কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে

দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার ভূমিকাকম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে এটি জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলে একটি সিস্টেম যা বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইস এবং সার্ভারকে একে অপরের সাথে চুয়ানযুক্ত করে।

কম্পিউটার-নেটওয়ার্কের-মৌলিক-ধারণাএর মাধ্যমে তথ্য এবং তথ্যের সম্পদ শেয়ার করার জায়গা আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম একটি প্রধান স্তম্ভ। আচ্ছা আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা নতুন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্র: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে জানুন

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক খোলা এমন একটি সিস্টেম চাপা বিভিন্ন কম্পিউটার এবং ডিভাইসকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে তথ্য আদান প্রদান করার সুযোগ করে দেয়। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে তা বোঝার জন্য মূল কিছু উপাদান এবং ধারণা জানা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেমন নোটস হাফ সুইচ রাউটার মডেম। নেটওয়ার্কের মৌলিক উপাদান হলো নোডস। এটি এমন একটি ডিভাইস যা নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকে উদাহরণস্বরূপ কম্পিউটার স্মার্টফোনে ইন্টার সার্ভার ইত্যাদি। মিডিয়া হলো তথ্য পরিবহনের মাধ্যম এটি হতে পারে কেবল অথবা বেতার। এছাড়াও হাব একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস নোটগুলিকে সংযুক্ত করে এবং সব ডেটা প্যাকেট নেটওয়ার্কের সব নোটি পাঠায়।

আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার তুলনা 

রাউটার এটি বিভিন্ন নেটওয়ার্কের সংযুক্ত করে এবং ডেটা প্যাকেট গুলোকে সঠিক পথে প্রেরণ করে। মডেম এটি ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে এবং এটা প্রেরণ করে। এই ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাজ করে থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক একটি জটিল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম যা তথ্যের দ্রুত এবং কার্য করে আদান-প্রদান নিশ্চিত করে। এটি বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য এবং সংস্থান শেয়ারিং সহজ করে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়ন এবং অন্য নতুন উদ্ভাবন আমাদের ডিজিটাল জীবনকে আরো উন্নত করেছে এবং ভবিষ্যতেরও এর গুরুত্ব অব্যাহত থাকবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মৌলিক ধারণা জেনে নিন

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলে একটি সিস্টেম যা বিভিন্ন কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসকে একসাথে সংযুক্ত করে। এটি একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে তথা আদান-প্রদান করার জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য হলো তথ্য ও সংস্থান শেয়ারিং এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।

কম্পিউটার-নেটওয়ার্কের-প্রধান-উপাদানএই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এখন আর আগেকার মতো আমাদেরকে কষ্ট করতে হয় না। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি এবং যেকোনো তথ্য জানতে পারি। তাই আমাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে জানা জরুরি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ গুলো জেনে নিন

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিভিন্ন প্রকারভেদের হয়ে থাকে। কেমন ল্যান, ওয়ান, ম্যান, ভিপিএন। নিম্নে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ গুলো দেখানো হলো:

  • LAN (Local Area Network): এটি একটি সীমিত জায়গায় যেমন একটি অফিস বা বাড়িতে ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক।
  • WAN (Wide Area Network): এই নেটওয়ার্ক টি বড় পরিসরে যেমন শহর বা দেশব্যাপী সংযোগ স্থাপন করে থাকে।
  • MAN (Metropolitan Area Network): এই নেটওয়ার্কটি শহরের মধ্যে স্থাপন করা হয়ে থাকে।
  • VPN (Virtual Private Network): এটি একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিরাপদ এবং ব্যক্তির সংযোগ সৃষ্টি করে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রধান উপাদান গুলো জেনে নিন

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাজ করে থাকে। নিম্নে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মূল উপাদান গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • নোডস: নোডস যেকোনো ডিভাইস বা নেটওয়ার্কের সংযুক্ত থাকে যেমন কম্পিউটার স্মার্ট কম্পিউটার বা স্যান্সার্ভার।
  • মিডিয়া: তথ্য পরিবহনের মাধ্যম হচ্ছে মিডিয়া, যা কেবল হতে পারে যেমন ইথারনেট কেবল অথবা বেতার প্রযুক্তি যেমন ওয়াইফাই।
  • হাব: নোটগুলোর মধ্যে তত পাঠানোর এবং গ্রহণ করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হাব। সংযুক্ত করে এবং ডেটা প্যাকেট গুলো সব নোটি বিতরণ করে।
  • সুইচ: সুইচ একটি স্মার্ট ডিভাইস যা শুধুমাত্র প্রয়োজন নোটের ডেটা পাঠায়।
  • রাউটার: রাউটার বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করে থাকে এবং তার থেকে সঠিক পথে প্রেরণ করে।
  • মডেম: মডেম ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের টোপোলজি গুলো সম্পর্কে জেনে নিন

নেটওয়ার্কের আর্কিটেকচার কিভাবে ডিজাইন করা হয়েছে তা বোঝাতে টোপোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম্নে প্রধান টোপোলজি গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • স্টার টোপোলজি: সব নোট এটি কেন্দ্রীয় হাফ বা সুইচ এর সাথে সংযুক্ত থাকে যা স্টার্ট টোপোলজি নামে পরিচিত।
  • বাস টোপোলজি: এই টোপোলজিতে সমর্থ্য নোট একটি একক কেবল এর সাথে সংযুক্ত থাকে।
  • রিং টোপোলজি: নোট গুলো একটু লুক বা রিং এ সংযুক্ত থাকে যার রিং নামে পরিচিত।
  • মেশ টোপোলজি: প্রতিটি নোট অন্য সব নোটের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে যা মেটস টোকোলোজি নামে পরিচিত।

নেটওয়ার্কের প্রটোকল এবং স্ট্যাক সম্পর্কে জানুন

নেটওয়ার্ক প্রটোকল হলো নিয়ম ও স্ট্যান্ডার্ড গুলোর সেট যা নেটওয়ার্ক ডিভাইস গুলোর মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। ইন্টারনেটের মূল প্রটোকল হলো TCP বা IP (Transmission Control Protocol/ Internet Protocol) যা নিশ্চিত করে যে যেটা সঠিকভাবে পাঠানো হয়েছে এবং ডেটার গন্তব্য নির্ধারণ করে। আবার HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) এটি ওয়েব পেজের জন্য ব্যবহৃত প্রটোকল। 

এছাড়া আর একটি প্রটোকল হচ্ছে FTP (File Transfer Protocol) এটি ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত একটি প্রটোকল। SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) এই প্রটোকলের মাধ্যমে ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রটোকল গোলের একটি স্ট্যাক যেমন OSI (Open Systems Interconnection) মডেল বা TCP/ IP ট্যাগ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন স্তর ব্যাখ্যা করে। OSI মডেলটি সাতটি স্তরের বিভাজন পরে যেমন ফিজিক্যাল স্তর, ডেটা লিংক স্তর, নেটওয়ার্ক স্তর, ট্রান্সপোর্ট স্তর, সেশন স্তর, প্রেজেন্টেশন স্তর এবং অ্যাপ্লিকেশন স্তর।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ডাটা ট্রান্সমিশন কি জানুন

ডেটা নেটওয়ার্কের স্থানান্তরিত হয় প্যাকেটের মাধ্যমে। প্রতিটি প্যাকেট একটি নির্দিষ্ট আকারের তথ্য ব্লক গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য রূট নির্ধারণ করে। ডেটা ট্রান্সমিশনের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে যথা সার্কুইট সুইচিং এবং প্যাকেট সুইচিং। সার্কিট সুইচিং হলো এটি একটি নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে। উদাহরণস্বরূপ টেলিফোন নেটওয়ার্ক। আর প্যাকেট সুইচিং হল ডেটা প্যাকেটের মাধ্যমে পাঠানো হয় এবং প্রতিটি প্যাকেট আলাদাভাবে রুট করা হতে পারে যেমন ইন্টারনেট।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা এবং এনক্রিপশন

নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তাই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো এনক্রিপশন, ফায়ারওয়াল, ভাইরাস স্ক্যানার। এপ্রিপশন হল তথ্য এমন ভাবে কোট করা হয় যা অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারে না যেমন HTTPS প্রোটোকল।

কম্পিউটার-নেটওয়ার্কের-ডাটা-ট্রান্সমিশন-কিআবার ফায়ারওয়াল হলো এমন একটি সিস্টেম জামা অনুমোদিত এবং অ-অনুমোদিত ট্রাফিককে পৃথক করে। আর ভাইরাস স্ক্যানার হচ্ছে ম্যালওয়্যার বা virus সনাক্ত করতে এবং অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়। তাই আমাদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে জানা জরুরি।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানুন

নেটওয়ার্ক পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে মনিটরিং, ক্রুটি সমাধান, আপডেট এবং প্যাচ।

আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার সায়েন্সের মৌলিক ধারণা

নেটওয়ার্কের স্বাস্থ্য এবং কার্যক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে সেজন্য। আবার সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার আপডেট করা এবং সুরক্ষা প্যাচ ইন্সটল করতে হবে।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ভবিষ্যতের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি সম্পর্কে জানুন

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা পেতে হলে আমাদের দেখতে হবে বর্তমান প্রযুক্তির প্রবণতা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা গুলো। আধুনিক নেটওয়ার্কের প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এটি পরিবর্তিত হতে থাকবে। নিম্নে কিছু ভবিষ্যতের উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • 5G ও 6G: পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি যা উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তর ডাটা ট্রান্সফার গতি কমল্যাটেন্স এবং বৃহত্তর কানেক্টিভিটি প্রদান করে থাকে। এটি ইন্টারনেট অফ থিংস স্মার্ট শহর এবং স্বাস্থ্যশাসিত যানবাহনের মতো নতুন প্রযুক্তি এবং পরিষেবা গুলোর জন্য একটি শক্তিশালী বিত্তি তৈরি করে। এছাড়াও ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রযুক্তি যা ফাইভ জি এর এর পরবর্তী পদক্ষেপ। ৬জি প্রযুক্তি উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গভীর রিয়াল টাইম এন্ড এনালিটিক্স এবং অত্যন্ত উচ্চগতির সংযোগ সুবিধা প্রদান করবে। ৬জি এর ধারণা আরো উন্নত ডেটা ট্রান্সফার নিম্ন ল্যাটেন্সি এবং উন্নত সংযোগ সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে যা মহাকাশ থেকে অঙ্গীভূত ডিভাইসের সাথে সংযোগ করা সহজ করবে।
  • ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক: সাইবার অপটিক প্রযুক্তি ডেটা ট্রান্সমিশনে আলো ব্যবহার করে যা অত্যন্ত উচ্চগত এবং বড় পরিমাণ ডাটার সঠিক স্থানান্ত নিশ্চিত করে। ভবিষ্যতে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক আরও সম্প্রসারিত হবে এবং এটি গ্লোবাল ডেটা ট্রান্সমিশন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  • সফটওয়্যার ডিফাইন্ড নেটওয়ার্ক: একটি আধুনিক নেটওয়ার্ক আরকিটেকচার হচ্ছে সফটওয়্যার ডিফেন্ড নেটওয়ার্ক। যা নেটওয়ার্ক কনফিগারেশনকে সহজ করে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল চাহিদা অনুযায়ী নেটওয়ার্ক রিসোর্স পরিচালনা করতে সক্ষম। এছাড়াও SDN WAN এর একটি বৈশিষ্ট্য যা ওয়ান পরিচালনাকে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে। hd ওয়ান একটি কেন্দ্রীয় ম্যানেজমেন্ট পয়েন্ট প্রদান করা যায় বিভিন্ন অফিস বা শাখার মধ্যে নিরাপদ এবং দক্ষ সংযোগ প্রদান করে।
  • নেটওয়ার্ক ফাংশন ভার্চুয়ালাইজেশন: এটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ফাংশন যেমন রাউটিং ফায়ার ওয়াল ভার্চুয়ালাইজড সেবা হিসেবে সরবরাহ করে। এটি হার্ডওয়ার ডিভাইস গুলোর উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয় এবং নেটওয়ার্ক ফাংশন গুলোর উন্নয়ন ও স্কেলিং সহজতর করে।
  • ইন্টারনেট অফ থিংস: এটি বিভিন্ন ডিভাইস ও সেন্সরকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে যা স্মার্ট টিভি স্মার্টফোন এবং শিল্প ৪.০ এর মত ক্ষেত্র গুলোতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। এটি ডিভাইসের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ যেটা সম্ভব বিশ্লেষণ করা সম্ভব। 
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং নেটওয়ার্ক অপারেশন ও সুরক্ষার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্যা শনাক্ত করতে এবং সমাধান করতে সক্ষম। এছাড়াও এআই নিরাপত্তা সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
  • বেতার প্রযুক্তির উন্নতি: ওয়াইফাই সিক্স এবং ওয়াইফাই সেভেন উন্নত গ্রেড তার প্রযুক্তিতে আরো উচ্চগতি ডেটা ট্রান্সফার এবং বড় পরিসরের কভারেজ প্রদান করবে। ওয়াইফাই সিক্স এবং ভবিষ্যতের ওয়াইফাই সেভেন প্রযুক্তি অধিক সংখ্যক ডিভাইসকে একত্রে সংযুক্ত করতে সক্ষম হবে।
  • ব্লকচেইন এবং ডিস্ট্রিবিউটেড লেজার প্রযুক্তি: এই ব্লকচেইন একটি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার যা ট্রানজেকশন রেকর্ডিং এবং ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ব্লক চেইন প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন সাইবার নিরাপত্তা এবং ডাটা ইন্টিগ্রিটিতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক: কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কোয়ান্টাম ক্রিপটোগ্রাফি ব্যবহার করে অত্যন্ত নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে সক্ষম। কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ভবিষ্যতে এক নতুন ধরনের নিরাপত্তা প্রদান করবে।

আমাদের শেষ কথা

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক একটি জটিল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম চা তথ্যের দ্রুত এবং কার্যকরী প্রধান নিশ্চিত করে। এটি বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে তথ্য এবং সংস্থান শেয়ারিং সহজ করে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নয়ন এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল জীবন আরো উন্নত হচ্ছে এবং এটি ভবিষ্যতেও তার গুরুত্ব বজায় রাখবে। আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে জানতে বিস্তারিত পেরেছেন। এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url