পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি - হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি
কৃষি চাষাবাদের মধ্যে পেঁপে চাষ অত্যন্ত লাভজনক ফসল। পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি
অনুসরণ করে পেঁপে চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। অল্প খরচে হাইব্রিড পেঁপে
চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রচুর টাকা লাভ করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটিতে পেঁপে
চাষের প্রত্যেকটি পদ্ধতির সম্পর্কে থাকছে বিস্তারিত।
আপনি যদি কম খরচে চাষাবাদ করে বেশি লাভবান হতে চান সেক্ষেত্রে পেঁপে চাষ করুন।
পেঁপে চাষ করতে খরচ কম হয় কিন্তু প্রচুর টাকা লাভবান হওয়া যায়। ভালো জাতের
পেঁপে চারাগুলো রোপন করলে দুই বছর পর্যন্ত ফল দেয়। যা অত্যন্ত লাভজনক। পেঁপে
চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি, পেঁপে চাষ সম্পর্কে প্রত্যেকটি
বিষয়ে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি - হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি
সাধারণত অধিকাংশ চাষীরাই পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন না। ফলে
তারা পরিশ্রম ঠিকই করেন তুলনামূলক বেশি লাভ করতে পারেন না। তাই আপনি যখন পরিশ্রম
করছেন তখন আধুনিক নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি প্রচুর সংখ্যক লাভবান হতে পারবেন।
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে অল্প খরচে বেশি টাকা লাভ করতে পারবেন।
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি গুলো নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করুন
- উন্নত জাতের পেঁপের চারা রোপন করুন
- চারা সঠিক দূরত্বের রোপন করুন
- ডিপ ইরিগেশন সেচ ব্যবস্থা চালু করুন
- মালচিং করে মাটির আদ্রতা বজায় রাখুন
- সঠিক পরিমাণের সার প্রয়োগ করুন
- নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন
- পোকামাকড় ও রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবহার করুন
- নিয়মিত গাছ পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করুন
- সঠিক সময়ে ফল সংগ্রহ করুন
জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করুনঃ লাভবান হওয়ার জন্য সবচাইতে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জমির মাটি নির্বাচন করা। সবচাইতে পেঁপে ভালো জন্মায় বেলে
দোআঁশ মাটিতে। প্রথমে ভালোভাবে জমির মাটি পরীক্ষা করুন। এরপর সেই অনুযায়ী জমিতে
ভিন্ন ভিন্ন রকমের সার প্রয়োগ করুন। জমিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য জৈব সার ও কম্পোস্ট সার পরিমাণ মতো ব্যবহার করুন।
উন্নত জাতের পেঁপের চারা রোপন করুনঃ পেঁপে চাষে লাভবান হওয়ার জন্য
অবশ্যই উন্নত জাতের চারা রোপন করতে হবে। উন্নত জাতের চারা গুলো মধ্যে রেড লেডি,
গ্রিন লেডি, এক্সআরটি জাতের পেঁপে চারা রোপন করুন। এ চারা গুলো কমপক্ষে দুই বছর
পর্যন্ত বাঁচে এবং ফল দেয়।
চারা সঠিক দূরত্বের রোপন করুনঃ গাছের বৃদ্ধি ও সঠিক ফলের আকার হওয়ার
জন্য সঠিক দূরত্বে রোপণ করতে হয়। জাত অনুযায়ী যারা রোপনের দূরত্ব কিছুটা কমবেশি
হতে পারে। তবে আপনি যেকোনো জাতের চারা ১.৮-২ মিটার দূরতে রোপন করুন। এতে চারাগুলো
সঠিকভাবে বড় হতে পারবে এবং সময়মত সঠিক আকারের ফল দিতে পারবে।
ডিপ ইরিগেশন সেচ ব্যবস্থা চালু করুনঃ দেওয়ার জন্য ডিপ ইরিগেশন
পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। এ পদ্ধতিতে ছেঁচের খরচ অত্যন্ত কম হয়। জমিতে পানি জমা
হওয়ার সম্ভাবনাও থাকেনা। শুধুমাত্র গাছের মূলে সঠিক পরিমাণে পানি পৌঁছাতে পারে।
যা দীর্ঘদিন মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মালচিং করে মাটির আদ্রতা বজায় রাখুনঃ জমির আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্য
ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য মালচিং পদ্ধতি অনুসরণ করুন। সময়মতো মালচিং করলে
জমির আগাছা কম হয় ও মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সঠিক পরিমাণের সার প্রয়োগ করুনঃ পেঁপে গাছের সঠিকভাবে বৃদ্ধির জন্য
সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করা প্রয়োজন। পেঁপে গাছের বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন,
ফসফরাস, পটাশিয়াম, জৈব সার প্রয়োগ করুন। আপনার জমির পরিমাণ অনুযায়ী সঠিক
পরিমাণে সার প্রয়োগ করুন।
নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুনঃ পেঁপে গাছের আশেপাশে আগাছা হলে তা সময়
মত পরিষ্কার করে দিন। পেঁপে জমিতে আগাছা হলে পেঁপে গাছের পুষ্টি গ্রহণে বাধা
সৃষ্টি করে। ফলে পেঁপে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই জমিতে আগাছা হওয়া মাত্রই
পরিষ্কার করুন।
পোকামাকড় ও রোগ প্রতিরোধে কীটনাশক ব্যবহার করুনঃ পেঁপে গাছ বিভিন্ন
পোকামাকড়ের আক্রমণের সমর্থন হয়। বিভিন্ন পোকা মাকড় পেঁপে গাছের গোড়া ও কাণ্ডে
আক্রমণ করে। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে পেপার গাছকে রক্ষা করার জন্য সময় মত
কীটনাশক প্রয়োগ করুন।
নিয়মিত গাছ পরিচর্যা ও পর্যবেক্ষণ করুনঃ সময় মত গাছ পরিচর্যা করুন
ও পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার জমির পেঁপে গাছগুলোর উপর নজর রাখুন কখন কোন উপাদান
প্রয়োজন। কোন গাছ হেলে গেলে সেখানে খুঁটির ব্যবস্থা করুন। কোন গাছ নষ্ট হয়ে
গেলে সেখানে নতুন গাছ রোপন করুন। পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখতে পেলে কীটনাশক প্রয়োগ
করুন। সময় মত গাছের বৃদ্ধি ঠিক রাখার জন্য ও ফল ধরার জন্য সার প্রয়োগ করুন।
সঠিক সময়ে ফল সংগ্রহ করুনঃ পেঁপে গাছে ফল আসার পর সঠিক সময়ে ফল
সংগ্রহ করতে হয়। কেননা আপনি টাকার খরচ করে সকল পরিচর্যা করে যখন ফল আসে তখন
পরিপক্ক হওয়ার আগে যদি ফল সংগ্রহ করেন সে ক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার তেমন সম্ভাবনা
থাকে না। পূর্ণবয়স্ক হওয়া অবস্থায় অপেক্ষা করুন। পেঁপের সাইজ যখন বড় হবে তখন
সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রয় করুন।
সবচাইতে ভালো মূল্য পাওয়া যায় পেপে পরিপক্ক অবস্থায় সংগ্রহ করলে। বাজারে কাঁচা
পেঁপের চাইতে আধাপাকা পেঁপের মূল্য সবচাইতে বেশি। তাই আপনি চাইলে আধাপাকা
অবস্থায় পেপে সংগ্রহ করতে পারেন। পেপের গায়ের রং যখন হালকা হলুদ রঙের হবে তখন
পেঁপে সংগ্রহ করে বিক্রয় করুন।
প্রিয় পাঠক উপরে পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই উপায়
গুলো অনুসরণ করে আপনি যদি পেঁপে চাষ করেন সে ক্ষেত্রে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।
তবে অবশ্যই পেপে চাষের ক্ষেত্রে উন্নত জাতের চারা রোপন করতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা
করি পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি
আপনি হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করতে পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
কেননা হাইব্রিড যাদের পেপে গুলো আধুনিক চাষের মাধ্যমে চাষাবাদ করা যায়। হাইব্রিড
পেঁপে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অন্যান্য পাপের চাইতে হাইব্রিড পেঁপে
চাষ পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। নিচে হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি গুলো পয়েন্ট আকারে
দেওয়া হলঃ
- সঠিক জমি নির্বাচন করুন
- পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখুন
- মাটি ভালোভাবে চাষ করুন
- উন্নত হাইব্রিড জাতের চারা রোপন করুন
- চারা রোপনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ মিটার দূরত্ব রাখুন
- ডিপ ইরিগেশন সেচ ব্যবস্থা চালু করুন
- মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করুন
- সঠিক পরিমাণের সার প্রয়োগ করুন
- পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে কীটনাশক ব্যবহার করুন
- প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করুন
- সঠিক সময়ে ফল সংগ্রহ করুন
প্রিয় পাঠক আপনি উপরে দেওয়া এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে হাইব্রিড পেঁপে চাষ করতে
পারবেন। হাইব্রিড পেঁপে চাষ করার জন্য উপরে সঠিক নিয়ম গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া
হয়েছে। হাইব্রিড পেঁপে চাষ করার জন্য অবশ্যই উন্নত জাতের চারা সংগ্রহ করতে হয়।
প্রিয় পাঠক আশা করি হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
পেঁপে চারা রোপণ পদ্ধতি
পেঁপে চারা রোপন পদ্ধতি সম্পর্কে অনেকেই খোঁজ করেন। পেঁপে চারা রোপন করার জন্য
সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। পেঁপে চারা রোপন করার জন্য
প্রথমে মাটি নির্বাচন করুন। পেঁপে চাষের জন্য বেলে দশ মাটি অত্যন্ত উপযুক্ত।
প্রথমে জমি ভালোভাবে চাষ করে নিন। এরপর মই দিয়ে মাটি নরম করে নিন। পর্যাপ্ত
পরিমাণে গোবর সার,
রাসায়নিক সার, জিপসার, ও পটাশিয়াম দিয়ে চারা রোপন করুন। চারা রোপন করার
ক্ষেত্রে হাইব্রিড যাদের পেপে হলে অবশ্যই ২ মিটার দূরত্বের রোপণ করুন। এতে গাছ
পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পাবে ও রোগবালাই দূর হবে। পেঁপে চারা লাগানোর পর
জমিতে সেচ দিন। প্রথমে পুরো জমি একসাথে সেচ দিতে পারেন। পরবর্তীতে ড্রিপ ইরিগেশন
পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
এ পদ্ধতিতে সব গাছের শিকড়ে সঠিকভাবে পানি পৌঁছায়। জমি কর্দমাক্ত হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে না। ফলে পেঁপে গাছ সঠিকভাবে বৃদ্ধি হতে পারে।
পেঁপে চাষের উপযুক্ত সময়
পেঁপে চাষের জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করতে না পারলে আপনি পেঁপে গাছের সঠিক
বৃদ্ধি করতে পারবেন না। পেঁপে চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময় নির্বাচন করুন। পেঁপে
চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময় হল জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস। আপনি এই সময় পেঁপে চারা
রোপন করলে গাছ ভালোভাবে বেড়ে উঠবে। কখনোই শুষ্ক মৌসুমে গাছ রোপন করতে যাবেন
না।
শুষ্ক মৌসুমে পেঁপে গাছ বৃদ্ধি হতে পারে না। তবে আপনি চাইলে শীতকালেও পেঁপে চারা
রোপন করতে পারেন। শীতকালও পেঁপে চারা রোপন করা যায়। তবে অন্যান্য মাসের তুলনায়
শীতকালে পেঁপে গাছের চারা কম বৃদ্ধি হতে পারে। পেঁপে চারা রোপন করার পর সাধারণত
৬-৮ মাসের মধ্যে ফল ধরা শুরু হয়। তবে হাইব্রিড জাতের পেঁপে গুলো ৯০ দিনের মধ্যে
ফল ধরে।
রেড লেডি পেঁপে বীজের দাম
রেড লেডি পেঁপে বীজের দাম ভিন্ন ভিন্ন রকম। অরিজিনাল রেড লেডি হাইব্রিড পেঁপে
বীজের দাম অনেক বেশি। অরিজিনাল রেড লেডি হাইব্রিড নিবি তাইওয়ানের যা উচ্চ ফলনশীল
প্রজাতির পেঁপে। তবে কিছু বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরাও রেড লেডি নামে ইচ্ছেমত পেঁপে
বীজ বিক্রয় করছেন।
ইচ্ছেমতো দাম ও রেখেছেন। তবে অরিজিনাল রেড লেডি তাইওয়ানের উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড
পেঁপে বীজের দাম প্রতি দুই গ্রাম প্যাক এর দাম ১০৫০ টাকা। আপনি বিভিন্ন বীজ
বিক্রেতার কাছে অথবা অনলাইন শপ গুলোতে অর্ডার করে রেড লেডি কিনতে পারবেন।
রেড লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি
হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি ও রেড লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি একই। কেননা রেড লেডি
পেঁপে সাধারণত হাইব্রিড জাতের পেঁপে। আপনি এই পেঁপে চাষ করার জন্য আধুনিক পেঁপে
চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আধুনিক সকল নিয়ম অনুযায়ী জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করে
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখুন। এরপর প্রয়োজনমতো জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করুন। এরপর প্রতি ২ মিটার দূরত্বে রেড লেডি পেঁপে চারা
রোপন করুন।
রেড লেডি পেঁপে চারার দাম
রেড লেডি পেঁপে সবচাইতে উন্নত জাত গুলোর মধ্যে একটি। রেড লেডি পেঁপে হাইব্রিড
যাতে পেঁপে। রেড লেডি পেঁপে চারা বিক্রয় হয় কম। রেড লেডি পেঁপে চারার বিক্রয়
হয় বেশি। প্রতি পিস রেড লেডি পেঁপে চারা বিক্রয় হয় ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত। রেড
লেডি বিজ বিক্রয় হয় প্রতিটি ১০ টাকা। রেড লেডি পেঁপে বীজের এক প্যাকেটের দাম
৬০০-১০৫০ টাকা পর্যন্ত।
ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি
অনেকে ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে খোঁজ করেন। অন্যান্য পেঁপে চাষ করার
মতোই আপনি ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। সাধারণত ফাস্ট লেডি
পেঁপে হাইব্রিড যাদের পেপে। তাই আপনি হাইব্রিড যাদের পেঁপে ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ
করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ করতে পারেন।
আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ করে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়।
ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ করার জন্য প্রথমে বেলে দোআশ মাটি নির্বাচন করুন। এরপর জমি
ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করে সঠিক জৈব সার ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
করুন।
জমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রাখুন। এরপর সঠিক দূরত্বে চারা রোপন করুন। সঠিক
সময়ে সেচ দেওয়া ও পোকামাকড়ের কীটনাশক ব্যবহার করে গাছের পরিচর্যা করুন। ফল
ধরার পর উপযুক্ত সময় ফল সংগ্রহ করুন। এভাবে আপনি ফাস্ট লেডি পেঁপে চাষ করতে
পারেন।
লেখকের মন্তব্য
পেঁপে চাষের আধুনিক পদ্ধতি ও হাইব্রিড পেঁপে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে পুরো
আর্টিকেলটিতে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। পেঁপে চাষ সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে
সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। পেঁপে চাষ সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে সে
ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অন্যান্য কৃষি ও চাষাবাদ সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরী
গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url