিরুদ্ধে লড়াতে সাহায্য করে।
  • ৩। এন্টিনিউট্রিটিভ গুণঃ নিমের গুড়াতে এন্টিনিউট্রিটিভ বৈশিষ্ট্য গুলো পাওয়া যায় যা চর্ম রোগের সমস্যা এবং এই ধরনের সমস্যাগুলো সমাধানের সাহায্য করে।
  • ৪। এন্টিইন্ফ্ল্যামেটরি গুণঃ নিম পাতার গুড়াতে পাওয়া এন্টিইন্ফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য দ্বারা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং শরীরকে ভালো রাখতে এবং সজাগ রাখতে সাহায্য করে।
  • ৫। প্রতিবাহিত ক্ষতি নিরাময়ের গুণঃ নিম পাতার গুড়া ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারে, যেমন ব্রন, খুশকি, চর্মরোগ, পেট পরিষ্কার ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি সমন্বয়ে নিম পাতার গুড়া ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন চিকিৎসাগারে এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা সংস্থাগুলিতে। তবে, এই তথ্যগুলি শুধুমাত্র জ্ঞান প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে যেকোনো চিকিৎসার বিকল্প নেওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বা তাদের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিম পাতার গুড়া বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো যাবে কিনা

নিম পাতার গুড়া বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো ঠিক নয় কারণ বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই অনেক বেশি থাকে, তারপরও যদি তাদেরকে খাওয়ানোর দরকার পরে তাহলে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সময় মাত্রা অনুযায়ী এবং সর্তকতার সহিত খেতে হবে, কারণ অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের এবং খালি পেটে নিম পাতার গুড়া খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও, নিম পাতার গুড়া খাওয়ার সময় বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। এই সমস্যা যদি প্রত্যেক বার হয় তাহলে এটি খাওয়া বন্ধ করা করতে হবে।

প্রতিদিন সকালে নিম পাতার গুড়া খেলে কি হয়?

নিম পাতার গুড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম মাফিক খেলে অনেক ধরনের উন্নতি আপনার শরীরে ঘটতে থাকবে যেগুলো সম্পর্কে আপনাকে নিজে জানানো হলো। আপনি শুনলে হয়তো বা অবাক হয়ে যাবেন।
  • ১। প্রতিবাহিত ব্যথা নিরাময়ঃ নিম পাতার গুড়া এন্টিইন্ফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে, যা শরীরের প্রতিবাহিত ব্যথা নিরাময় করে। এটি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • ২। ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নতিঃ নিমের গুড়া ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। এর ব্যবহারে ত্বক সাফ থাকে এবং বিভিন্ন ত্বকের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
  • ৩। ডেন্টাল স্বাস্থ্য উন্নতিঃ নিমের গুড়া দাঁতে থাকা ক্যাভিটি বা জীবাণুগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে। এটি দাতের স্বাস্থ্য উন্নতির মাধ্যম হিসাবে কাজ করতে পারে।
  • ৪। পেটে স্বাস্থ্য উন্নতিঃ নিমের গুড়া মধুসহ খেলে, পেটের সমস্যা ও অন্যান্য পেটের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে। এটি পেটের পাচোন ক্রিয়ার সমস্যা ও ডায়ারিয়ার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।
  • ৫। মস্তিষ্কের সুস্থ্য উন্নতিঃ নিমের গুড়ার অনেক গুণ রয়েছে যেগুলো মস্তিষ্কে সুস্থ্য ও উন্নতির জন্য উপকারী হতে পারে, যেমন মেমরি বৃদ্ধি, মনোযোগ স্থাপন ও মানসিক স্থিতি উন্নতিতে সাহায্য করে।
সাধারণত ব্যক্তির স্বাস্থ্য ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা পাওয়া নির্ভর করে। তবে, প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, কারণ সবার শরীরের কন্ডিশন একরকম থাকে না তাই এটি কারও কারও ক্ষেত্রে খারাপও হতে পারে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

নিম-পাতার-গুড়া-খাওয়ার-নিয়ম
খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। তবে এটি কারো কারো ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ও করতে পারে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর ৫টি ভালো লক্ষণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
  • ১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিম পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ২। ওজন কমায়ঃ নিম পাতার রস ওজন কমানোর অসাধারণ সক্ষমতা রয়েছে।
  • ৩। পেটের রোগ নিরাময়ঃ পেটের সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করার জন্য এটি বড় ভূমিকা পালন করে।
  • ৪। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিম পাতার রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • ৫। রূপচর্চাঃ নিম পাতার রস খেলে খুশকি, ব্রণ, ও এলার্জি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এই ছিল কিছু প্রধান নিম পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা। তবে সবকিছু করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন কারণ সবার শরীরের কন্ডিশন এক হয় না, এটা আমি আগেও বলেছি যে, এটি আপনার ক্ষেত্রে ভালো কাজ করতে পারে আবার এটি আপনার জন্য খারাপও হতে পারে। এই ক্ষেত্রে সবকিছু নিজ দায়িত্বে বুঝে শুনে করতে হবে।

নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমার মতামত - শেষ কথা

নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে হয়তোবা আমরা ইতিমধ্যে সবকিছু জেনে গিয়েছি এই সম্পর্কে আমার মতামত হলো যে সবকিছু করার আগে একটি নিয়ম মাফিক এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো করা দরকার কোন কিছুই বেশি বেশি করলে তার প্রতিক্রিয়া করতে হবে এই ক্ষেত্রে একজন কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরী।
নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা যেগুলো বছরের-পর-বছর বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক এবং বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন হওয়ার কারণে, এটি বিভিন্ন কাজের জন্য তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই এটি নিজ দায়িত্বে সেবন করবেন এবং কোন প্রকারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হলে নিম পাতা সেবন করা বাদ দিয়ে দিতে হবে। তাহলে আজকে এই পর্যন্তই সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন, ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url