প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতাপ্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয় তা যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলের
মাধ্যমে আপনি বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। অনেকেই পছন্দের তালিকায় এটি কে রেখে
থাকেন। কিন্তু আপনি কি আপনার পছন্দের খাবার সম্পর্কে জানেন?
আমলকী হলো টক জাতীয় এক ধরণের ফল। ফলটির নাম শুনেনি কিংবা এই ফলটি খায়নি এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আজকে আমরা এই ফলের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নিবো। প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয় সেই সব কিছুই ভালো ভাবে জেনে নিবো।
পেজ সূচিপত্র : প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয়
- প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয়
- প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
- রাতে আমলকি খেলে কি হয়
- কাঁচা আমলকি খেলে কি হয়
- আমলকি খেলে কি ক্ষতি হয়
- আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
- খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
- আমলকি বেশী খেলে কি হয়
- কাদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয়
টক জাতীয় ফল আমলকী খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই ফল সব ধরণের মানুষই পছন্দ করে
থাকে। মেয়েরা এই ফল তাদের পছন্দ তালিকা থেকে বাদই দেয় না। কিন্তু যদি প্রতিদিন
আমলকী খাওয়া হয় তাহলে কি হবে? এতে কি খারাপ হবে নাকি ভালো ফলই পাওয়া যাবে। আমলকী
হলো টক জাতীয় ফল গুলোর একটি। ভিটামিন সি এর উৎস হলো টক জাতীয় ফল। আপনি যদি আপনার
শরীরে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে তার প্রধাণ সোর্স হলো এই টক জাতীয়
ফল গুলো। আর এই টক জাতীয় ফল গুলোর অন্তর্ভুক্ত হলো এই আমলকী। যার ফলে নিয়মিত
আমলকী খেলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। চুলের রুক্ষতা কমে যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়।
টক জাতীয় এই ফল আমলকী খেলে শুষ্ক চামড়ায় পুষ্টি যোগান সহ পাওয়া যায় আরো অনেক
ধরণের উপকার। টক জাতীয় এই ফল খাওয়ার ফলে পেটের মধ্যে যত ধরণের গোল যোগ থাকে তা
দূর হয়ে থাকে। শরীর হয়ে উঠে চাঙা।
আর সেই জন্যই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, রোজ সকালে যদি কাঁচা আমলকি বা সেদ্ধ আমলকী
খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তারা রোজ সকালে সেদ্ধ করা বা কাঁচা আমলকী
খাওয়ার কথা বলে থাকেন। আমলকী ভিটামিন সি এর উৎস হওয়ায় চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে
এবং চুল থেকে খুসকি মুক্ত করে থাকে।
শীত কালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। পরিবেশের
শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য সবারই ত্বক একদম শুষ্ক হয়ে চামড়ার একটা বাজে অবস্থা হয়ে যায়।
চামড়া একদম পানি শূন্য হয়ে পড়ে। এই সমস্যা গুলো থেকে বাঁচতে অনেকে ক্রিম, লোশন ও
তেল ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু শুধু এই সব ব্যবহার করে স্কিনের বাইরের দিকটা ঠিক
রাখা যাবে। আর ভেতরের দিকটা ঠিক করতে হলে সাহায্য নিতে সি ফুডের। এই জন্যই ত্বক
বিশেষজ্ঞ গণ শীত কালে আমলকী খাওয়া পরামর্শ প্রদান করে থাকে। কারণ হলো আমলকীতে
হাজারো গুণ রয়েছে যা আমাদের শরীরে উপকারে আসে।
আমলকীতে বিদ্যমান হাজারো উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভুমিকা রাখে।
এতে থাকে বিভিন্ন উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষনতা বৃদ্ধি করে থাকে। আমাদের
শরীরে বিপাক বা মেটাবলিজম ক্রিয়া বৃদ্ধি করে থাকে এই ফলে থাকা ভিটামিন সি ও
অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল আক্রমণ যেমন জ্বর, সর্দি ও কাশি দূর
করতে খুবই কার্যকরী ভুমিকা রেখে থাকে এই আমলকী।
তা ছাড়া এই বিদ্যমান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে থাকে। আপনি ডায়েটের সময় ঔষধের পাশাপাশি দুটো করে আমলকীও
রাখতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমতে থাকবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য
অ্যাসিডিটির সমস্যা গুলো দূর হবে।
প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
প্রচুর ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল হলো আমলকী। প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয় তা সম্পর্কে বেশ
বিস্তারিত ভাবেই জেনেছি। ভিটামিন সি উৎস হিসেবে যে ফল গুলো বিবেচনা করা হয়ে থাকে
যেমন, লেবু, মাল্টা, পেয়ারা ইত্যাদি যে সকল ফল থেকে এই আমলকীতে বেশী পরিমাণ
ভিটামিন সি পাওয়া যায়। শরীরের অলসতা দূর করে আমাদের কর্মক্ষম করে গড়ে তুলে। তার
পাশাপাশি শরীরের ব্যাথা বেদনাও দূর করে থাকে। এই আনলকী যদি দুই চা চামচ মধু দিয়ে,
এক গ্লাস পানিতে দুই দুইটা আমলকী বেটে নিয়ে খাওয়া হয় তাহলে সর্দিতে, কাশিতে ভালো
উপকার পাওয়া যায়।
ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ হলো আমলকী ফল। এর ফল ও পাতা দুটিই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ভিটামিন সি তে এটি ভরপুর। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের তথ্য অনুযায়ী, এই ফলে কাগজী লেবু ও
পেয়ারা থেকে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশী পরিমাণ ভিটামিন সি পাওয়া সম্ভব। আমলকীতে কমলা
থেকে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশী ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এই ফলে আপেলের থেকে ১২০ গুণ বেশী
উপকারী। আম থেকে ২৪ গুণ বেশী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আর কলার থেকেও ৬০ গুণ বেশী
ভিটামিন সি এর মাঝে পাওয়া সম্ভব হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী
৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এর প্রয়োজন পড়ে। আর এই চাহিদা দুটো আমলকীই পূরণ করে দিতে
পারে। তাই দিনে দুটো আমলকী খাওয়া উচিত, যাতে হিতে বিপরীত না হয়ে যায়।
শীতের সময় বেশী পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকী ফল। তাই হাতের কাছে শীতের সময় এই ফল বেশী
থাকে। তাই বলে ইচ্ছা মতো এই আমলকী ফল খাওয়া উচিত হবে না। এতে শরীর খারাপ হতে
পারে। প্রতিদিন সকালে আপনি ১ থেকে ২ টি আমলকী খেতে পারেন। এতেই সবচেয়ে বেশী উপকার
পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, আপনার খাওয়া আমলকীর পরিমাণ যেন দিনে ২ এর
অধিক না হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : ফাইবার খাবার কি - ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকা
এর কারন হলো এটি একটি টক জাতীয় ফল ও উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যার কারনে
কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তাই কোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া একদম ভালো নয়। সব
কিছুই মেপে খাওয়া শরীর স্বাস্থ্য ও মন উভয়ের জন্যই অনেক ভালো।
রাতে আমলকি খেলে কি হয়
সারাদেশে বিদ্যমান এই আমলকী ফল এখন সবাই খেতে পারে। শীতকালে ফলটি অতিরক্ত পরিমাণে
পাওয়া যায়। কারন এই সময়ে এই ফল ধরে থাকে। ফলটি হলো প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি
ফসল। বিভিন্ন রোগে সাহায্য করে থাকে এই ফসল। অন্য যে সকল ফল গুলো রয়েছে যাদের
থেকে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তাদের থেকে এই ফলটি অনেক বেশী গুন পুষ্টু সমৃদ্ধ। এক
জন বয়স্ক ব্যক্তির প্রতি দিন যে পরিমাণে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন পড়ে তার পুরোটাই
মিটিয়ে দিতে পারে মাত্র দুটি আমলকী। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি যদি দুটি আমলকী খায়
তাহলে তার এক দিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। তাই বলে আপনি দশ দিনের
পুষ্টি চাহিদা এক দিনেই পূরণ করে ফেলবেন না।
লিভার ও জন্ডিস রোগের উপকার করে থাকে এই আমলকী ফল। আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া কে
একত্রে বলা হয়ে থাকে ত্রিফলা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা এই তিনটি ফল অনেক বেশী পরিমাণ
ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদিল ঔষধ হিসেবে এই ত্রিফলা বহু মাত্রিক উপকারী। এই
তিনটি শুকনো ফল কে একত্রে রাতে ভিজিয়ে রাখলে এবং সকাল বেলা খালি পেটে তা শরবত
হিসেবে খেলে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন তেল তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা
হয়ে থাকে এই আমলকী কে। তারাতাড়ি ঘুম নিয়ে আসাস জন্য শুকনো বা কাঁচা আমলকী বেটে
মাথায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
কাঁচা আমলকি খেলে কি হয়
সুপার ফুড জাতীয় ফল হলো এই আমলকী। কারন এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে। ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি সহ আরো অনেক ধরণের
রোগ থেকে এটি আমাদের সাহায্য করে থাকে। তা ছাড়া চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে
সাহায্য করে থাকে আমলকী। অনেক উপকাররতা পাওয়া যায় এই আমলকী খাওয়ার মাধ্যমে। বাকি
সকল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল গুলো থেকে এই ফলে বিশাল পরিমাণ পুষ্টি বিদ্যমান রয়েছে।
কাঁচা আমলকী থেকে তুলনা মূলক বেশী উপকারীতা পাওয়া যায় আমলকী শুকিয়ে খেলে। শুষ্ক
ত্বক থেকে বাঁচার জন্য, চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুল তাড়াতে বৃদ্ধি করার জন্য এমন
হাজারো উপকার পাওয়া সম্ভব এই আমলকী থেকে। নিচে ক্রমন্বয়ে কিছু কথা উল্লেখ করা
হলো:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে।
- হজমের ক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে আমলকী।
- আমলকীতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
- রাতকানা রোগের ঝুকি কমাতেও সাহায্য করে থাকে এই ফলটি।
- আমলকী চিবিয়ে খেলে মুখে কোনো দুর্গন্ধ আসে না।
আমলকি খেলে কি ক্ষতি হয়
আমলকী হলো বেশী পরিমাণ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই ফল খেলে বেশী শরীরের অনেক উপকার
পাওয়া সম্ভব হয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই আমাদের তেমন ভাবে সাহায্য করে না।
তাই এই গুলো আমাদের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। নিজেদের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু
খেলেই হবে৷ কিন্তু কিছু মানুষ এই ফলটি খেতে পারে না। নিচে এমন কিছু তালিকা দেওয়া
হলো যা ক্ষতি হতে পারে আমলকী খেলে।
- আমলকী জুস বা অন্য কোনো ভাবে না খেয়ে চিবিয়ে খাওয়াটাই ভালো। এতে উপকার পাওয়া যায় ভালো। তবে প্রতিদিন দুই একটা বেশী খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যদি সার্জারী করে থাকেন, তাহলে আমলকী খাবেন না। তা ছাড়া ব্লাড থিনিংয়ের ঔষধ খেলে চিকিৎসাকের পরামর্শ অনুযায়ী আমলকী খান।
- অন্তঃসত্তা কিংবা স্তন্য দানকারী মায়েরা আমলকী খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- বেশী পরিমাণ আমলকী খেলে তা হার্টের ক্ষতি করতে পারে।
- এই ফলের কারনে এলার্জিও হতে পারে। তা ছাড়া পাকস্থলীর কৃমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটের ব্যাথা হতে পারে।
- এই ফল শরীরের তাপমাত্রা অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলে। তাই বেশী করে যদি এই ফল খাওয়া হয় তবে জ্বর, সর্দি বা কাশি হতে পারে।
আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
টক জাতীয় ফল আমলকী খেলে বেশ ভালো উপকারীতা পাওয়া যায়। অন্য ফল গুলো থেকে এই ফলে
ভিটামিন সি এর পরিমাণ অনেক বেশী পরিমাণ থাকে। এই ফলের উপকারী তার তালিকা গুলো
নিম্নে দেওয়া হলো:
- এই ফলটি কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের উপর কাজ করে থাকে।
- বমি বন্ধ করার ক্ষেত্রেও ভুমিকা রাখে।
- দীর্ঘমেয়াদী যদি কোন জ্বর, সর্দি ও কাশি থাকে তাহলে আমলকীর নির্যাস তার জন্য বেশ উপকারী।
- এই ফল হৃদযন্ত্রের ও মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
- এটি দাঁত, চুল ও ত্বক ভালো রাখে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ব্যাথা, অম্ল, রক্ত শূন্যতা, বমি ভাব দূর করে থাকে।
- এই ফলটি বহু মূত্র রোগে অনেক উপকার করে থাকে।
খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আমলকী খেলে বেশ ভালো উপকারীতা পাওয়া যায়। এই ফলে বিদ্যমান রয়েছে
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে, আমলকী
ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে থাকে। প্রতিদিন সকালে এই ফল খেলে
পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে৷ শরীর থেকে বিষয়ক্ত পদার্থ গুলো বের করে
দিতে সাহায্য করে থাকে। আর ওজন কমিয়ে থাকে।
আমলকি বেশী খেলে কি হয়
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হলো আমলকী। এই ফলে রয়েছে প্রচুর উপকারীতা। কিন্তু দিনে
দুইটা থেকে বেশী ফল খেলে তা আমাদের উপকারের বদলে অপকারই বেশী করে থাকে।
আরো পড়ুন : নিম পাতার গুড়ার উপকারিতা
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা তৈরি করে থাকে এই ফল। যেমন, হার্টের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য
বৃদ্ধি ও আরো নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে।
কাদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়
যারা অন্তঃসত্ত্বা রয়েছেন তাদের উচিত হবে না আমলকী ফল খাওয়া। তা ছাড়া যে সকল
মায়েরা তাদের সন্তানদের স্তন পান করিয়ে থাকেন, তাদেরও উচিত হবে না এই ফল খাওয়া।
যারা সার্জারী করিয়েছেন তারাও আমলকী খাবেন না। সে সকল ব্যক্তিদের কথা বলা হয়েছে
তারা এই এক জাতীয় ফল আমলকী খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে প্রতিদিন আমলকী খেলে কি হয় তা সম্পর্কে। আশা করি এই
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত
জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url