চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
আপনি যদি চেরি ফল অতিরিক্ত পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার উচিত চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং এই ফল খাওয়ার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে তারপরে ফল খাওয়া। আজকের এই আর্টিকেল চেরি ফল নিয়ে।
পেজ সূচিপত্রঃ চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
- চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
- চেরি ফলের গুনাগুন
- চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা
- চেরি ফলের বীজ খেলে কি হয়
- চেরি ফল খাওয়ার নিয়ম
- চেরি ফলের দাম কত
- চেরি ফল চেনার উপায়
- রূপচর্চায় চেরি ফলের ব্যবহার
- আমাদের শেষ কথা
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনেই খেয়ে থাকি। চেরি ফল চেনেনা এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই জীবনে একবার হলেও চেরি ফল খেয়েছি। আমরা যে খাবার গুলো খাই সাধারণত এর মধ্যে কোন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এ বিষয় গুলো না জেনেই খেয়ে থাকি। যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আপনি যদি চেরি ফল পছন্দ করে থাকেন তাহলে খাওয়ার আগে অবশ্যই এই ফলের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের রসের উপকারিতা - পেঁয়াজের রসের অপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
- ওজন কমাতে
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
- হার্টের সমস্যায় দূর করতে
- দ্রুত ক্ষত সারাতে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
- শরীরের ব্যথা দূর করে
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে
- চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধ
- অনিদ্রা থেকে মুক্তি দিতে
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ চরিত্রে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। তাই শরীরকে রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থ রাখতে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে চেরি খেতে পারেন।
ওজন কমাতেঃ ওজন বৃদ্ধি আমাদের সকলের জন্য একটি জটিল সমস্যা। ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা কমে যায়। আমাদের শরীরে চর্বি জমা হলে ওজন বাড়তে থাকে। নিয়মিত চেরি ফল খেলে পেটে চর্বি জমে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেঃ চেরি ফল আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত চেরি ফলে খাওয়ার কারণে দেহে যে মরা সেল বা কোষ থাকে সেটা শক্তিতে পরিণত করে থাকে। এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ চেরি ফলে উচ্চ ফাইবার যুক্ত উপাদান রয়েছে। তাই যারা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত চেরি ফল খেতে পারেন। এতে করে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করবে।
হার্টের সমস্যা দূর করতেঃ চেরি ফল দেহে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে থাকে।চেরিতে থাকা পটাশিয়াম শরীরের সোডিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের হার্টের রোগ রয়েছে। তাদের জন্য চেরি ফলের উপকারিতা অনেক।
দ্রুত ক্ষত সারাতেঃ চেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি তাই দেহের কোন অংশ কেটে গেলে বা ক্ষত হলে চেরি ফলের সে ক্ষত সারাতে সক্ষম।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃ চেরিফরে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ যা আপনার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির সাথে সাথে ও ডায়াবেটিসের সমস্যা ও দূর করে থাকে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেঃ মেয়েদের জন্য চেরি ফল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চেরি ফল খাওয়ার কারনে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
শরীরের ব্যথা দূর করতেঃ চেরিফল বাতের ব্যথা, মাথা ব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেঃ যাঁরা স্মৃতি-দুর্বলতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য চেরি উপকারী। এটি আলঝেইমারের প্রকোপ কমায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।
চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতেঃ চিরে ফেলে শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের যত্ন বৃদ্ধি নয়, এটি সাথে সাথে আমাদের চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে।
অনিদ্রা থেকে মুক্তি দিতেঃ চেরি গুলিতে ঘুম উৎপন্নকারী এজেন্ট রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় কারণ এতে মেলাটোনিন নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ঘুমের ধরণ নিয়ন্ত্রণ করে। চেরি ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরির তুলনায় পাঁচগুণ বেশি মেলাটোনিন ধারণ করে, অনিদ্রাবা ঘুমের ঘাটতি পূরণ করে থাকে।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করতেঃ চেরিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। এগুলো মুক্ত র্যাডিকেল দ্বারা হওয়া সমস্ত ক্ষতির বিরুদ্ধে চোখকে রক্ষা করে। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং চোখের শুষ্কতা এবং সেইসাথে প্রদাহ এবং চোখের সঠিক চাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা আপনারা কয়জন জানেন? সাধারণত গর্ভবতী নারীদের বেশি যত্ন নিতে হয়। এই সময় যে কোন ধরনের খাবার খেতে হলে অতিশতর কথা অবলম্বন করতে হয়। কোন ফল শরীরের জন্য ভালো এবং কোন ফল খারাপ অবশ্যই এ বিষয়ে জেনে নিতে হয়। আমরা অনেকেই চেরি ফল খেতে পছন্দ করি কিন্তু গর্ভবতী নারীদের জন্য এটি উপকারী কিনা এই বিষয়ে অনেকেই জানিনা। গর্ভবতী নারীরা অবশ্যই এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেবেন।
- এমন অনেক ফল রয়েছে যেগুলো গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও মারাত্মক কিন্তু চেরি ফলে বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যা গর্ভবতী মা ও শিশু দুজনের জন্যই উপকারী।
- চেরি ফলের মধ্যে রয়েছে লোহার উৎস। স্বাস্থ্যকর পরিমাণে চেরি খেতে পারলে গর্ভাবস্থায় রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
- চেরিতে উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। যা গর্ভাবস্থায় প্রদাহ প্রতিরোধ করে।
- চেরিতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে শক্তি বাড়ায়, এর ফলে গর্ভবতী মহিলাদের ক্লান্তি দূর করে। এটি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা ভ্রূণের পাশাপাশি মায়ের জন্য অত্যন্ত জরুরী।
- গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এটি প্ল্যাসেন্টায় রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতে সহায়তা করে। যা শিশুর পুষ্টি এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে।
- গর্ভাবস্থায় বমি রোধ এবং রুচি বৃদ্ধি করতে চেরি ফলের স্বাদ আপনার মুখের পরিবর্তন করতে এবং রুচি
- গর্ভবস্থায় নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চেরি থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুন আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে যথাসাধ্য সাহায্য করে থাকে।
চেরি ফলের গুনাগুন
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চেরি ফলের মধ্যে এমন কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আর এই উপকারী উপাদান গুলো রয়েছে তাই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার দেয় কাজে আসে। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে চেরি ফুলের মধ্যে কোন ধরনের গুনাগুন গুলো আছে? চলুন বিস্তারিত ভাবে বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
চেরি ফলের মধ্যে থাকা খনিজ পটাসিয়াম যা স্নায়ুতন্ত্র, পেশীর কার্যকারিতা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। চেরি ভিটামিন এ, সি,ই এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ। চেরির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও চরিত্রে রয়েছে বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম চেরি ফলের মধ্যে যে সকল পুষ্টি উপাদান থাকে তার নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
এর ফলের মধ্যে রয়েছে ক্যালোরি- ৯৭ গ্রাম, প্রোটিন- ১.০৬ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট- ১৬ গ্রাম, ফাইবার- ২.১ গ্রাম, ভিটামিন সি- ৭ মি.গ্রা, পটাসিয়াম- ২২২ মি.গ্রা, ক্যালসিয়াম- ১৩ মি, ম্যাগনেসিয়াম- ১১ মি.গ্রা, ক্যারোটিন-৩৮.০০ মাইক্রোগ্রাম, মেলাটোনিন-১.৬০ মাইক্রোগ্রাম। এই উপাদান গুলো থাকার কারণেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতায় কাজে আসে। পুষ্টি উপাদান পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে চেরি ফল খাওয়া উচিত।
চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা
চেরি ফল খাওয়ার অপকারিতা আছে কিনা? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কেও আমাদেরকে জেনে নিতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে চেরি ফলের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান সাধারণত এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আমাদের শরীরের উপকারিতায় কাজে আসে। তবে যে জিনিসের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু হলেও অপকারিতা পাওয়া যায়। তাই উপকারিতা জানার পাশাপাশি অপকারিতা ও জেনে নিতে হবে।
চেরি ফলে রয়েছে উচ্চ ফাইবারযুক্ত উপাদান যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের পেটের পিড়া এবং গ্যাসের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। আপনার যদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে তাহলে চেরি ফল খেলে এলার্জিজনিত সমস্যা বিপদজ্জনক আকারে বেড়ে যেতে পারে। চেরি ফল খাওয়ার ফলে আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমন এলার্জিযুক্ত ব্যক্তির গলা বন্ধ, শ্বাসকষ্ট এবং আমবাত থাকতে পারে। তাই অতিরিক্ত চেরি ফল খাওয়া থেকে অবশ্যই আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
চেরি ফলের বীজ খেলে কি হয়
চেরি ফলের বীজ খেলে কি হয়? অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। আমরা ইতিমধ্যেই চেরি ফল সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা যারা চেরি ফল খায় সাধারণত তারা খুব ভালোভাবে জানি যে এর মধ্যে ছোট একটি বীজ রয়েছে। এখন অনেকেই জানে না যে চেরি ফলের মধ্যে থাকা বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে চেরি ফল খেয়ে থাকে তাদের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আমরা অনেকেই চেরি ফল খাওয়ার সময় এর মধ্যে থাকা বীজ খেয়ে নেই আবার অনেকেই ফেলে দেয়।
আপনি যদি চেরি ফলের মধ্যে থাকা বীজ খেয়ে নেন এতেও আপনার কোন সমস্যা হবে না আর যদি ফেলে দেন তাও কোন সমস্যা হবে না। কারণ এই চেরি ফলের বীজের মধ্যে কোন উপকারিতা নেই। তাছাড়া চেরি ফলের মধ্যে কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ও নেই। যেহেতু চেরি ফলের বীজ অনেক ছোট তাই কোন সমস্যা হয় না। তবে যে সকল ফলের বীজ অনেক বড় সেগুলো খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে চেরি ফলের বীজ না খেয়ে ফেলে দেওয়াই উত্তম।
চেরি ফল খাওয়ার নিয়ম
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে এই ফল কিভাবে খেতে হয় অর্থাৎ চেরি ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। চেরি ফল খেতে কিন্তু অনেক মজাদার সাধারণত তাই বেশিরভাগ মানুষ এই মজা উপভোগ করার জন্য এই ফল খেয়ে থাকে। কিছু মানুষ রয়েছে যারা উপকারিতা পাবে বলে চেরি ফল খায়। তবে এই ফলের উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই চেরি ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
আমরা অন্যান্য ফল গুলো যেভাবে খাই চেরি ফল সেভাবেই খেতে হয়। চেরি ফল খাওয়ার আলাদা নিয়ম রয়েছে বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। দোকান থেকে কিনে এনে প্রথমে চেরি ফল গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে এরপরে খেতে হবে। যে কোন ফল না ধুয়ে খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি চান তাহলে চেরি ফলের মধ্যে থাকা বিচি ফেলে খেতে পারেন। চেরি ফলের মধ্যে থাকা বিচি খেলেও কোন ধরনের সমস্যা নেই।
চেরি ফলের দাম কত
চেরি ফলের দাম কত? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জেনে নেওয়া যাক। আমরা অনেকেই চেরি ফল কিনতে চাই কিন্তু চেরি ফলের বর্তমান দাম কত সাধারণত এই বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আপনাদের সুবিধার্থে বলে দিতে চাই যে চেরি অনেক দামী ফল। কারণ এই ফলের মধ্যে রয়েছে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান। সাধারণত এই পুষ্টি উপাদান গুলো থাকার কারণে চেরি ফলের দাম অন্যান্য ফলের চাইতে বেশি। আপনি যদি ১ কেজি চের ফল কিনতে যান তাহলে ১ হাজার থেকে বারোশো টাকা গুনতে হবে। বর্তমানে আড়াইশ গ্রাম চেরি ফলের দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
চেরি ফল চেনার উপায়
চেরি ফল চেনার উপায় অনেকেই জানতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই চেরি ফল সম্পর্কে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেকেই চেরি ফল চিনি আবার অনেকে চিরেফল চিনিনা। তবে চেরি ফল চেনেনা এরকম মানুষ খুব কম রয়েছে। প্রতিটি ফল এবং ফুলের বেশ কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিক একই রকম ভাবে চেরি ফলেরও নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
চেরি ফল দেখতে অনেকটা আপেলের মতো কিন্তু এদের আকার আপেলের চাইতে ছোট ছোট। চেরি ফল লাল রঙের হয়ে থাকে। লাল রং ছাড়া অন্যান্য রঙের চেরি ফল দেখতে পাওয়া যায় না। ইউরোপের দেশগুলোতে এই চেরি ফল সবচাইতে বেশি দেখা যায়। তবে বর্তমান সময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এইচআইভির ফল চাষ করা হচ্ছে। চেরি ফল মুখে দিয়ে কামড় দিলে একটা শক্ত ভাব পাওয়া যায়।
রূপচর্চায় চেরি ফলের ব্যবহার
রূপচর্চায় চেরি ফলের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তবে আপনাদের সুবিধার্থে বলে দিতে চাই যে আমাদের রূপচর্চার জন্য চেরি ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রূপচর্চার জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই চেরি ফল। কিন্তু আমরা অনেকেই রূপচর্চার জন্য চেরি ফল ব্যবহার করার নিয়ম এবং কোন ধরনের উপকারিতা রয়েছে তা জানিনা। যদি নিয়মিত চেরি ফল খাওয়া যায় তাহলে আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
আমাদের শেষ কথা
চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে চেরি ফল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি চেরি ফল খেতে পছন্দ করে থাকেন অথবা নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে এই ফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। শুধু এই ফল নয় আমরা যে ধরনের ফল গুলো খেতে চাই অবশ্যই সেই ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা জেনে নিতে হবে।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url