নাবিজ খাওয়ার ১০টি উপকারিতা - নাবিজ খাওয়ার নিয়ম
নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। নাবিজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
নাবিজে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত
উপকারী। নাবিজ খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না। আজকের আর্টিকেলটিতে নাবিজের
পুষ্টিগুণ, উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, কিভাবে তৈরি করবেন প্রত্যেকটি বিষয় থাকছে
বিস্তারিত।
নাবিজ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা একাধিক যা বলে শেষ
করার মত নয়। এই উপকারিতা গুলো পাওয়ার জন্য অবশ্যই নাবিজ খাওয়ার নিয়ম জানা
প্রয়োজন। আপনি ঘরে বসে নাবিজ নাবিজ তৈরি করে খেতে পারবেন কোন খরচ ছাড়ায়। তাই
নাবিজের উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম, তৈরির নিয়ম, খেলে কি হয় প্রত্যেকটি বিষয়ে
জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা - নাবিজ খাওয়ার নিয়ম
নাবিজ কি
নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা, নাবিজ কি তা অনেকেই জানেন না। নাবিজ এক প্রকার তরল
পানীয়। নাবিজ খেজুর অথবা কিসমিসের ভিজিয়ে রাখা দ্রবন থেকে প্রস্তুত হয়। নাবিজ
আমাদের প্রিয় নবীর প্রিয় পানীয় ছিল। এবং তিনি তার উম্মতদেরও নাবিজ খাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছেন। নাবিজ অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ নিউট্রেশনে ভরপুর পানীয়।
নাবিজ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে এটি তৈরীর প্রক্রিয়া ভিন্ন হলে
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রিয় নবী নাবিজ খাওয়ার ও তৈরীর কিছু নিয়ম
বলে গেছেন সেভাবে আমরা সহজেই নাবিজ তৈরি করে খেতে পারি।
নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নাবিজ অত্যন্ত উপকারী। নাবিজের বেশ কিছু পুষ্টি গুনাগুন
রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী নাবিজ খেতে খুব পছন্দ করতেন। নাবিজে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টি গুনাগুন। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শরীরের বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দূর করতে নাবিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা
গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- রক্তস্বল্পতা রোধ করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
- হাড় মজবুত করে
- স্নায়ু সুস্থ রাখে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করেঃ নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা গুলোর মধ্যে একটি
হলো শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। নাবিজে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, প্রাকৃতিক গ্লুকোজ
থাকে যা শরীরের শক্তি যোগায়। শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং দীর্ঘক্ষণ কার্যক্ষমতা
বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ নাবিজ খেলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়।
নাবিজে থাকা আশঁ হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে
তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য
বজায় রাখে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
রক্তস্বল্পতা রোধ করেঃ নাবিজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। নাবিজ
শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। নাবিজ নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করেন
যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে। নিয়মিত নাবিজ খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি
পায়।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ নাবিজ খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও
ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরের
স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত নাবিজ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায় ও বার্ধক্যের লক্ষণ দূর হয়।
হাড় মজবুত করেঃ নাবিজ খেলে শরীরের হাড় মজবুত হয়। নাবিজে প্রচুর
পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা শরীরের হাড়ের গঠন মজবুত
করে। নিয়মিত নাবিজ খেলে অস্টিওপেরেসিস ও হাড়ের দুর্বলতা দূর হয়।
স্নায়ু সুস্থ রাখেঃ নিয়মিত নাবিজ খেলে স্নায়ু সুস্থ থাকে। নাবিজে
রয়েছে ভিটামিন বি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ও
স্নায়বিক অসুস্থতা দূর করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নাবিজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভাইরাস এবং
ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে।
শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করেঃ নাবিজে রয়েছে ডিটক্সিফাইং উপাদান যা
শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। নাবিজ শরীরের যকৃত এবং কিডনির
কার্যকারিতা উন্নত করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ নাবিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান।
নিয়মিত নাবিজ খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় দীর্ঘক্ষণ ক্ষুদা লাগে না।
নাবিজে কম ক্যালোরি থাকে ফলে শরীরের ওজন কমাতে ও শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে
সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নাবিজে থাকা পুস্টি উপাদান শরীরের হৃদরোগের
ঝুঁকি কমায়। নাবিজে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শরীরের
খারাপ কলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি
কমে।
প্রিয় পাঠক উপরে বেশ কিছু নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
এছাড়াও নাবিজ খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয় যা বলে শেষ করার মত নয়।
আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে নিয়মিত নাবিজ খেতে পারেন। আশা করি নাবিজ খাওয়ার
উপকারিতা গুলো জানতে পেরেছেন।
নাবিজ খাওয়ার নিয়ম
নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা ও নাবিজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। নাবিজ
তৈরি হয় শুকনো খেজুর অথবা শুকনো কিসমিস দুধ অথবা পানিতে ভিজিয়ে রেখে। এই ভেজানো
দুধ অথবা পানি খালি পেটে খেলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। নাবিজ খাওয়ার
নিয়ম হলো দুধে তৈরি নাবিজ অথবা খেজুরে তৈরি নাবিজ রাতে অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে
খালি পেটে খাওয়া।
রমজান মাসে রোজা রেখে ইফতার নাবিজ খেতে পারেন। এতে শরীরের সারাদিনের পুষ্টির
চাহিদা নাবিজ পূরণ করবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা
পূর্বে খেজুর অথবা কিসমিস ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এক গ্লাস জলে অথবা দুধে ভিজিয়ে
রাখুন। এরপর ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খেজুর ভিজিয়ে রাখা পানি অথবা কিসমিস ভিজিয়ে
রাখা পানি খেয়ে ঘুমিয়ে যান।
এতে শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। তবে খেজুর ও কিসমিস কখনোই
একসাথে ভিজিয়ে রেখে খাবেন না। আশা করি নাবিজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন।
নাবিজ কিভাবে বানায়
নাবিজি কিভাবে বানায় তা অনেকেই জানেন না। নাবিজ মূলত শুকনো ফলের ভিজিয়ে রাখা
তরল পানি অথবা দুধ। নাবিজ আপনি বিভিন্নভাবে তৈরি করে খেতে পারেন। পানিতে খেজুর
ভিজিয়ে রেখে, অথবা পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে নির্দিষ্ট সময় পর সেই পানি
নাবিজে পরিণত হয়। নাবিজ কিভাবে বানায় তা নিচে দেওয়া হল।
নাবিজ তৈরির নিয়ম
নাবিজ খাওয়ার নিয়ম ও নাবিজ তৈরীর নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। নাবিজ তৈরীর
নিয়ম একেবারেই সহজ। নাবিজ দুধ অথবা পানি দুইটি উপাদানে ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা
যায়। শুকনো যে কোন ফল ভিজিয়ে রেখে নাবিজ তৈরি করা যায়। তবে আমাদের প্রিয় নবী
যে নাবিজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেটি হল খেজুর অথবা কিসমিস। নাবিজ দুধ অথবা
পানি দুইটি উপাদানে তৈরি করা যায়। নিচে নাবিজ তৈরীর নিয়ম দেওয়া হলঃ
এক গ্লাস পরিষ্কার পানি নিন। এরপর কমপক্ষে ৫-৬টি খেজুর ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার
করে নিন। খেজুর থেকে বীজ বের করুন। খেজুর দুই টুকরো করে ৫-৬টি খেজুর এক গ্লাস
পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে দিন। এরপর গ্লাসের মুখ ঢেকে রাখুন। কমপক্ষে ৬-২৪ ঘন্টা
পর্যন্ত ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পানি থেকে খেয়ে নিন।
৬ ঘন্টা পর আপনার ভেজানো খেজুর পানি নাবিজে পরিণত হবে। একই উপায়ে আপনি দুধ দিয়ে
খেজুর অথবা কিসমিস এর নাবিজ তৈরি করে খেতে পারেন। পানির চাইতে গুরু অথবা ছাগলের
দুধ দিয়ে তৈরি নাবিজ অত্যন্ত উপকারী।
দুধ দিয়ে নাবিজ তৈরি জন্য ১ গ্লাস ফুটন্ত দুধ ঠান্ডা করুন। এরপর কমপক্ষে ৫-৬টি
খেজুর ভালোভাবে পরিষ্কার করে বীজ বের করুন। এরপর সেই দুধে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন
কমপক্ষে ১২ ঘন্টা। এরপর এটি আপনার খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে। এভাবে আপনি খেজুরের
পরিবর্তে কিসমিস ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি নাবিজ তৈরিতে খেজুর অথবা কিসমিস যে ফলই ব্যবহার করুন না কেন সর্বোচ্চ ২৪
ঘন্টার উপর ভিজিয়ে রাখবেন না। ২৪ ঘন্টার বেশি ভিজিয়ে রাখলে সেটি স্বাস্থ্যের
জন্য ক্ষতিকর হবে। সেটি পান করলে নেশার উপক্রম হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী নাবিজ খেতে হলে কমপক্ষে ৬-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খেয়ে নিন।
নাবিজ খেলে কি হয়
নাবিজ খাওয়ার নিয়ম ও নাবিজ খেলে কি হয় তা অনেকেই জানেন না। নাবিজ আমাদের
স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নাবিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান।
নিয়মিত নাবিজ খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর হয়। শরীরের পুষ্টির
ঘাটতি পূরণ করে নাবিজে থাকা পুষ্টি উপাদান। নিয়মিত নাবিজ খেলে শরীরের শক্তি
বৃদ্ধি হয়।
অনেক ব্যক্তি দুর্বল রয়েছেন তারা নিয়মিত নাবিজ খেলে শরীরের দুর্বলতা দূর হবে।
নাবিজ শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। যাদের হজম শক্তি দুর্বল তারা নিয়মিত নাবিজ
খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে। নাবিজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরের
রক্তশূন্যতা দূর করেন। নাবিজ শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
করে ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
নাবিজ খেলে শরীরের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়। নাবিজ হাড় মজবুত করতে সাহায্য
করে। নাবিজে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি
স্নায়ু সুস্থ রাখে। নিয়মিত নাবিজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যাদের
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা নাবিজ খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর
হয়।
অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে নাবিজ অত্যন্ত
উপকারী। নাবিজে রয়েছে ফাইবার যা শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা দূর করে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে নাবিজ খাওয়ার উপকারিতা, নাবিজ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। এছাড়া নাবিজ তৈরীর নিয়ম, খেলে কি হয়, এর পুষ্টি গুণ
সম্পর্কে জানিয়েছে। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। নাবিজ সম্পর্কে আপনাদের
কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার
করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
অন্যান্য ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো
ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url