বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম - বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
আপনার দীর্ঘদিন ধরে কাশি হচ্ছে, কোনভাবেই কাশি ভালো হচ্ছে না বুকে কফ জমে
শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম জেনে সেবন করুন দ্রুত সুস্থ হবেন। বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
জেনে ওষুধ সেবন করলে দ্রুত সুস্থতা পাবেন। আজকের আর্টিকেলটিতে বুকের কফ জমে থাকার
প্রত্যেকটি ঔষধ, সিরাপ, হোমিওপ্যাথি ঔষধ, এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে থাকছে
বিস্তারিত।
দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ জমে থাকলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। বুকে কফ জমে থাকলে
ক্রমাগত কাশি হতেই থাকে। শুষ্ক কাশি অথবা কাজ যুক্ত কাশি হয়। বিশেষ করে
রাত্রেবেলা কাশি হয়। কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসনালীতে শ্বাস
নিতে সমস্যা হয়।
বুক ভারী অনুভব হয়। পাশাপাশি এই সমস্যা থেকে জ্বর ও কাঁপুনি, অরুচি, শারীরিক
দুর্বলতা, গলা ব্যথা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। তাই বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
ও বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম জেনে সেবন করলে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। বুকে কফ
নিরাময়ের প্রত্যেকটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম - বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
বুকের কফ বের করার সিরাপ বাংলাদেশ
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম ও বুকের বের করার সিরাপ বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেকেই
খোঁজ করেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির সিরাপ পাওয়া যায় যেগুলো কাশি নিরাময়ের
জন্য সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মূলত সিরাপ সেবনের পর কাশি থেকে আরোগ্য
পাওয়া যায় কিন্তু বুকের কফ বুকে জমা থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় আবার কাশি
হয়।
আরো পড়ুনঃ পাইলস এর চিকিৎসা ঔষধের নাম কি
তাই এমন সিরাপ সেবন করতে হবে যে সিরাপ গুলো সেবন করে বুকের কফ দূর করা সম্ভব।
বাজারে বেশ কিছু সেরা পাওয়া যায় যেগুলো সেবন করে কাশি নিরাময় হয় কিন্তু বুকের
কফ নিরাময় হয় না। তবে কিছু তবে কিছু সেরা রয়েছে যেগুলো সেবন করে বুকের কফ বের
করা যায়। নিচে বুকের কফ বের করার সিরাপ বাংলাদেশী কিছু নামের তালিকা দেওয়া হলঃ
- Mucosolvan
- Ascoril
- Sovent
- Tussin
- Tussicod
- Solvin
- Grilol
- Bronchovale
- Bromex
- Bronchitis Syrup
আপনি উপরে দেওয়া এই সিরাপ গুলো সহজে বাংলাদেশে পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ফার্মেসি
অথবা অনলাইন শপ এর মাধ্যমে অর্ডার করে কিনতে পারবেন। উপরে দেওয়া এই সিরাপ গুলো
বুকের কফ বের করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম
অনেকে বুকের কফ বের করার ঔষধ এর নাম জানতে চান। বাজারে বিভিন্ন সিরাপ এর পাশাপাশি
ওষধ ও পাওয়া যায় যেগুলো সঠিক নিয়মে সেবন করলে বুকের জমে থাকা কফ বের হয়। সঠিক
নিয়মে এই ঔষধ গুলো সেবন করে দ্রুত কফ এর সমস্যা থেকে সুস্থতা পাওয়া যায়। যাদের
দীর্ঘদিন ধরে পুরাতন কাশি অথবা শিশুদের বুকে কফ জমে গেছে,
তারা বুকে কফ বের করার ঔষধের নাম জেনে সেবন করলে কফের সমস্যা থেকে সুস্থ হতে
পারবেন। নিচে বুকের কফ বের করার ঔষধ এর নাম দেওয়া হলঃ
- Mucosolvan
- Ascoril
- Tussin
- Sovent
- Tussicod
- Solvin
- Grilol
- Bronchovale
- Bromex
- Cofwin
উপরে দেওয়া এই ওষধ গুলো সিরাপ ও ট্যাবলেট উভয় আকারে পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলো
বুকের কফ বের করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তবে এই ওষুধগুলো সে বনের পূর্বে অবশ্যই
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কেননা এই ওষুধগুলো একমাত্র একজন চিকিৎসকই সঠিক ডোজে
সেবনের পরামর্শ দেবেন।
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম
অনেকের বুকে দীর্ঘদিন ধরে কফ জমে থেকে শ্বাসকষ্ট হয়। এই শ্বাসকষ্ট থেকে বুকের
বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। তাছাড়া নিয়মিত বুকে কফ জমে থাকার কারণে কাশি বৃদ্ধি
পায়। কাশতে কাশতে কাশির সাথে রক্ত আসে। তাই এমন সমস্যা দূর করার জন্য বুকে কফ
জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম জেনে সেবন করুন। আপনি যদি বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ওষুধ নাম
জানেন,
সেক্ষেত্রে এই ঔষধ গুলো সেবন করে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। বাজারে বেশ কিছু ঔষধ
পাওয়া যায় যে ওষুধগুলো সেবন করলে বুকের জমে থাকা কফ উঠে আসে এবং নিরাময় হয়।
বুকের কফ উঠে গেলে শ্বাসকষ্ট নিরাময় হয়। নিচে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম এর
তালিকা দেওয়া হলঃ
- Ascoril
- Solvin
- Sovent
- Tussin
- Ventolin Inhaler
- Asthalin
- Bromex
- Dytor
- Bronchovale
- Berodual
উপরে বেশ কিছু বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ এর নাম দিয়েছি। উপরে দেওয়া এই ঔষধ
গুলো সেবন করে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হয় এবং বুকের কফ পরিষ্কার হয়। তবে
ঔষধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করুন। নিজের থেকে কখনোই
একাকী উপরে দাও ওষুধগুলো সেবন করবেন না। আশা করি বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম
জানতে পেরেছেন।
বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
অনেকে নিয়মিত কাশির সমস্যায় ভুগছেন। বাজার থেকে বেশ কিছু সিরাপ ঔষধ কিনে সেবন
করছেন কিন্তু কাশি নিরাময় হচ্ছে না। কেননা আপনার বুকে কফ জমে গেছে কিন্তু আপনি
বুঝতে পারেননি। ঔষধ ও সিরাপ সেবন করে আপনার বুকে কফ জমে বসে গেছে। কিছুদিন পর একক
পুনরায় আবার কাশিতে পরিণত হচ্ছে। তাই বুকের কফ নিরাময়ের জন্য বুকে কফ জমে থাকার
লক্ষণ জেনে ঔষধ সেবন করলে দ্রুত সুস্থ হবেন।
বাজারে বেশকিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো বুকের কফ উঠে আসতে সাহায্য করেন। যাদের শুকনো
কাশি হয় দীর্ঘদিন ধরে তারা ঔষধ ও সিরাপ সেবন করে বুকের জমে থাকা কফ দূর করতে
পারবেন। বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ অনেকেই জানেন না। বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যে
লক্ষণগুলো দেখে সহজে বুঝতে পারবেন বুকে কফ জমে আছে। নিচে বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ
গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- ক্রমাগত কাশি হতেই থাকে
- শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয়
- বুক ভারি ও চাপ ধরে থাকে
- শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়
- কফের রং পরিবর্তন হয়
- রাতে কাশি বৃদ্ধি পায়
- গলা ব্যথা ও গলা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে
- জ্বর ও কাঁপুনিও থাকতে পারে
- বমি বমি ভাব হয়
- দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব হয়
উপরের লক্ষণগুলো যদি আপনার শরীরের মাঝে প্রকাশ পায়। অথবা কোন শিশুর মধ্যে দেখতে
পান সে ক্ষেত্রে বুঝতে পারবেন শিশুটির বুকে কফ জমে গেছে। এমতাবস্থায় চিকিৎসকের
পরামর্শে বুকের জমে থাকা কফ দূর করার জন্য বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম জেনে
সেবন করতে পারেন এতে দ্রুত নিরাময় পাবেন। আশা করি বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ গুলো
জানতে পেরেছেন।
কাশি ও কফ দূর করার ঔষধ
অনেকের দীর্ঘদিন ধরে কাশি হয় বুকে কফ জমে যায়। তারা নিয়মিত কাশি ও কফ দূর করার
ঔষধ সম্পর্কে খোঁজ করেন। বেশ কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো কাশি ও কফ দূর করতে সাহায্য
করে। পুরো আর্টিকেলটিতে কাশি ও কফ দূর করার ঔষধ এর নাম জানিয়েছি। আপনি উপরের
দেওয়া পুরো আর্টিকেলটি পড়ে কাশি ও কফ দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
শিশুর বুকের কফ বের করার ঔষধ
শিশুর বুকের কফ বের করার জন্য অবশ্যই ঔষধ সেবন করানো প্রয়োজন পাশাপাশি যত্ন নিতে
হবে। কারণ শিশুদের শ্বাসতন্ত্র অত্যন্ত সংবেদনশীল। কফ জমে গিয়ে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি
করে তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট ও কফ দূর করা যায়। বাজারে বেশ কিছু
ঔষধ, সিরাপ পাওয়া যায় যেগুলো শ্বাসকষ্ট ও কফ দূর করতে সহায়ক ভূমিকা
রাখে।
ঔষধ অথবা সিরাপ সেবন করলে শিশুর কফ পাতলা করে ফলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হয়। জমে
থাকা কফ বের করতে সাহায্য করে। নিচে শিশুর বুকের কফ বের করার ঔষধ ও সিরাপ এর
তালিকা দেওয়া হলঃ
- Ambroxol Pediatric Syrup
- Bromhexine Syrup
- Cough Syrups with Dextromethorphan
- Sovent
- Saline Nasal Drops
উপরে দেওয়া ঔষধ ও সিরাপ গুলো শিশুকে সেবন করানোর পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিন। কেননা একজন চিকিৎসক আপনার শিশুর সঠিক রোগ চিহ্নিত করে সঠিক ঔষধ ও
সিরাপ সেবনের পরামর্শ দেবেন। কখনোই একাকী আপনার শিশুকে ঔষধ অথবা সিরাপ সেবন
করাবেন না।
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ
বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ ও বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে
অনেকেই জানেন না। বাজারে যেমন কফ ও শ্বাসকষ্ট দূর করার এলোপ্যাথিক ওষুধ পাওয়া
যায় তেমনি হোমিওপ্যাথি ঔষধ ও পাওয়া যায়। আপনি যদি হোমিও ঔষধ সেবন করে
শ্বাসকষ্ট ও কফ দূর করতে চান সে ক্ষেত্রে দূর করতে পারেন।
হোমিওপ্যাথিক বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো বুকে জমে থাকা কফ ও শ্বাসকষ্ট দূর করতে
সাহায্য করে। নিচে বুকে জমে থাকা কফ ও শ্বাসকষ্ট দূর করতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর
নাম দেওয়া হলঃ
- Antimonium Tartaricum
- Bryonia Alba
- Ipecacuanha
- Phosphorus
- Spongia Tosta
- Kali Bichromicum
- Rumex Crispus
- Lobelia Inflata
- Arsenicum Album
- Nux Vomica
উপরে দেওয়া এই ঔষধ গুলো বুকের জমে থাকা কফ ও শ্বাসকষ্ট দূর করতে হোমিওপ্যাথিক
চিকিৎসকরা সেবনের পরামর্শ দেন। আপনি চাইলে উপরে দেওয়া এই ওষুধগুলো সেবন করতে
পারেন। তবে অবশ্যই এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিন। কেননা আপনার কাশির বর্তমান পরিস্থিতি অথবা রোগের ধরণের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন
ভিন্ন ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে।
বুকের কফ বের করার এন্টিবায়োটিক
বুকের কফ বের করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার প্রয়োজন হয় তবে সব সময়
অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার প্রয়োজন হয় না। বুকের বের করার জন্য সাধারণত
এন্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় যদি কফ সংক্রমণজনিত হয় সেক্ষেত্রে যেমন ব্রংকাইটিস,
নিউমেনিয়া। তবে ক ভাইরাস জনিত হলে এন্টিবায়োটিক সেবন করার প্রয়োজন হয়
না।
কফ নিরাময়ের জন্য বাজারে বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় যেগুলো কফ
নিরাময়ের জন্য সাহায্য করে। বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দূর করতে
এন্টিবায়োটিক গুলোর সাহায্য করে। নিচে বুকের কফ বের করার এন্টিবায়োটিক এর নাম
দেওয়া হলোঃ
- Amoxicillin
- Azithromycin
- Cefixime
- Clarithromycin
- Levofloxacin
তবে এন্টিবায়োটিক গুলো সে মনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন
করুন। কখনোই উপরে দেয়া অ্যান্টিবায়োটিক গুলো একাকী সেবন করবেন না।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পুরো আর্টিকেলটিতে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম ও বুকে কফ জমে থাকার
লক্ষণ সম্পর্কে জানিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। চিকিৎসকের
পরামর্শে ঔষধে সেবন করুন। কখনোই একাকী কোন ঔষধ সেবন করবেন না। আশা করি আর্টিকেলটি
পড়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে শেয়ার
করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অন্যান্য চিকিৎসা সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো
ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url