সিটি ব্যাংক সুবিধা - সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক। সিটি ব্যাংক ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সিটি ব্যাংক কর্পোরে এসএমই গ্রাহকদের জন্য নানা ধরনের আর্থিক সেবা প্রদান করে। সিটি ব্যাংকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো উদ্ভাবনী ব্যাংকিং। সিটি ব্যাংকের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটিতে সিটি ব্যাংক সুবিধা, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে থাকছে বিস্তারিত।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য সিটি ব্যাংক অত্যন্ত সুবিধা জনক। সিটি ব্যাংকের বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত সহজ। সহজ কিছু নিয়মের সিটি ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন, হোম লোন পাওয়া যায়। সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলো গ্রাহকের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সিটি ব্যাংকের সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয় জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সিটি ব্যাংক সুবিধা - সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা
সিটি ব্যাংক সুবিধা
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা
সিটি ব্যাংক একাউন্ট চার্জ
সিটি ব্যাংক ভিসা কার্ড
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
সিটি ব্যাংক কার্ড চার্জ
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
সিটি ব্যাংক ডেবিট কার্ড চার্জ
সিটি ব্যাংক সুবিধা
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হওয়ায় প্রচুর গ্রাহক এই ব্যাংকের সুবিধা নিতে ভিড় জমায়। সিটি ব্যাংক সুবিধাগুলো গ্রাহকের জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক। সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে। এর মধ্যে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুবিধা, কারেন্ট একাউন্ট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এছাড়া অন্যান্য বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে। নিচে সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- সেভিংস অ্যাকাউন্ট সুবিধা
- কারেন্ট একাউন্ট সুবিধা
- ডেবিট কার্ডের সুবিধা
- ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
- ইএমআই সুবিধা
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা
- ফিক্সড ডিপোজিট সুবিধা
- পার্সোনাল লোন এর সুবিধা
- এটিএম সুবিধা
- ভিসা ও মাস্টার কার্ডের সুবিধা
সেভিংস অ্যাকাউন্ট সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হলো সেভিংস অ্যাকাউন্ট সুবিধা। আপনি যদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখেন সেক্ষেত্রে উচ্চ সুদের হারে লাভের অংশ পাবেন। এছাড়া সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে প্রতিদিনের জমা উত্তোলনের সুবিধা, স্বয়ংক্রিয় বিল পেমেন্ট, ডেবিট কার্ড ও চেক বই, মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাবেন।
কারেন্ট একাউন্ট সুবিধাঃ সেভিংস অ্যাকাউন্ট এর মতই কারেন্ট একাউন্টও বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করে। কারেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা গুলোর মধ্যে প্রথমত সীমাহীন লেনদেন সুবিধা, সহজে চেকের মাধ্যমে পেমেন্ট ব্যবস্থা, মাল্টিপল ব্রান্সের লেনদেন করার সুযোগ, কম খরচে অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার সুবিধা গুলো পাওয়া যায়।
ডেবিট কার্ডের সুবিধাঃ আপনি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে এটিএম কার্ড থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ই-কমার্স এবং অনলাইন পেমেন্ট করে ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারবেন। এছাড়া নিরাপদ চিফ ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা পাবেন।
ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলোর মধ্যে আরও একটি হল ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা। বর্তমানে পকেটে একটি ক্রেডিট কার্ড না থাকলে অথবা ডেবিট কার্ড না থাকলে বিষয়টা যেন কেমন দেখায়। আমরা অহরহ ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এজন্য ক্রেডিট কার্ড আমাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধা জনক।
সিটি ব্যাংকের এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি কেনাকাটা করলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট পাবেন। পাশাপাশি বড় কেনাকাটায় পাবেন ইএমআই সুবিধা। বিশেষ করে নির্দিষ্ট দোকান ও রেস্টুরেন্টে কেনাকাটা করলে পাবেন বিশেষ ডিসকাউন্ট। এছাড়া ক্যাশব্যাক ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণে থাকছে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা।
ইএমআই সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হলো ইএমআই সুবিধা। আপনি বড় কোন কেনাকাটাই ইএমআই সুবিধার মাধ্যমে সহজ কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন। এমআই সুবিধায় কোন সুদের হার, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পেমেন্ট সুবিধা পাওয়া যায়।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধাঃ সিটি ব্যাংকের একাউন্টে আপনি সহজে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা নিতে পারবেন। বিশেষ করে অনলাইন লেনদেনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। এছাড়া বিল পেমেন্ট, ব্যালেন্স চেক, ফান্ড ট্রান্সফার, অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট ডাউনলোড, নির্ধারিত দিনেই স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট ব্যবস্থা, দ্রুত ও নিরাপদে লেনদেন করতে পারবেন।
ফিক্সড ডিপোজিট সুবিধাঃ সিটি ব্যাংকের একাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট সুবিধা রয়েছে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করে আপনি এখান থেকে আয় করতে পারবেন। ফিক্সড ডিপোজিটে উচ্চ সুদের হার, বিনিয়োগে নিরাপত্তা মেয়াদ শেষ হলে শুধু আসল উভয় ফেরত পাবেন। আবার নির্দিষ্ট সময়ে আংশিক উত্তোলনের সুবিধা পাবেন।
পার্সোনাল লোন এর সুবিধাঃ সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলোর মধ্যে আরো একটি হলো পার্সোনাল লোন এর সুবিধা। আপনি পার্সোনাল লোন এর জন্য আবেদন করলে দ্রুত সেই প্রক্রিয়া অনুমোদন করা হয়। পার্সোনাল লোন এর ক্ষেত্রে কম সুদের হার, সহজে পরিশোধের যোগ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচে সহায়তা পাবেন পার্সোনাল লোন সুবিধার মাধ্যমে।
এটিএম সুবিধাঃ সিটি ব্যাংকের রয়েছে সারাদেশে বিস্তৃত এটিএম সুবিধা। আপনি সারা দেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে এটিএম সুবিধা নিতে পারবেন। বিশেষ করে ক্যাশ ডিপোজিট, ব্যালেন্স চেক, মিনি স্টেটমেন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন, করতে পারবেন।
ভিসা ও মাস্টার কার্ডের সুবিধাঃ সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টার কার্ডের সুবিধা সহজেই পাবেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী লেনদেনের সুবিধা পাবেন ভিসা ও মাস্টার কার্ড এর মাধ্যমে। এছাড়া অনলাইন শপিং ও পেমেন্টের জন্য নির্ভরযোগ্য সিটি ব্যাংকের ভিসা ও মাস্টার কার্ড। এছাড়া ভিসা ও মাস্টার কার্ড ব্যবহারে বিভিন্ন অফার পাবেন।
প্রিয় পাঠক উপরে সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলো পয়েন্ট আকারে আলোচনা করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। সিটি ব্যাংকের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে উপরে দেওয়া এই সুবিধা গুলো সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। আশা করি সিটি ব্যাংক সুবিধা গুলো কি সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা
অনেকেরই সিটি ব্যাংকে একাউন্ট আছে। তারা চান সিটি ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে। তাই নিয়মিত খোঁজ করেন সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা গুলো সম্পর্কে। সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রচুর। সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে কেনাকাটা করলে রিওয়ার্ড পয়েন্ট অর্জন করা যায়। পরবর্তীতে এই রিওয়ার্ড পয়েন্ট বিভিন্ন অফার ও ডিসকাউন্ট এর জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
এছাড়া বেশ কিছু নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ক্যাশব্যাক এর সুবিধা রয়েছে ফলে আপনার ব্যয় সাশ্রয় হবে। তাছাড়া বড় কেনাকাটার জন্য ইএমআই সুবিধা অত্যন্ত উপযোগী। যেখানে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সহজ কিস্তিতে এই অর্থ পরিষদের সুযোগ পাবেন। সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা বিল পেমেন্ট, ফ্লাইট টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন,
সহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করতে পারবেন। সিটি ব্যাংকের নির্দিষ্ট দোকানগুলোতে বিশেষ করে যেমন রেস্টুরেন্ট অনলাইন প্লাটফর্মের অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে কেনাকাটা করলে প্রমোশন প্রদান করা হয়। এছাড়াও সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা বলে শেষ করার মত নয়। আশা করি সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সিটি ব্যাংক একাউন্ট চার্জ
সিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশ কিছু চার্জ নেওয়া হয়। বিশেষ করে একাউন্ট মেন্টেন চার্জগুলো সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। সিটি ব্যাংক একাউন্ট মেন্টেন চার্জ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ফ্রি। তবে ৫০০১- ২৫,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি ছয় মাসে ১০০ টাকা চার্জ। ২৫,০০০ হাজার টাকার উপরে ব্যালেন্স থাকলে প্রতি ছয় মাসে ৩০০ টাকা চার্জ। এছাড়া অর্ধবছরের ক্ষেত্রে যে কোন পরিমাণ ব্যালেন্স থাকলে ৩০০ টাকা চার্জ প্রয়োজ্য।
সিটি ব্যাংক ভিসা কার্ড
অনেকে সিটি ব্যাংক ভিসা কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। বিশেষ করে সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে সহজে আন্তর্জাতিক লেনদেন করা যায়। সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড বিশ্বের ২০০টির বেশি দেশে স্বীকৃত।
সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে কেনাকাটা, হোটেল বুকিং, ফ্লাইট টিকিট ক্রয়ের সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্ট করা যায় সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে। সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড ব্যবহার করলে। সিটি ব্যাংকের ভিসা কার্ড ইএমআই সুবিধা রয়েছে। এই ব্যাংকের ভিসা কার্ডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সিকিউরিটি প্রটোকল গুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের। আপনার যেকোনো সময় জরুরী প্রয়োজনে সিটি ব্যাংকে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড বিশ্বের ১৩০টির ও বেশি দেশে স্বীকৃত। বিশেষ করে বিদেশে কেনাকাটা, হোটেল বুকিং, ভ্রমণ, অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড ব্যবহারযোগ্য।
সিটি ব্যাংকের আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডগুলো কাটাই আকর্ষণীয় রিওয়ার্ড পয়েন্ট প্রদান করে। পরবর্তীতে এই পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে আপনি ফ্লাইট টিকিট, গিফট ভাউচার, অথবা একাধিক সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা ও সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। সিটি ব্যাংক সেভিংস অ্যাকাউন্টের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। আপনি সিটি ব্যাংকের সেভিংস একাউন্টের টাকা জমা রাখলে নির্দিষ্ট সময়ে লভ্যাংশ পাবেন। আপনি সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে নগদ অর্থ যেকোনো সময় উত্তোলন করতে পারবেন।
এছাড়া সেভিং একাউন্টের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় বিল পেমেন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রত্যেকটি সুবিধা নিতে পারবেন। মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা গুলো সেভিংস একাউন্টের মাধ্যমে পাবেন।
সিটি ব্যাংক কার্ড চার্জ
সিটি ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু চার্জ প্রযোজ্য। সাধারণত কার্ডের ধরনের উপর ভিত্তি করে এ চার্জ কম বেশি হয়। ডেবিট কার্ড প্রথমবার ইস্যু করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। ডেবিট কার্ডের বার্ষিক ফি ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন করলে ২% চার্জ করা হয়। এটিএম এর ক্ষেত্রে প্রতিটি লেনদেন ২০-৫০ টাকা চার্জ করা হয়। মাসে ৫০০০০ টাকার বেশি বিল পেমেন্ট করলে প্রতিবারের পেমেন্টে ১.৪৯% চার্জ প্রয়োজন হবে।
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ
সিটি ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের জন্য বেশ কিছু চার্জ প্রযোজ্য হয়। বিশেষ করে অ্যাকাউন্ট মেনটেন্সের চার্জ প্রতি ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ফ্রি। ৫০০১- ২৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি ছয় মাসে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ২৫০০০ টাকার উর্ধ্বে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ফি প্রদান করতে হয়। প্রতি ছয় মাসে যেকোনো পরিমাণ ব্যালেন্স থাকলে ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
এটিএম কার্ড প্রথম বছর ফ্রি এবং পরবর্তী বছর থেকে ২০০ টাকা। সাধারণত ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে প্রতিমাসে ৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ নেওয়া হয়। নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে নিজস্ব শাখায় ফ্রি এবং অন্যান্য শাখায় চার্জ প্রযোজ্য।
সিটি ব্যাংক ডেবিট কার্ড চার্জ
সিটি ব্যাংক ডেবিট কার্ডের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি চার্জ নেওয়া হয় না। সিটি ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের প্রতি বছরের চার্জ ১০০০ টাকা। একাউন্ট মেইনটেন্স চার্জ ১৪ ডলার পেমেন্ট করলেই সারা জীবনের জন্য আর কোন চার্জ করা হবে না। প্রথম অবস্থায় ডেবিট কার্ড নেওয়ার জন্য কার্ডের ধরন অনুযায়ী ৭৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। সিটি ব্যাংকের এটিএম এ এই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ ফ্রি। অন্যান্য ব্যাংকের এটিএমে লেনদেন করলে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে সিটি ব্যাংক সুবিধা, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। সিটি ব্যাংক একাউন্টের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে, ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
নিয়মিত এরকম আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। অন্যান্য ব্যাংকিং সম্পর্কিত তথ্য করতে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url