এনজাইটির লক্ষণ - এনজাইটি কেন হয়

 মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ কি কিএনজাইটির লক্ষণ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে হতে পারে তা অত্যাধিক পরিমাণে দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কারণে। এনজাইটি অ্যাটাক হলে কি করবেন তা যদি না বুঝতে পারেন তাহলে সমস্যা বেড়ে যেয়ে শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি হতে পারে।
কোন-খাবার-খেলে-এনজাইটি-হওয়ার-প্রবণতা-বাড়ে
যদি দম বন্ধ হয়ে আসা, মাথা ঘোরা, ঘাম হওয়া হৃদস্পন্দন বেশি অনুভব হওয়া, ডায়রিয়া সহ ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এনজাইটি অ্যাটাক হওয়ার প্রধান লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে পারেন।

এনজাইটির লক্ষণগুলো কি

এনজাইটির লক্ষণীয় বিষয় যা এমনই একটি সমস্যা তা অতিরিক্ত মাত্রায় যখন দেখা দেয় স্বাভাবিক ব্যক্তির নেতিবাচক কাজকর্মের উপরে প্রভাব পড়তে থাকে। যখনই কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হওয়া শুরু হয়, তখন সারা দিনের ক্লান্তি শেষে শুরু হয়ে যায় মাথায় অতিরিক্ত চাপ বা প্রেসার। এনজাইটির সমস্যাগুলো যখন ধীরে ধীরে প্রবল হয়ে উঠে তখন অনেক লক্ষণই প্রকাশ পেতে থাকে। যদি কোন বিষয়ে পূর্ব থেকে খারাপ কোন ঘটনা ঘটে যায়।
তাহলে এটি নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করাটাও এনজাইটি এর লক্ষণ হিসেবে ধরা যায়। অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা, খিটখিটে মেজাজ এবং খুব অল্পতেই যখন রেগে যাওয়ার মত সমস্যা হয় তখনই এনজাইটি এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। রোগীর মাঝে বিশেষ ভাবে অস্থিরতা কাজ করতে থাকে এবং শারীরিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে মনোযোগ কমে যায়। যার ফলে এনজাইটির লক্ষণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং এর সাথে শারীরিক জটিলতাও দেখা দিতে পারে।

এনজাইটি কেন হয়

এনজাইটি হওয়ার কারণ সম্পর্কে না জানার ফলে তীব্রতা বেড়ে গেলে দেখা দিতে পারে অনেক সমস্যা। এর মাঝে যদি বুক দরফর করা এবং শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, বুকে ব্যথা উঠে যায় তাহলে এনজাইটি সমস্যা কিন্তু আরও বেশি প্রবল হয়ে উঠে। কোন বিষয় নিয়ে যদি অযথাই সারাদিন চিন্তা করতে থাকেন তাহলে কিন্তু এই সমস্যার কোন সমাধান হবে না। বরং আপনি দুশ্চিন্তা করতে যেয়ে একটি সময় এনজাইটি এর মত রোগে ভুগতে থাকবেন। এনজাইটি হওয়ার কারণসমূহগুলো নিম্নরূপে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে দুশ্চিন্তা করার ফলে এনজাইটি হতে পারে।
  • যদি কোন বিষয় নিয়ে আগে থেকেই খারাপ ঘটনা ঘটবে এটি নিয়ে ভাবতে থাকেন অথবা আশঙ্কা করতে থাকেন তাহলে এই রোগের আশঙ্কা করা যায়।
  • এছাড়াও অতিরিক্ত খিটখিটে মেজাজ হলে মানসিকভাবে আপনার এনজাইটি ডিসঅর্ডার বেড়ে যেতে পারে।
  • যখনই কোন কাজে মনোযোগ কমে যাবে আপনার মধ্যে ধীরে ধীরে অস্থিরতা কাজ করতে থাকবে।
  • যা মূলত আপনাকে এনজাইটি সমস্যার দিকে ধাবিত করবে।
  • যদি আপনার খুব অল্পতেই রেগে যাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে এনজাইটি রোগে আপনি খুব সহজে আক্রান্ত হতে পারেন।
  • যখনই এই ধরনের এনজাইটির লক্ষণ প্রবল ভাবে দেখা দিবে তখন প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

এনজাইটি রোগ কিভাবে নির্ণয় করবেন

এনজাইটি রোগ নির্ণয় করা যায় খুবই সহজ। কিন্তু এর জন্যে আপনার এনজাইটি হলে কি ধরনের সমস্যা প্রকাশ পায় তা কিন্তু জানতে হবে। আর এই বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা রাখতে পারলে আপনি খুব সহজেই এনজাইটি সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। এনজাইটি রোগ নির্ণয় করাটা কোন কঠিন ব্যাপার নয়। হঠাৎ করেই আপনার মাথায় দুশ্চিন্তা হতে পারে। দুশ্চিন্তা হওয়ার পাশাপাশি আপনার মধ্যে ভয়ও কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয় আপনার মুখ শুকিয়ে আসতে পারে এবং হাতে ঘাম তৈরি হতে পারে।
এনজাইটি-থেকে-বাঁচার-সহজ-উপায়
জিনগত আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপানও হতে পারে এনজাইটি সমস্যার মূল। কারণ এই সমস্যা হলে যদি অবহেলা করেন তাহলে ধীরে ধীরে এটি তীব্র হতে পারে। মাথা ধরা, মেজাজ, খিটখিটে হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে চোখে ঘুম না আসার মতোও সমস্যা দেখা দিতে পারে। বয়সন্ধিকালে এনজাইটি সমস্যা অনেকের মধ্যে হয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশুদের মধ্যে দেখা যায় যারা দীর্ঘস্থায়ী কোন অসুস্থতা, পারিবারিক আর্থিক সমস্যা অথবা প্রিয়জনের কোন মৃত্যুর কারণে এই এনজাইটি সমস্যায় ভুগে থাকে।

এনজাইটি থেকে মুক্তির কার্যকর উপায়

এনজাইটি থেকে মুক্তির কার্যকর যেই উপায়গুলো রয়েছে সেইগুলো জেনে নেওয়ার ফলে আপনি খুব সহজেই এই রোগের সাথে মোকাবেলা করতে পারবেন। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় যারা ঘরে নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। হতে পারে সেটি বাবা মায়ের বিচ্ছেদ অথবা প্রিয়জনের কোনো মৃত্যু যেই কারণেই হোক না কেন তাদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে থাকে। যার ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের মানসিক চাপও বেড়ে যায় এবং এনজাইটির লক্ষণ তীব্র হতে থাকে।

মানসিক বুদ্ধিমত্তার অভাবে এনজাইটি সমস্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাদের মধ্যে অস্বস্তিকর এবং ভীতিকর অনুভূতি কাজ করতে থাকে। এনজাইটি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই এই সমস্যা কেন হচ্ছে তার কারণগুলো নির্ণয় করতে হবে এবং চিহ্নিত করে সমস্যা সমাধান করতে হবে। মানসিক চাপকে অনেক তাড়াতাড়ি প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ভালোবাসার সাথে এই সমস্যাকে দূরীভূত করতে হবে। কারণ খুব বেশি  যত্নশীল হলে মানসিক চাপ খুব তাড়াতাড়ি দূরীভূত হয়।

এনজাইটি সমস্যা হলে কিভাবে দূর করবেন

এনজাইটি সমস্যা দূর করার উপায় অনেকভাবেই করতে পারেন। কিন্তু তার সঠিক উপায়গুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে। মানসিক চাপের ফলে যেই সকল সমস্যার সৃষ্টি হয় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করার পূর্বেই সেই সম্পর্কে সমাধানে আসতে হবে। যদি আপনি অধিক দুশ্চিন্তা করতে থাকেন সেই সাথে খাবার নিয়মিত না খেয়ে থাকেন এবং ব্যায়ামে অবহেলা করেন, তাহলে কিন্তু আপনার শারীরিক অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। যার ফলে আপনার দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পাওয়ার কোন সুযোগ থাকে না এবং মানসিক চাপও খুব সহজে কমে যায় না। তাই এনজাইটি সমস্যা থেকে নিজেকে কিভাবে দূরীভূত করবেন চলুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
  • যদি আপনার মনকে শান্ত রাখতে পারেন মানসিক চাপ তাহলে ধীরে ধীরে দূরীভূত হয়ে আসবে।
  • কিন্তু এই বিষয়টি আপনি মেডিটেশন করার মাধ্যমে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।
  • যা একান্তই কার্যকরী ব্যায়াম হিসেবে আপনার সঙ্গী হতে পারে।
  • শুধু তাই নয় ইয়োগা অথবা ধ্যান যা আপনার শরীরের সকল দুশ্চিন্তাকে খুব সহজেই কমিয়ে দিতে পারে।
  • দেহের সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়ে শারীরিক সমস্যাকে কমিয়ে আনতে পারে।
  • দুশ্চিন্তাকে যদি মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে চান তাহলে আপনাকে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • কিন্তু নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যে আপনাকে অবশ্যই যেকোনো কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
  • নিজের মনের সকল ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে যা আপনার হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে পারে।
  • নিজেকে অবশ্যই বাস্তববাদী করে তুলতে হবে যেন বাস্তব পরিবেশের সাথে নিজেকে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন।
  • আপনি সবসময় নির্ভুল থাকবেন এই চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।
  • নিজের মধ্যে থাকা খুতখুঁতে মনোভাবকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং সব সময় ভালো চিন্তা করতে হবে।
  • হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে ক্যাফিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা আপনাকে একটু কমিয়ে খেতে হবে।
  • কারণ ধীরে ধীরে ক্যাফিন আপনার মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • ঘন ঘন চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস এবং চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।

এনজাইটি রোগের প্রতিকার কি

এনজাইটি রোগের প্রতিকার একদিনেই করে ফেলা সম্ভব নয়। এর জন্যে আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং ধীরে ধীরে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এনজাইটি এমনই একটি রোগ যা একদিনেই প্রতিকার করা সম্ভব নয়। মানসিক স্বাস্থ্যও রক্ষা করতে হলে হৃদযন্ত্রের সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই এনজাইটির লক্ষণ এবং প্রতিকার জানতে হবে। বন্ধুদের সঙ্গে আপনাকে ধীরে ধীরে সময় কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ যদি আপনি একাকীত্ব হয়ে থাকেন।
এনজাইটি-রোগ-কিভাবে-নির্ণয়-করবেন
তাহলে কিন্তু এনজাইটি রোগ আরও বেশি প্রবল হয়ে উঠতে পারে যা আপনার হৃদরোগের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। প্রান খুলে সব সময় হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ এটি আপনার এনজাইটি রোগ কমিয়ে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। যদি নিয়মিত ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে পারেন তাহলে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমাতে পারবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাউন্সিলিং করাতে পারেন।

এনজাইটি থেকে বাঁচার সহজ উপায়

এনজাইটি থেকে বাঁচার সহজ উপায়গুলো না জানলেই বিপদ। কারণ কমবেশি এনজাইটি সমস্যা আমাদের সবার মধ্যেই লুকায়িত থাকে। দূর থেকে তা সহজে বুঝতে পারা যায় না কিন্তু যখনই এই সমস্যা প্রবল হয়ে ওঠে তখনই শুরু হয়ে যায় নানা ধরনের কার্যাবলী। হয়তোবা অনেকে এনজাইটি সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে চায়। কিন্তু এনজাইটি কেন হয় তার দূরীকরণের উপায় না জানার ফলে এই সমস্যা থেকে খুব সহজে বের হয়ে আসতে পারে না। এই সমস্যাটি প্রথম অবস্থায় মারাত্মক মনে না হলেও ধীরে ধীরে যখন এই সমস্যা বেড়ে যায় তখন কিন্তু খুবই প্রবল হয়। তাহলে চলুন এনজাইটি সমস্যা থেকে বাঁচার সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
  • প্রথমত যাদের একাকিত্বে থাকার অভ্যাস অনেক বেশি তাদের এই সমস্যাকে এড়িয়ে চলতে হবে।
  • অনেক বেশি করে বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের লোকজনের সাথে খোলামেলা কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
  • নিজের মধ্যে সর্বদাই হাসিখুশি এবং উজ্জ্বল মনোভাব বজায় রাখতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে যেন এনজাইটি সমস্যা থেকে নিজেদের দূরীভূত করে রাখতে পারেন।  
  • মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে।
  • কোন ধরনের অবহেলা করা যাবে না এবং পর্যাপ্ত পরিশ্রম করার মানসিকতা রাখতে হবে।
  • যদি এনজাইটি সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে কিন্তু রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে পারে তাই অতিরিক্ত প্যানিক নেওয়া যাবে না।
  • নিজের মধ্যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ভালোভাবে ঘুমানো এবং খাবার ইতিবাচকভাবে আপনার দুশ্চিন্তাকে দূর করতে পারে।

এনজাইটি অ্যাটাক হলে যা করবেন

এনজাইটি অ্যাটাক হলে কিছু বিষয়ে আপনাকে সচেতন হতে হবে যা আপনার শরীরের সকল জটিলতাকে কমিয়ে দিতে পারে। এনজাইটি কেন হয় জেনে নিজেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। কারণ গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত পরিমাণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করার কারণে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় এবং নিজের আত্মসম্মানবোধ ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে যদি মানসিক চাপ থাকে তাহলে তা নিয়ে আপনার চিন্তা করা বাদ দিয়ে দিতে হবে।

আপনি যেকোন ওষুধ যখন খেতে যাবেন তখন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো খুব ভালোভাবে জেনে নিবেন। যদি দুশ্চিন্তাকে কমিয়ে আনতে চান তাহলে নিয়মিত নিজের সঠিক যত্ন নিতে হবে। পরিমিত পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস তৈরি করতে হবে। নিজেকে সবসময় কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। শুধু তাই নয় মেডিটেশন নিয়মিত বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট করে চালিয়ে যেতে হবে এবং ধীরে ধীরে বাস্তববাদী হয়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি সর্বদাই হাসিখুশি এবং খোলামেলা কথা বলার চেষ্টা করতে হবে।

কোন খাবার খেলে এনজাইটি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে

যেই সকল খাবারে এনজাইটি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে যদি তা থেকে আপনি বের হয়ে আসতে না পারেন তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে সমস্যা তীব্র হবে। যদিও সেইগুলো আপনার খুবই প্রিয় হতে পারে। মনে করুন আপনার নিয়মিত অ্যালকোহল বা নেশা দ্রব্যজাতীয় মদ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে এইক্ষেত্রে আপনি যদি নিয়মিত এইগুলো পান করেন তাহলে কিন্তু আপনার দুশ্চিন্তা বেড়ে যেতে পারে। আপনার শরীরে ঘুমের ব্যাঘাত হয়ে পানিস্বল্পতা সৃষ্টি করতে পারে যা ধীরে ধীরে আপনার মধ্যে এনজাইটি রোগের বিস্তার করতে থাকে।
কারণ এর ফলে আপনার মস্তিষ্কে সেরোটেনিন নামক এক ধরনের হরমোন প্রভাবিত হয়ে দুশ্চিন্তাকে বাড়িয়ে দেয়। ক্যাফেইন এমনই একটি পানীয় যা খেতে কমবেশি সবাই খুব পছন্দ করে। কিন্তু শরীরে এটি খাওয়ার ফলে যেই পরিমাণে এনজাইটি সমস্যা বেড়ে যায় তা বিষন্নতাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিমিত পরিমাণে ক্যাফেইন, চিনি মিশ্রিত বিভিন্ন খাবার সমূহ, প্রক্রিয়াজাত শর্করা, তরল পানীয় সেবন করলে শরীরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যা মাথাব্যথা সহ আরও অনেক রোগের সৃষ্টি করে।

পরিশেষে

প্রিয় পাঠক, এনজাইটি সমস্যা যদিও খুবই সাধারন একটি সমস্যা তারপরেও এনজাইটির লক্ষণগুলো যদি জানা থাকে তাহলে সমস্যা জটিল হওয়ার পূর্বেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আর সেখান থেকে খুব সহজেই বেরিয়ে আসতে পারবেন যা আপনাকে ধীরে ধীরে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে পারবে। যদি এনজাইটি সম্পর্কিত বিষয়গুলো আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আশেপাশের সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করতে পারেন। সেই সাথে আপনার মূল্যবান মতামত দিতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url