উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত - হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
আপনি নিশ্চয়ই মিষ্টি কুমড়া চাষ করবেন বলে ভাবছেন তাই হয়তো খুঁজে দেখছেন। উচ্চ
ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত চাষ করলে অল্প সময়ে প্রচুর লাভবান হতে পারবেন। কেননা
প্রত্যেকটি জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হওয়া যায় না। হাইব্রিড মিষ্টি
কুমড়া চাষ পদ্ধতি জেনে হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করুন।
আপনি হয়তো মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন কিন্তু মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ঠিক
ধারণা নেই। দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি জেনে
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করুন। ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত গুলোর মধ্যে থেকে
যেকোনো জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। মিষ্টি
কুমড়ার প্রত্যেকটি জাত সম্পর্কে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত - হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত
অনেকে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন কিন্তু কোন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করলে বেশি
লাভবান হওয়া যায় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। অবশ্যই দ্রুত লাভবান হওয়ার জন্য
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি জেনে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করা উচিত।
কেননা অল্প সময়ে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া গুলো বেশি মিষ্টি কুমড়ার চাইতে
তুলনামূলক অনেক বড় হয়।
যেহেতু কাঁচা সবজি ওজন দরে বিক্রয় হয় তাই বড় সবজির দাম প্রত্যেকটি চাষিরা বেশি
পান। একই খরচ যদি বড় সবজি ফলানো যায় তাহলে ওজনের দিক থেকে লাভবান হওয়া যায়।
তাই আপনি যদি উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে হবে। নিচে উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত এর
তালিকা দেওয়া হলঃ
- সুইটি F1
- ব্ল্যাকস্টোন
- সাওদা
- বিশাল
- ময়ূরী প্লাস
সুইটি F1: উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত গুলোর প্রথম পর্যায়ে আছে
সুইটি। সুইটি মিষ্টি কুমড়া সারা বছর চাষের উপযোগী। সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়া
উচ্চতাপ লবণাক্ততা ও ভাইরাস রোগ সহজেই সহ্য করতে পারে। এ জাতের মিষ্টি কুমড়া
সারা বছর চাষ করা যায়। সুইটি জাতের মিষ্টি কুমড়ার আকার গোলাকার হয়। এবং শরীরের
অংশগুলো খাঁজ কাটা।
পুরো মিষ্টি কুমড়া পরিপুষ্ট ও শ্বাসে পুরু। পেকে গেলে এই মিষ্টি কুমড়ার রঙ
অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয় যা যেকোনো গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। প্রতিটি ফলের ওজন
৮-১০ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতি একর জমিতে ১৫-২০ তখন পর্যন্ত সুইটি জাতের মিষ্টি
কুমড়ার ফলন হয়। আপনি এই জাতের মিষ্টি কুমড়া ৭০-৯০ দিনের মধ্যে সংগ্রহ করতে
পারবেন।
ব্ল্যাকস্টোনঃ উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত গুলোর মধ্যে দ্বিতীয়
পর্যায়ে রয়েছে ব্ল্যাক স্টোন। এটিও উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত। ফলের আকার
গোলাকার এবং ছোট সাইজের হয়। আপনি বর্ষাকালীন মৌসুম ছাড়া সারা বছর এই মিষ্টি
কুমড়া চাষ করতে পারবেন। জমিতে চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ব্ল্যাক স্টোন জাতের
মিষ্টি কুমড়া।
আপনি 75 থেকে 80 দিনের মধ্যে ব্ল্যাক স্টোন জাতির মিষ্টি কুমড়ার ফল সংগ্রহ করতে
পারবেন। মাটিতে চাষ করলে ৬-৮টি ও মাচা পদ্ধতিতে চাষ করলে কমপক্ষে ১০টি ব্ল্যাক
স্টোন জাতের মিষ্টি কুমড়া ধরে। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়ার ওজন ২.৫-৩কেজি পর্যন্ত
হয়।
সাওদাঃ উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়া গুলোর মধ্যে আরো একটি হলো সাওদা।
সাওদা জাতের মিষ্টি কুমড়া হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া। এই মিষ্টি কুমড়া পাকলে
আকর্ষণীয় রং ধারণ করে। ফলের আকার গোলাকার চারিদিকে পুরু ও সমান। ফল পরিপক্ক হলে
প্রতিটি ফলের ওজন ২.৫-৩ কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতি একর জমিতে ২০-২৫ এখন পর্যন্ত ফল
উৎপাদন হয়। সাওদা জাতের মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত সুস্বাদু। ফল পেকে গেলে এ জাতের
মিষ্টি কুমড়া দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
বিশালঃ উন্নত জাতের মিষ্টি কুমড়া গুলোর মধ্যে আরও একটি হলো বিশাল।
অত্যন্ত সুস্বাদু মিষ্টি স্বাধ যুক্ত বিশাল জাতের মিষ্টি কুমড়া। বিশাল জাতের
মিষ্টি কুমড়া দেখতে সাধারনত ব্ল্যাক স্টোন প্রজাতির মত। এর শরীরের রং কালচে।
আপনি বর্ষার মৌসুম ছাড়া সারা বছর বিশাল জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে
পারবেন।
চারা রোপনের ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিটি গাছে
৮-১০টি পর্যন্ত ফল ধরে। গড় প্রতিটি ফলের ওজন ২.৫-৩ কেজি হয়। অল্প খরচে লাভবান
হতে চাইলে আপনি বিশাল জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন।
ময়ূরী প্লাসঃ উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত গুলোর মধ্যে আরও একটি
হল ময়ূরী প্লাস। ময়ূরী প্লাস জাতের মিষ্টি কুমড়া হাইব্রিড জাতের মিষ্টি
কুমড়া। এটি অত্যন্ত সুমিষ্ট সাধ যুক্ত। ফলের সাইজ অত্যন্ত বড় এবং হালকা খাজ
কাটা ধরনের হয়। প্রতিটি ফলের ওজন ৮-১০ কেজি পর্যন্ত হয়। গাছে ফলের সংখ্যা ৪-৫
পর্যন্ত ধরে। আপনি এ জাতের মিষ্টি কুমড়া আগাম চাষ করতে পারবেন। দ্রুত লাভবান
হওয়ার জন্য ময়ূরী প্লাস জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক উপরে উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত গুলোর তালিকা আপনাদের সামনে
দিয়েছি। এছাড়াও আরো অনেক একাধিক মিষ্টি কুমড়ার জাত রয়েছে যেগুলো উচ্চফলনশীল।
তবে এখানে সেরা কিছু জাতের মিষ্টি কুমড়ার তালিকা আপনাদের সামনে দিয়েছি। আপনি এ
জাতের মিষ্টি কুমড়া গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি জাত বেছে নিয়ে চাষ করে লাভবান
হতে পারবেন।
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। হাইব্রিড
মিষ্টি কুমড়া চাষ করার পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া সাধারণত একাধিক ভাবে চাষাবাদ করা যায়। সাধারণত হাইব্রিড
মিষ্টি কুমড়া মাচা ও মাটিতে দুই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। এছাড়া আপনি ঘরের চালে,
উঠানে, গাছের ডালে,
ছোট গাছের উপরে এর ডো গা তুলে দিয়ে এ জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে
পারবেন। তবে সবচাইতে বেশি লাভবান হওয়া যায় মাটিতে চাষ করলে। মাটিতে চাষ করলে
পরিশ্রম ও খরচ উভয় কম হয়। হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করার জন্য প্রথমে
জমি নির্বাচন করুন। এরপর জমি ভালোভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করে আগাছা মুক্ত
করুন।
এরপর প্রয়োজন মত জৈব সার রাসায়নিক সার জমিতে ছিটিয়ে দিন। এরপর পুনরায় মই
দিয়ে জমি সমতল করুন। এরপর পরিমাণ মতো বীজ জমিতে রোপন করুন। সময় মত সেচ ও সার
প্রয়োগ করুন। কখনোই বেশি পরিমাণে সেচ দিতে যাবেন না। সঠিক মাত্রায় সেচ দিন।
আগাছা মুক্ত করার জন্য আগাছা নাশক যেকোনো বিষ ব্যবহার করতে পারেন।
রোগবালায় ও পোকামাকড়ে আক্রমণ করলে কীটনাশক ব্যবহার করুন। গাছের রং হলদে ভাব হলে
জমিতে সেচ দিয়ে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করুন। জাত অনুযায়ী বীজ রোপনের ৭৫-৯০ দিনের
মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন। এভাবে আপনি হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
অনুসরণ করে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন।
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার জাত
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার অগণিত জাত রয়েছে। যা হাতে গুনে শেষ করার মত নয়। ভিন্ন
ভিন্ন জাত গুলো ভিন্ন ভিন্ন রকম ফলন দেয়। এক এক চাষিরা এক এক ধরনের হাইব্রিড
মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। তবে সব ধরনের হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান
হওয়া যায় না। লাভবান হওয়ার জন্য বেশ কিছু হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার জাত রয়েছে
যেগুলো সব ধরনের রোগ বালাই দূর করতে পারে। নিচে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার সবচাইতে
ভালো জাত গুলোর তালিকা দেওয়া হলোঃ
- সুইটি F1
- ব্ল্যাকস্টোন
- সাওদা
- বিশাল
- ময়ূরী প্লাস
- বিগ সুইট
- বারি হাইব্রিড ১
- বেবি সুইট
- ব্ল্যাক সুইট
- মনিকা
- রঙ্গিনা
- চিতা
- লালিমা
উপরের দেওয়া প্রত্যেকটি হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার জাত। এগুলোর আকার সাইজ, গাছে ফল
ধরার সংখ্যা প্রত্যেকটি কম বেশি হয়। আপনি এ জাতগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দ
অনুযায়ী যে কোন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন।
বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া
বারোমাসি মিষ্টি কুমড়ার জাতগুলো অত্যন্ত ভালো। বছরের যেকোনো সময় বারোমাসি
মিষ্টি কুমড়া চাষ করা যায়। বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া অত্যন্ত সাদযুক্ত। এই মিষ্টি
কুমড়া গুলো জমি ও বাড়ির উঠানে, চালে লাগানো যায়। বারোমাসি মিষ্টি কুমড়ার বেশ
কিছু জাত রয়েছে তবে সেগুলোর নাম অনুযায়ী অথবা জাত অনুযায়ী বিক্রয় করা হয়
না।
সবচাইতে ভালো ইস্পাহানি গ্রুপের বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া। এছাড়া আরো অন্যান্য
জাতের বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন। তবে বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া চাষ
করার ক্ষেত্রে ইস্পাহানি গ্রুপের মিষ্টি কুমড়া বীজ সবচাইতে সেরা।
মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযুক্ত সময়
বছরে বর্ষা কালীন সময়ে ছাড়া সারা বছর মিষ্টি কুমড়া চাষ করা যায়। তবে উপযুক্ত
সময় মিষ্টি কুমড়া চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কেননা উপযুক্ত সময়ে গাছে
ফল বেশি আসে। মিষ্টি কুমড়া চাষের উপযুক্ত সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস। আপনি এ সময়
জমিতে বীজ রোপন অথবা চারা লাগাতে পারেন। জমি ভালোভাবে চাষ করে প্রস্তুত করুন এরপর
নিজে চারা অথবা বীজ রোপন করুন।
টবে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
আপনি খুব সহজেই টবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারবেন। টবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করার
জন্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংগ্রহ করুন। টবে
মিষ্টি কুমড়া চাষ করার জন্য অবশ্যই বড় আকারের টবের প্রয়োজন হবে। এরপর টবের
আকার অনুযায়ী মাটি এর সাথে ৫ কেজি গোবর সার, ১ কেজি ডিএপি, ১ কেজি ইউরিয়া, ৫০০
গ্রাম পটাশ,
১ কেজি টিএসপি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর মাটির সাথে ভালোভাবে এই সার গুলো মিশিয়ে
নিন। এবার টবে এ মাটি গুলো দিয়ে পরিপূর্ণ করুন। এবার বীজ অথবা চারা টবে লাগাতে
পারেন। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিন। গাছের বৃদ্ধি শুরু হলে উপরে সুতো
দিয়ে মাচা তৈরি করে দিন। সময় মত গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু করলে পোকামাকড়ের
আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। এভাবে আপনি টবে মিষ্টি কুমড়া চাষ
করতে পারবেন।
মিষ্টি কুমড়ার জাতের নাম
অনেকে মিষ্টি কুমড়ার জাতের নাম সম্পর্কে খোঁজ করেন। মিষ্টি কুমড়ার একাধিক জাত
রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন জাত অনুযায়ী এর ফলন ভিন্ন রকম। দেশি জাতের মিষ্টি কুমড়ার
চাইতে হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করা বেশি লাভ। অন্যদিকে বারোমাসি মিষ্টি
কুমড়া সারা বছর চাষাবাদ করা যায়। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন জাতের
মিষ্টি কুমড়া গুলো চাষ করতে পারেন। নিচে মিষ্টি কুমড়ার জাতের নাম দেওয়া হলোঃ
- সুইটি F1, ব্ল্যাকস্টোন
- সাওদা, বিশাল
- ময়ূরী প্লাস, বিগ সুইট
- বারি হাইব্রিড ১, বেবি সুইট
- ব্ল্যাক সুইট, মনিকা
- রঙ্গিনা, চিতা, লালিমা
বড় জাতের মিষ্টি কুমড়া
অনেকে বড় জাতের মিষ্টি কুমড়া সম্পর্কে খোঁজ করেন। ছোট জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ
করার চাইতে বড় জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে দ্রুত লাভবান হওয়া যায়। কেননা ফলের
সংখ্যা কম হলেও এ জাতের মিষ্টি কুমড়ার ওজন বেশি হয়। তাই ওজনের দিক থেকে দামও
বেশি পাওয়া যায়। বড় জাতের মিষ্টি কুমড়া গুলোর মধ্যে বিগ সুইট, সুইটি, সাওদা,
বিশাল, ময়ূরী প্লাস, বারি হাইব্রিড ১ অন্যতম।
আপনি যদি বড় জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে উপরে দেওয়া এ জাত
গুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারেন। তবে অবশ্যই মিষ্টি
কুমড়া চাষ করার পূর্বে হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে মিষ্টি
কুমড়া চাষ করুন। তাহলে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটিতে উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত ও হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া চাষ
পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন।
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া অথবা মিষ্টি কুমড়া চাষ সম্পর্কে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন
থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার
করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অন্যান্য ফসলাদি সম্পর্কে তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের কৃষি সম্পর্কিত ক্যাটাগরি
ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url