নিম গাছের ছালের উপকারিতা
নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতানিম গাছের ছালের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আপনারা জানলে হয়তো বা অবাক হতে পারেন,
যে নিম গাছের পাতার পাশাপাশি এই গাছের ছালের ও এতো উপকারী এবং ঔষধি গুনাগুন
রয়েছে? আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরের জবাব দেওয়ার জন্যই, আজকে এসেছি আপনাদের
মাঝে।
আপনারা হয়তোবা নিমগাছ সম্পর্কে অনেক জেনেছেন বা নিম গাছের পাতার উপকারিতা
সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন, কিন্তু অনেকে আছে যারা এই সম্পর্কে বেখেয়াল এবং নিম
গাছের ছালের ও যে অনেক উপকারিতা রয়েছে সেই সম্পর্কে বেশিরভাগই অজানা, আজ তা
সম্পর্কে জানাবো।
পোস্ট সূচিপত্র - নিম গাছের ছাল সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সবকিছু
- নিম গাছের ছালের উপকারিতা
- নিম গাছের ছাল ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নিন
- নিমের ছাল কিভাবে খেতে হয়?
- প্রতিদিন কতটুকু নিমের ছাল খাওয়া উচিত?
- নিম গাছের ছালের সাহায্যে নিরাময় করুন ৮ রোগ
- দৈনন্দিন জীবনে নিম গাছের ছালের ব্যবহার
- নিম গাছের ছাল কি এলার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে?
- নিম গাছের ছালের কার্যকারিতা
- নিম গাছের ছালের সকল অজানা তথ্য সম্পর্কে জানুন
- নিম গাছের ছাল সম্পর্কে আমার মতামত - শেষ কথা
নিম গাছের ছালের উপকারিতা
নিম গাছের ছালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সম্পর্কে
নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ১। ঔষধিক গুণঃ নিম গাছের ছাল একটি আধারিত মুখ্য ঔষধি। যা নিমবিজ্ঞানিক (Nimbolide) ভাবে উল্লেখযোগ্য। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেমন ব্যাথা, জ্বর, স্কোরবিউটিক ছত্রাকের বিপদগ্রস্ততা ইত্যাদি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
- ২। শুদ্ধিকরণ বৈশিষ্ট্যঃ নিম ছাল পানির পরিশুদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়, যেনো জলের বিভিন্ন মানকে উন্নত করতে পারে। এটি জলের গন্ধ ও রঙ ঠিক করতে সাহায্য করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর।
- ৩। কীটনাশক বৈশিষ্ট্যঃ নিম গাছের ছালের পরিমাণিত ব্যবহার যেটি কীটনাশক হিসেবে কাজ করতে পারে, যেমন মশা জাতীয় ছোট ছোট ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মারতে সাহায্য করে।
- ৪। জ্বালানি বিশেষত্বঃ নিম গাছের ছালে জ্বালানি বিশেষত্ব থাকে, যা আগুনে পোড়ালে এটি থেকে যে ধোঁয়া তৈরি হয় সেই ধোয়া আশেপাশের পরিবেশের রোগজীবাণুগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্রিয়াশীল হতে সাহায্য করতে পারে।
- ৫। ত্বকের যত্নঃ নিমের ছালের উপাদান রোগ ব্যাথা, জ্বালা এবং খুশকি দুর করে ও ত্বকের উপকারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ৬। প্রতিরোধশীলতাঃ নিমের ছালের বিভিন্ন গুণ রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, কোলেরা, আর্থরাইটিস, ইত্যাদি সমস্যার বিরুদ্ধে।
- ৭। জরিবুটি ও ওষুধ তৈরিঃ নিম গাছের ছাল দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা তে জরিবুটি এবং বিভিন্ন অসুখের জন্য এবং সমস্যার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওষুধ তৈরি করে থাকে। তাছাড়া এটি দিয়ে শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী এবং রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হয়।
এই সব নিম গাছের ছালের উপকারিতা ও যার ছাল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছ হিসাবে
ব্যবহৃত হয়। তবে, এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে
পারেন। সেই জন্য বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
নিম গাছের ছাল ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে জেনে নিন
নিম গাছের ছাল একটি প্রাচীন চিকিৎসার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিমের
ছালের ব্যবহারের নিয়মাবলী সম্পর্কে নিচে কিছু নিয়ম উল্লিখিত করা হোলঃ
- ১। তাজা নিম ছালের ব্যবহারঃ নিমের ছাল বেশি শুষ্ক না হয়ে বরং সরাসরি গাছ থেকে তোলা ছাল ব্যবহার করা উচিত। তাজা ছাল ব্যবহার করতে হলে ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
- ২। ভালো ছাল নির্বাচন করাঃ নিমের ছাল সাধারণত উপরের অংশটা রুক্ষ হয়, সে জন্য উপরের অংশটা ভালোভাবে ছুড়ে নিয়ে ভিতর থেকে ভালো ও ছাল নির্বাচন করতে হয়।
- ৩। ছালের পরিমাণঃ নিমের ছাল বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সামান্য ছালী যথেষ্ট।
- ৪। ব্যবহারের পদ্ধতিঃ নিম ছাল সাধারণত আপনি গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারবেন। নয়তো সেই ছাল ভালোভাবে গুঁড়ো করে সেটি পানির সাথে মিক্স করে সেবন করতে পারবেন, তাছাড়া আপনি ছাল ভালোভাবে সিদ্ধ করে সেটি প্রতিদিন সকালে একটু করে খেতে পারবেন। তাছাড়া এটি আপনি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
- ৫। জ্ঞানের প্রয়োজনঃ নিমের ছাল ব্যবহারের আগে এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা উচিত এবং একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- ৬। ব্যবহারের সীমাঃ নিমের ছাল ব্যবহারের একটি সীমা রয়েছে যেটি খুবই অল্প মাত্রায় সেবন করতে হবে এবং কোন প্রকার সমস্যা দেখা দিলে, তাহলে এটি গ্রহণ করা বাদ দিয়ে দিতে হবে এবং গ্রহণ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
- ৭। সতর্কতাঃ নিমের ছাল ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত কোনো প্রতিকূল প্রভাব হতে পারে যেমন অ্যালার্জি বা অন্যান্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই এটি সেবন করা বাদ দিতে হবে।
এই নিয়মাবলীগুলি অনুসরণ করে, নিম গাছের ছালের উপকারিতা উঠানো উচিত। যেহেতু এটি
প্রাকৃতিক উপাদান, তাই অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কোন প্রকারের ক্ষতি না হলেও অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।
নিমের ছাল কিভাবে খেতে হয়?
নিমের ছাল বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়, এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার রুচির
ওপরে, যে আপনি কিভাবে খাতে সুবিধা বোধ করেন বা অভ্যস্ত। এটি বিভিন্ন রূপে তৈরি
করে আপনি নিজের মতো করে সেবন করতে পারবেন বা ব্যবহার করতে পারবেন তাছারা নিমের
ছাল খেতে হলে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা যেতে পারেঃ
- ১। তাজা নিম ছাল খাওয়াঃ তাজা নিমের ছাল নিয়ে এসে সেটা পরিষ্কার করে শুদ্ধ এবং জীবাণুমুক্ত করে, সেটি সেবন করা অত্যন্ত উপকারী এবং এই প্রক্রিয় খাওয়ার গুনাগুনটা একটু বেশি কিন্তু এটি খাওয়া অত্যন্ত জটিল।
- ২। শুকানো নিম ছাল খাওয়াঃ নিম সাল নিয়ে এসে সেটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে রৌদ্রে শুকিয়ে সেটি আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারবেন। নয়তো সেই গুঁড়ো দিয়ে ওষুধের মতো করে বড়ি বানিয়ে সেবন করতে পারবেন।
- ৩। চা তৈরির জন্য ব্যবহারঃ নিমের ছাল আপনি পানির সাথে ফুটিয়ে সেই পানি চায়ের মতো করে খেতে পারবেন।
- ৪। পানির সাথে মিক্স করে খাওয়াঃ শুকনো নিমের ছালের গুঁড়ো করে, সেটি প্রতিদিন পানির সাথে মিক্স করে খেয়ে নিতে পারবেন খুব সহজে।
নিম গাছের ছালের উপকারিতা গুলো যা এই রকম বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। যে
পদ্ধতিটি পছন্দ হবে সেটি আপনি নির্ধারণ করে নিতে পারেন আপনার প্রকৃতি ও রুচিমত
অনুসারে। তবে এসব ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে সেবন করা প্রয়োজন কারণ এগুলো বেশি
সেবন করে ফেললে, আপনার ভালো হওয়ার থেকে ক্ষতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে
অবশ্যই দেখে শুনে এবং বুঝে শুনে, ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে সেবন করতে হবে।
প্রতিদিন কতটুকু নিমের ছাল খাওয়া উচিত?
নিমের ছালের দৈনিক খাবারের পরিমাণ ব্যক্তির স্বাস্থ্যসম্মত সাপেক্ষে পরিবর্তণ
হতে পারে। সাধারণত স্বাস্থ্যসম্মত নিমে ছাল খাবারের পরিমাণ, দৈনিক প্রতি
ব্যক্তির চাহিদা, বয়স, ওজন, পুরুষ বা মহিলা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর
করে। একজন প্রাথমিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বা ঔষধের পরবর্তীতে বা নিমের ছাল
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে চাইলে, প্রতিদিন একটি বা দুটি ছোট
ছোট টুকরা নিমের ছাল খেতে পারেন। তবে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে কেউ নিমের ছাল
ব্যবহারের পূর্বে নিম্নলিখিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মনে রাখেনঃ
- ১। নিমের ছাল সাধারণত পুরোপুরি খাওয়া না গেলেও অনেক সময় শুকানো নিমের ছাল চা রূপে ব্যবহার করা হয়।
- ২। অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে অসুস্থতা হতে পারে, তাই স্বাস্থ্যসম্মত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
- ৩। যে কোনো নতুন খাবার বা ঔষধ শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- ৪। কোন প্রকারের চিকিৎসার আওতায় আছেন বা গর্ভাবস্থায় থাকলে নিম থেকে দূরে থাকা উচিত।
যেহেতু আমি ডাক্তার না, তাই এক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকারের সমস্যা হয়ে গেলে তখন
আমার আর কিছু করার থাকবে না। আর আমি চাইনা যে আমার প্রিয় পাঠকদের বা দর্শকদের
কোন প্রকারের সমস্যার সম্মুখীন করতে না হয় তাই সবশেষে, যে কোন ধরনের
কর্মকাণ্ডের আগে বা ঔষধ ব্যবহারে পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
নিম গাছের ছালের সাহায্যে নিরাময় করুন ৮ রোগ
নিম গাছের ছালের বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সম্মত উপকারিতা রয়েছে এবং এটি বিভিন্ন
রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। নিমের ছালের বিশেষ উপকারিতা থাকায় এটি
প্রাচীনতম চিকিৎসার উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ছালের ব্যবহারের
মাধ্যমে নিমের গুণাবলী প্রয়োজনীয় যেকোনো রোগের চিকিৎসার উপায় হিসাবে ব্যবহৃত
হয়ে থাকে। কিছু রোগ যেগুলোর চিকিৎসায় নিমের ছাল ব্যবহার করা হয়ঃ
- ১। ম্যালেরিয়াঃ নিমের ছালের বিভিন্ন উপাদান ম্যালেরিয়ার রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
- ২। ডেঙ্গুঃ নিমের ছালের বিশেষ গুণাবলী ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।
- ৩। কোলেরাঃ নিমের ছালের প্রতিরোধশীলতা কোলেরা রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।
- ৪। আর্থরাইটিসঃ নিমের ছালের বিভিন্ন উপাদান শ্রমে এবং স্থলে স্থানীয় অ্যারিয়াল ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ৫। জঠরার সমস্যাঃ নিমের ছাল পেটের সমস্যা যেমন পেটের গ্যাস, এসিডিটি ইত্যাদি নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
- ৬। ব্রনকাইটিস ও এসথমাঃ নিমের ছাল শ্বাসকষ্টে ভালো করতে সাহায্য করতে পারে এবং ব্রনকাইটিস ও এসথমার লক্ষণ নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
- ৭। প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনঃ নিমের ছালের বিভিন্ন প্রকৃতিক উপাদান প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে।
- ৮। ত্বকের সমস্যাঃ নিমের ছালের উপকারী উপাদান গুলো ত্বকের এলার্জি চুলকানি বিভিন্ন ধরনের স্কিন ইরিটেশন জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে পারে।
নিম গাছের ছালের উপকারিতা গুলি ও এইভাবে, নিমের ছালের ব্যবহারের মাধ্যমে
বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা সম্ভব। তবে, রোগের ধরন এবং চিকিৎসা প্রণালী
নির্ধারণে আগে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
দৈনন্দিন জীবনে নিম গাছের ছালের ব্যবহার
নিম গাছের ছাল একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ, যা বিভিন্ন উপকারিতা প্রদান করে।
এটি প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসার উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিমের ছালের
বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী থাকায় এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত
হয়ে থাকে। নিমের ছালের ব্যবহারের মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, কোলেরা,
আর্থরাইটিস, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ত্বকের সমস্যা, পেটের সমস্যা ইত্যাদি রোগের
চিকিৎসার উপায় পাওয়া যায়।
তাছাড়া আপনি নিমের ছাল প্রতিদিন আপনার সকালের খাবারের লিস্টে এড করতে পারেন।
যেটি আপনি চায়ের অনুরূপে ব্যবহার করতে পারেন বা এটি আপনি শুকনো গুড়া করে পানির
সাথে মিক্স করে খালি পেটে সকালে এক গ্লাস পানি খেতে পারেন। নয়তো এটি আপনি বড়ি
বানিয়ে ওষুধের ন্যায় আপনি এটি গ্রহণ করতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার দৈনন্দিন
জীবনে নিমের ছাল খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।
নিম গাছের ছাল কি এলার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে?
নিমের গাছের ছাল অনেক জনের ক্ষেত্রে এটি এলার্জির বিরুদ্ধে কাজ করে, আবার এটি
অনেক জনের ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। কারণ সবার শরীরের কন্ডিশন একরকম হয় না,
সবাই আলাদা আলাদা হয়ে থাকে এবং সবার শরীরের কাঠামোটা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
যার কারণে সবার শরীরে নিমগাছের ছাল কাজ নাও করতে পারে। তবে এটি যদি কাজ না করে
থাকে, অবশ্যই আপনি নিম গাছের ছালের পেস্ট বানিয়ে আপনি এলার্জির জায়গাতে
ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করা যায় আপনি অনেক আরাম পাবেন।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা
আসলে সবার শরীরের এলার্জির কন্ডিশন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে এবং এলার্জির পরিমাণ
টাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রথমে আগে ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ করে নিতে হবে। তারপরে আপনাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সকল প্রাকৃতিক নিয়ম
কানুন আপনি চাইলে অবলম্বন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যে বেশি
ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার আরো বেশি এলার্জির পরিমাণ বাড়তে পারে। তায় আপনাকে
খুব অল্প মাত্রায় আগে ব্যবহার করে দেখতে হবে। তারপরে পরবর্তীতে আপনি এটি আস্তে
আস্তে বাড়াতে পারেন।
নিম গাছের ছালের কার্যকারিতা
নিম গাছের ছাল ব্যবহারের কার্যকারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই ছালে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যেমন প্রোটিন,
বিটামিন, মিনারেল, এন্টিফুংগাল, এন্টিব্যাকটেরিয়াল ইত্যাদি, যা বিভিন্ন
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নিমের ছাল বিভিন্ন চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন
পেটের সমস্যা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ব্রনকাইটিস, জঠরার সমস্যা ইত্যাদির
চিকিৎসায় নিমের ছাল ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও, নিমের ছাল প্রাকৃতিক ঔষধ হিসাবেও ব্যবহৃত হতে পারে এবং অন্যান্য
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যেমন নিম গাছের ছাল দিয়ে ওষুধ তৈরি, নিম গাছের ছালের উপরে
সাজেশন তৈরি, প্রতিষ্ঠানিক ব্যবসায় ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। এই কারণে, নিমের ছাল
একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় এবং মানুষের
জীবনে বিভিন্নভাবে উপকার আসে।
নিম গাছের ছালের সকল অজানা তথ্য সম্পর্কে জানুন
নিম গাছের ছাল একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ যা বিভিন্ন উপকারিতা ও ব্যবহার
সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। নিচে নিম গাছের ছাল সম্পর্কে আপনাদের কিছু
অজানা তথ্য জানানো হলোঃ
- ১। উদ্ভিদের বৈচিত্র্যঃ নিমের ছালের গঠন, রঙ, আকার যা প্রাকৃতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ২। প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক উদ্ভিদঃ নিমের ছাল ব্যবহার করে কোন ধরনের রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব সেই সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
- ৩। জীবানুনাশকঃ নিমের ছাল বিভিন্ন জীবানুনাশক দ্রব্য এবং কেমিক্যাল ইত্যাদির প্রাকৃতিক উৎস হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
- ৪। প্রযুক্তিগত ব্যবহারঃ নিমের ছাল কীভাবে ঔষধ, কসমেটিক্স, পরিসর সাজানো, চিকিৎসা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় তা সম্পর্কে জানা উচিত।
- ৫। পরিসংখ্যান এবং গবেষণাঃ নিমের ছালের সম্পর্কে যে কোনো গবেষণা অথবা পরিসংখ্যানের তথ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- ৬। প্রযুক্তিগত ব্যবহারঃ নিমের ছালের কোনো উপকারিতা আছে কীনা তা জানা উচিত, এমনকি নিম গাছের ছালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিমের ছাল সম্পর্কে এই ধরনের অজানা তথ্য অনুসন্ধান ও তা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্ভিদের সঠিক ব্যবহার এবং সেই সকল উদ্ভিদের উপকারিতা গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজে
উপকৃত হওয়া যায়।
নিম গাছের ছাল সম্পর্কে আমার মতামত - শেষ কথা
নিম গাছের ছাল সম্পর্কে আমি আমার এই পুরো পোস্টটিতে নিম গাছের ছালের
উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছি হয়তো বা আপনারা এখান থেকে অনেক কিছু
জানতে পেরেছেন। আসলে নিম গাছের ছাল এমন একটি উপাদান যেটি নিম গাছের পাতার মতন
অনেক উপকারী এবং এটি অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন চিকিৎসার কাজে,
আয়ুর্বেদিক কাজের জন্য, যার যেমন ভাবে দরকার সেভাবে আপনি এটি ব্যবহার করতে
পারবেন।
আসলে এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান এই কারণে এটি দ্বারা উপকার পেতে অনেক সময় লাগে।
তার জন্য আপনাকে সময়মতো এবং পরিমাণমতো সবকিছু সেবন করতে হবে। অবশ্যই বেশি সেবন
করা যাবে না। এটা আপনার উল্টা ক্ষতি হতে পারে। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিতে হবে। আর এই পুরো পোস্টটি পড়ে আপনি যদি একটু
উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আজকে তাহলে এই পর্যন্তই, আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url