ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধাব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই ভালো ভাবে জানেন না। তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেলটি চমক প্রদ হতে যাচ্ছে। যারা ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে গিয়ে বিভিন্ন হ্যানস্তার শিকার হয়ে থাকেন, তারা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সকল কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বর্তমানে সকলেরই রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট। কিন্তু সকলেরই ব্যাংক একাউন্ট থাকার পরও অনেকেই জানেন না কিভাবে ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে হয়। এই জটিল সমস্যা কে খুবই সহজ ভাবে বুঝতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি আপনি পড়ে নিতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নিই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্র : ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ব্যাংক একাউন্ট কি
- ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে কি কি লাগে
- বিকাশ থেকে কি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো যায়
- ডাচ বাংলা একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ইসলামী ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ব্যাংক টু বিকাশ টাকা ট্রান্সফার চার্জ
- বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- ব্যাংক টু ব্যাংক টাকা ট্রান্সফার চার্জ
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
অনেকেই ব্যাংকে অনেক একাউন্ট খুলেছেন। কিন্তু কিভাবে একাউন্টে টাকা পাঠাতে হয় সেই
বিষয়ে কিছু জানেন না। তাই এই বিষয়ে আপনাদের একটা ধারণা রাখা দরকার। কারন যে কোন
সময়ে যে কোনো কারনে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হয়।
তাই এই বিষয়ে আগে থেকেই যদি একটা ধারণা রাখেন তাহলে পরবর্তীতে আর আপনাকে
বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট করে থাকেন। আমাদের
দেশে অনেক গুলো সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। এই সকল ব্যাংকে হাজার হাজার লোক
একাউন্ট খুলে থাকেন।
আপনি যদি কোনো ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান তাহলে কিছু নির্দিষ্ট নীতি মালা
অনুসরণ করতে হবে। নিচে ব্যাংকের একাউন্টে কিভাবে টাকা পাঠাবেন তার প্রক্রিয়া
বর্ণনা করা হলো।
১. যে মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন
বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পাঠানোর মাধ্যম হলো ব্যাংক ট্রান্সফার, চেক, মোবাইল
ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং। এই গুলো ব্যবহার করে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করা
সম্ভব হবে।
২. টাকা পাঠানোর ফি
কিছু ব্যাংকে টাকা পাঠাতো হলে ফি দিতে হয়। আর এই ক্ষেত্রে যে টাকা পাঠায় তাকেও ফি
প্রদান করা লাগে আবার যে টাকা গ্রহণ করে তাকেও কিছু পরিমাণ চার্জ দিতে হয়। তাই
ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩. স্বাক্ষর ও উপস্থিতি
টাকা পাঠানোর সময় যে লোক টাকা পাঠায় তাকে কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য সশরীরে উপস্থিত
হতে হয়। তথ্য গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সঠিক একাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য
বিবরণসহ সরবরাহ করা দরকার।
৪. টাকা পাঠানোর সময় সীমা
কিছু ব্যাংকে টাকা পাঠাতে গেলে নির্দিষ্ট একটা সময় সীমা সেট করতে হয়। আর এটি মেনে
নিয়েই টাকা পাঠাতে হয়।
৫. নিয়ম ও শর্তাবলী সমূহ
সকল ব্যাংক সমূহ তাদের সকল ট্রান্সসেকশন ও অন্য অর্থ গুলো প্রতিষ্ঠান কিছু নিয়ম ও
শর্তাবলী গুলো কে অনুসরণ করে।
ব্যাংক একাউন্ট কি
একটি ব্যাংক একাউন্ট হলো একটি ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা
রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি অর্থিক একাউন্ট যে খানে ব্যাংক ও গ্রাহকদের মধ্যে আর্থিক
লেনদেনের তথ্য গুলো রেকর্ড করা হয়ে থাকে। প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের দেওয়া
প্রতিটি একাউন্টের জন্য শর্তাবলী দিয়ে থাকে। একাউন্ট বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে
আমানত একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট, লোন একাউন্ট বা অন্যান্য
একাউন্ট থাকতে পারে। এক জন গ্রাহক তার নিজের জন্য একাধিক একাউন্ট তৈরি করে নিতে
পারে। এক বার যদি একটি একাউন্ট খোলা হয়ে যায় তাহলে গ্রাহক কতৃক প্রতিষ্ঠানে জমা
দেওয়া তহবিল গুলো গ্রাহকের দ্বারা মনোনীত একাউন্টে রেকর্ড করা হয়ে থাকে। ঋণ
লোডারদের থেকে তহবিল উত্তোলন করা যেতে পারে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি ব্যাংক একাউন্টে যে আর্থিক যে লেনদেন গুলো ঘটেছে
তা একটি ব্যাংক স্টেটমেন্টে জানানো হয়ে থাকে। যে কোনো গ্রাহকের একাউন্ট ব্যালেন্স
হলো প্রতিষ্ঠানের সাথে তাদের আর্থিক অবস্থান।
গ্রাহকের দিক থেকে ব্যাংক একাউন্টে একটি ইতিবাচক বা ক্রেডিট ব্যালেন্স থাকতে
পারে। ক্রেডিট ব্যালেন্স ধারণ করা একাউন্ট গুলোর ডিপোজিট একাউন্ট হিসাবে উল্লেখ
করা হয়ে থাকে। এই সকল একাউন্ট গুলো ক্রেডিট ও ডেবিট ব্যালেন্সের মধ্যে সুইচ করতে
সক্ষম হয়ে থাকে। কিছু একাউন্ট তাদের ধারণ করা ব্যালেন্স প্রকৃতির পরিবর্তে ফাংশন
দ্বারা শ্রেনীবদ্ধ করা হয়ে থাকে।
ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে কি কি লাগে
অনেকেই ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান। আপনি যদি টাকা ব্যাংক একাউন্টে পাঠাতে
চান তাহলে যেই ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো হলো:
- ব্যাংক একাউন্ট নম্বর।
- যে ব্যাংকের শাখায় পাঠাবেন সেই শাখার নাম।
- যার একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সেই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর।
- আপনার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, এন আইডি কার্ডের নম্বর ও টাকা জমা উদ্দেশ্য করার ঘর গুলো পূরন করতে হবে।
- সর্বশেষে আপনি যে মানি লন্ডারিং করেছেন সে মর্মে একটি ফরমে স্বাক্ষর করুন।
যারা প্রবাসী ভাই রয়েছেন তারা সাধারণত বেশী ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল। কেননা দেশে
বৈধ ভাবে টাকা পাঠাতে হলে আপনাকে এই ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।
তাই আপনি যদি এখানে টাকা পাঠাতে চান, তাহলে আপনি বিবেচনায় আনতে পারেন। এটি আপনার
জন্য বেশ উপকারে আসবে। অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা পাঠিয়ে থাকে। সুবিধা
নেওয়ার জন্য আপনি এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
বিকাশ থেকে কি ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো যায়
বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানো সম্ভব। বিকাশর তালিকা ভুক্ত কিছু ব্যাংকে
আপনি সরাসরি টাকা পাঠাতে পারবেন, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই। এর জন্য কোনো ধরণের কাগজ
পত্রের দরকার পড়বে না। তাই বিকাশ থেকে যে হুতো আপনি কোনো রকম কাগজ পত্রের ঝামেলা
ছাড়াই টাকা পাঠাতে পারছেন তাই আপনার এই সুবিধা গ্রহন করা জনিত। ব্যাংক ভেদে
আপনাকে ১.২৫ শতাংশ চার্জ দিতে হবে। বিকাশ টু ব্যাংক সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি আপনার
বিকাশ একাউন্ট থেকে ব্যাংক এাকউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন যে কোনো সময়েই।
আপনি বিকাশ কতৃক নির্ধারিত কিছু ব্যাংকে টাকা পাঠাতে সক্ষম হবেন। ব্যাংক গুলো
যথাক্রমে নিম্নে নথি ভুক্ত করা হলো।
- অগ্রণী ব্যাংক পি এল সি
- সোনালী ব্যাংক পি এল সি
- ব্রাক ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
- এবি ব্যাংক পি এল সি
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পি এল সি
- কমিউনিটি ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক
- ইস্টার্ন ব্যাংক
- আই এফ আই সি ব্যাংক পি এল সি
- মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পি এল সি
- এন আর বি কমার্শিয়াল ব্যাংক
- প্রিমিয়াম ব্যাংক
- পূবালী ব্যাংক
- সাউথ ইস্ট ব্যাংক পি এল সি
উল্লিখিত ব্যাংক গুলোতে আপনি টাকা পাঠাতে পারবেন বিকাশ থেকে নিজ একাউন্টে।
যে কোনো সময়েই। আপনার উপরোক্ত ব্যাংক গুলোতো যদি কোনো একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে
আপনি সহজেই কাগজ পত্রের কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনার একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন।
আপনি নিজ ব্যাংক একাউন্টে বিকাশ থেকে টাকা পাঠাতে যে কাজ গুলো করবেন তার তালিকা
নিম্নে দেওয়া হলো।
- প্রথমে বিকাশ অ্যাপে গিয়ে লগ ইন করে নিবেন।
- বিকাশ টু ব্যাংক আইকন সিলেক্ট করুন।
- আপনি যেই ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান সেই ব্যাংক একাউন্ট সিলক্ট করুন।
- ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো লিখুন।
- আপনি যে পরিমাণ টাকা পাঠাতে চান তার পরিমাণ উল্লেখ করুন।
- লেনদেন করার ক্ষেত্রে একটি রেফারেন্স ব্যবহার করুন।
- আপনার বিকাশ পিন দিয়ে লেনদেনের কাজটি সম্পন্ন করুন।
বিকাশ থেকে পাঠানোর সময় আপনাকে কিছু চার্জ দিতে হবে। অগ্রণী ব্যাংক পি এল সি ও
সোনালী ব্যাংক পি এল সি তে টাকা পাঠালে চার্জ দিতে হয় ১ শতাংশ পরিমাণ। ব্রাক
ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকে চার্জ দিতে হয় ১.১৫ শতাংশ। এবি ব্যাংক পি এল সি,
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পি এল সি, কমিউমিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যংক,ইস্টার্ন
ব্যাংক, আই এফ আই সি ব্যাংক পি এল সি, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল
ট্রাস্ট ব্যাংক পি এল সি, এন আর বি কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রিমিয়াম ব্যাংক,
পূবালী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক পি এল সি তে আপনাকে চার্জ দিতে হবে ১.২৫ শতাংশ
করে।
ডাচ বাংলা একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
আমাদের অনেকেরই ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। বর্তমানে অন্য ব্যাংক গুলোর
মতোই এই ব্যাংকও সবার কাছে অনেক জনপ্রিয়। যারা প্রবাসী রয়েছে তারা সাধারণত বৈধ
উপায় অবলম্বন করে ব্যাংকের মাধ্যমেই টাকা পাঠিয়ে থাকে। অনেক প্রবাসীরাই টাকা
পাঠানোর সময় ডাচ বাংলা ব্যাংকে বেছে নিয়ে থাকেন। তারা তাদের পরিবার কে যখন টাকা
পাঠায় তখন এই ব্যাংকের মাধ্যমেই পাঠিয়ে থাকে। তো ডাচ বাংলা ব্যাংকো টাকা পাঠাতে
গেলে আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটা কাজ
সঠিক নিয়ম অবলম্বন করে করলে তা সঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই এই ব্যাপারটি
যেহুতো টাকার ব্যাপার তাই এই বিষয়ে আরো বেশী নিশ্চিত হওয়া জরুরী।
ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হলে বেসিক কাজ হলো ব্যাংকে আপনার একটা একাউন্ট থাকা
অত্যাবশ্যক। আর টাকা পাঠানোর জন্য নিজ দেশে আপনার পরিবারেরও একটি খুলতে হবে।
একাউন্ট খোলা হয়ে গেলে আপনার ডাচ বাংলা ব্যাংকের পিন নাম্বার ও এন আই ডি কার্ড এর
ফটো কপি নিয়ে নিকটস্থ কোনো ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউসে যেতে হবে। টাকা
পাঠানোর জন্য সুনির্ধারিত নিয়ম গুলো বর্ণনা করা হলো।
- প্রথমত, আপনাকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউসে জমা দিতে হবে। আপনি যেই একাউন্টে টাকা পাঠাতে চান তার একাউন্ট নাম্বার সহ আপনাকে জমা দিতে হবে।
- পরে আপনি বাংলাদেশের কোন একাউন্টে টাকা পাঠাবেন সেই একাউন্ট নাম্বার ও বাংলাদেশের কোন শাখায় টাকা পাঠাবেন তার সকল তথ্য গুলো উক্ত এক্সচেঞ্জ হাউসে জমা দিবেন।
- এক্সচেঞ্জ হাউসে যে টাকা পাঠাবেন সেই টাকাটি আপনার বায়োমেট্রিক একাউন্টে এসে প্রথমে জমা হবে।
- পরে আপনি বাংলাদেশে যার একাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন তার একাউন্টে এসে জমা হবে এবং তাকে ব্যাংক থেকে মেসেজ করার মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- মেসেজ পাওয়ার পর আপনি যেই ব্যক্তির নামে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নিকটস্থ ব্যংকের শাখায় উপস্থিত হয়ে উক্ত মেসেজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম হবেন।
- যদি সেই ব্যাক্তির কাছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কোনো এটিএম কার্ড থেকে থাকে তাহলে ঐ কার্ড ব্যাবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
ইসলমাী ব্যাংক থেকে আপনি অন্য কোনো ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান তাহলে নিম্মোক্ত
পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুন।
- ইসলামী ব্যাংকের কোনো শাখায় গিয়ে উপস্থিত হোন।
- আর টি জি এস ফর্মটি পূরণ করুন।
- প্রাপকের ব্যাংকের নাম, শাখা কোড, একাউন্ট নম্বর ও টাকার পরিমাণ লিখুন।
- প্রযোজ্য ফি পরিশোধ করুন।
- ব্যাংক কর্মকর্তা আপনাকে একটি রসিদ প্রদান করবেন।
ব্যাংক টু বিকাশ টাকা ট্রান্সফার চার্জ
আপনি চাইলে খুব সহজেই নিজ ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন।
মজার ব্যাপর হলো এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোনো ধরণের ফি প্রদান করতে হবে না। আপনি
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজ একাউন্টে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন।
আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশ কাস্টমার একাউন্টে
ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন মহূর্তেই। এর জন্য আপনাকে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বিকাশ
একাউন্ট এড করে নিতে হবে।
বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে আপনি যদি টাকা পাঠাতে চান তাহলে সেই ব্যাংকের কোনো মানি এক্সচেঞ্জ
অফিসে চলে যান। সেখানে টাকা জমা দিয়ে তাদের দেওয়া কে ও আই সি ফরম পূরণ করুন।
কেওআইসিতে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য গুলো যেমন, আপনার পাসপোর্ট, ভিসা পারমিট তথ্য ও
যে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন তার তথ্য যেমন ব্যাংক নাম্বার, ব্যাংকের ব্রাঞ্চ
নাম্বার, ব্যাংকের লোকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।
ব্যাংক টু ব্যাংক টাকা ট্রান্সফার চার্জ
ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে। এই
সেবা প্রদান করার জন্য ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। এই গুলোর তালিকা নিম্ন রূপে
দেওয়া হলো।
- রিসিভারের নাম
- রিসিভারের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার
- ব্যাংক একাউন্টে থাকা নির্ভল ভাবে দিবেন
- ব্যাংকের ব্রাঞ্চের নাম
- উক্ত ব্রাঞ্চের রাউটিং নাম্বার
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম সম্পর্কে। আশা
করি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ
মতামত জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url