খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় - খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলোর মধ্যে একটি হল খাদ্যনালী। খাদ্যনালীর মাধ্যমে আমরা যা খাবার খায় তা পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। খাদ্যনালী যদি ভালো না থাকে সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় অনুসরণ করে খাদ্যনালীর বিভিন্ন রোগ দূর করে খাদ্যনালী ভালো রাখা যায়। কিছু লক্ষণ দেখলে বুঝে যাবেন আপনার খাদ্যনালী শুকিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে আপনি কি সমস্যা প্রতিকার করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলটিতে খাদ্যনালী সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গর মতোই খাদ্যনালী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি খাবার গ্রহণের সময় সমস্যার সম্মুখীন হন সে ক্ষেত্রে খাবার খেয়ে কখনো তৃপ্তি পাবেন না। খাবার খেয়ে তৃপ্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই খাদ্যনালী ভালো থাকা প্রয়োজন। খাদ্যনালীর সমস্যায় ভোগেন বিভিন্ন ব্যক্তিরা। বিভিন্ন সমস্যার কারণে খাদ্যনালী বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হয়। খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায়, খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ, খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ, খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়া, খাদ্যনালীর সমস্যার লক্ষণ, খাদ্যনালী সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় - খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ
খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায়
বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করে চললে খাদ্যনালী ভালো রাখা যায়। খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় অনুসরণ করলে খাদ্যনালী দীর্ঘদিন সুস্থ থাকবে। খাদ্যনালীর যেকোনো রোগ থেকে সুস্থ থাকতে পারবেন। খাদ্যনালীর সমস্যা হলে আমাদের পাকস্থলী সহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। এর ফলে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই প্রত্যেকেরই উচিত খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় গুলো অনুসরণ করা। নিচে খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া
- প্রচুর পানি পান করা
- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
- খাবারের পর শোয়া এড়ানো
- ধূমপান পরিহার করা
- নরম খাবার খাওয়া
- সফট ড্রিংক কম খাওয়া
- অ্যাসেডিক খাবার কম খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়াঃ ফাইবার যুক্ত খাবার খাদ্যনালীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফাইবার যুক্ত খাবার হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলীর খাবার দ্রুত হজম হলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয় ফলে খাদ্যনালীতে চাপ কম পড়ে ও খাদ্যনালী সুস্থ থাকে।
প্রচুর পানি পান করাঃ খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রচুর পানি পান করা। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে পাকস্থলীর খাবার দ্রুত হজম হয় অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধ করে। পাকস্থলীতে এসিডিটির সমস্যা না হলে খাদ্যনালী দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে।
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করাঃ খাদ্যনালীর জন্য অতিরিক্ত মশাযুক্ত খাবার অত্যন্ত ক্ষতিকারক। খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে হলে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক, ও বুক জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে ফলে খাদ্যনালীর সমস্যা হয়। খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা প্রয়োজন।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করাঃ খাদ্যনালীর সুস্থতার জন্য শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন পাকস্থলীর এসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে খাদ্যনালী ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হয়। তাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করলে খাদ্যনালীর সুস্থ থাকে।
খাবারের পর শোয়া এড়ানোঃ অনেকেই খাবার খাওয়ার পর দ্রুত শুয়ে পড়েন। খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে খাদ্যনালির জন্য ক্ষতিকর। খাবার খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে খাবার ও এসিড খাদ্যনালির উপরে উঠে আসে ফলে খাদ্যনালীর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই খাবার খাওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকুন অথবা হাঁটাহাঁটি করুন। এরপর শুয়ে বিশ্রাম নিতে পারেন।
ধূমপান পরিহার করাঃ খাদ্যনালীর জন্য ধূমপান অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধূমপান গ্রহণ করলে খাদ্যনালির পেশী গুলোকে দুর্বল করে ফেলে। ফলে খাদ্যনালীর এসিড রিফ্লেক্স ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই খাদ্যনালী সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই ধূমপান পরিহার করুন।
নরম খাবার খাওয়াঃ খাবার খাওয়ার সময় নরম খাবার খাওয়া খাদ্যনালীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। খাদ্যনালীর জন্য শক্ত খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শক্ত খাবার গ্রহণ করার সময় খাদ্যনালীতে চাপ লাগলে অথবা আঁচড় লাগলে খাদ্যনালী চিরে অথবা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে কাঁটা জায়গাতে হ্মত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই খাদ্যনালী সুস্থ রাখার জন্য নরম খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
সফট ড্রিংক কম খাওয়াঃ খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো সফট ড্রিংক কম খাওয়া। সবচেয়ে ড্রিংকগুলো এসিডিক হয়। সফটওয়্যার ড্রিংক খেলে বুক জ্বালাপোড়া, খাদ্যনালীতে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে হলে সফট ড্রিংক কম গ্রহণ করুন।
অ্যাসিডিক খাবার কম খাওয়াঃ অ্যাসিডিক খাবার খাদ্যনালীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বিশেষ করে ভাজাপোড়া খাবার, তেল চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মশাযুক্ত খাবার অত্যন্ত অ্যাসিডিক হয়। এসিডিক খাবার পাকস্থলীতে এসিডিটির সৃষ্টি করে। এসিডিটি বৃদ্ধি পেলে খাদ্যনালীতে প্রদাহ ও গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে খাদ্যনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ খাদ্যনালী সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে খাদ্যনালী সুস্থ থাকে। খাদ্যনালী খাবার প্রক্রিয়াকে সহজে সচল রাখতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে খাবার দ্রুত হজম হয় গ্যাস ও এসিডের সমস্যা সহজে দূর হয় ফলে খাদ্যনালী সুস্থ থাকে।
উপরে খাদ্যনালী সুস্থ রাখার জন্য সবচাইতে সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনারা এই বিষয়গুলো অনুসরণ করে খুব সহজে দীর্ঘদিন খাদ্যনালী সুস্থ রাখতে পারবেন। খাদ্যনালী সুস্থ থাকলে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। প্রিয় পাঠক আশা করি খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ
অনেকেই খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। যে লক্ষণ গুলো অনুভব করে খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার খাদ্যনালী শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা। খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়া ও পর্যাপ্ত পরিমাণে আদ্রতা না থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে খাদ্যনালী শুকিয়ে গেলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ পয়েন্ট আকারের নিচে দেওয়া হলঃ
- গলা সব সময় শুকনো মনে হওয়া
- খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া
- খাবার খেলতে গেলে ব্যথা হওয়া
- বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হওয়ার
- গলায় খাবার আটকে যাওয়া
- গলায় খাবার আটকে আছে অনুভব হওয়া
- খাবার গিলতে গেলে গলায় খিচ ধরা
- বারবার কাশি কাশি ভাব হওয়া
- শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া
- কণ্ঠস্বর ভেঙে যাওয়া
- গলা ও শ্বাসনালীতে অস্বস্তি অনুভব করা
প্রিয় পাঠক উপরে এই লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি বুঝবেন আপনার খাদ্যনালী শুকিয়ে যাচ্ছে বা শুকিয়ে গিয়েছে। খাদ্যনালী শুকিয়ে গেলে এ লক্ষণ গুলো দেখা যায়। তবে এই লক্ষণ গুলো দেখায় দিলে আপনি কখনোই ভিতরে পড়বেন না। এ লক্ষণগুলো গলা শুষ্ক হয়ে থাকলেও হতে পারে। গলা শুষ্ক থাকলে খাবার গিলতে, শুকনো কাশি, শ্বাস নিতে সমস্যা হয়।
তাই উপরের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে কখনোই চিন্তিত হবেন না। এ লক্ষণ গুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। প্রিয় পাঠক আশা করি খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ
খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকে খোঁজাখুঁজি করেন। বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো অনুভব করলে আপনি খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো ধারণা করতে পারবেন। খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে প্রত্যেকটি রোগের ক্ষেত্রে এ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। নিচে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া
- খাবার খেলতে গলায় ব্যথা অনুভব করা
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- প্রতিনিয়ত এসিডিটির সম্মুখীন হওয়া
- অতিরিক্ত গলায় ব্যথা হওয়া
- কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া
- বুক ও পিঠে ব্যথা অনুভব করা
- খাবার খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হওয়া
- খাবার খেতে গেলে গলায় আটকে যাওয়া
- সব সময় গলায় খাবার আটকে আছে এরকম অনুভূতি
- গলায় ও ঘাড়ে গ্র্যান্ড খুলে যাওয়া
- দীর্ঘ স্থায়ী কাশি ও রক্ত কাশি হওয়া
- মুখের দুর্গন্ধ বৃদ্ধি পাওয়া
উপরের এ লক্ষণগুলো খাদ্যনালীতে ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ করে। তবে এ লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি কখনোই নিশ্চিত হতে পারবেন না যে আপনার খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়েছে। আপনার খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়েছে কিনা বা এর লক্ষণগুলো একমাত্র চিকিৎসকই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক ফলাফল দিতে পারবেন। তাই কখনোই এ লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেলে চিন্তিত হবেন না চিকিৎসকের পরামর্শনিন সঠিক বিষয় জানতে পারবেন।
খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়া
খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়া এটি একটি রোগের লক্ষণ। খাদ্যনালী চিকন হয়ে গেলে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হতে হয়। খাদ্যনালীর মাধ্যমে আমরা খাবার গ্রহণ করে সুস্থ থাকি। খাদ্যনালী যদি চিকন হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। খাদ্যনালী মূলত বিভিন্ন রোগের কারণে চিকন হতে পারে। খাদ্যনালী চিকন হলে প্রদাহ ও ব্যথার সৃষ্টি করে।
খাবার খেলে গলায় আটকে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। খাদ্যনালীর বিভিন্ন সমস্যা হলে খাদ্যনালী চিকন হতে পারে। খাদ্যনালী চিকন হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। খাদ্যনালী চিকন হয়ে গেলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে যাওয়া। ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া।
খাবার খাওয়ার সময় বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথা অনুভব করা। এছাড়াও খাদ্যনালি চিকন হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। আপনি যদি এই সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হন সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার উপায়
খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ ও পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে অনেকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য আপনি বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে। খাবার হজম করে মলত্যাগ করতে সহজ হয়। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকলে খাবারে তৃপ্তি পাওয়া যায়। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখার জন্য বেশি বেশি শাকসবজি,
টাটকা ফল ও নরম খাবার গুলো গ্রহণ করুন। যে কোন খাবার খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। খাবার হজম প্রক্রিয়া সচল রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন। অতিরিক্ত তেল চর্বি ও মসলাযুক্ত খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই তেল চর্বি ও মাসলা যুক্ত খাবার কম পরিমাণে গ্রহণ করুন।
পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে ধূমপান গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ধূমপান গ্রহণ করলে পরিপাকতন্ত্রের এসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বৃদ্ধি করে। তাই পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই ধূমপান পরিহার করা প্রয়োজন।
খাদ্যনালীর সমস্যার লক্ষণ
খাদ্যনালীর সমস্যার লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। খাদ্যনালীতে সমস্যা হলে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। বেশ কিছু লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার খাদ্যনালীর সমস্যা হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্যনালীর সমস্যা গুলোর মধ্যে খাবার কিনতে কষ্ট হয়। যে কোন খাবার কিনতে গেলে গলায় আটকে যায়। খাবার গিলতে গেলে বুকে আটকে যাওয়া অনুভব করবেন।
বিশেষ করে খাবার খাওয়ার সময় বুকে ও পিঠে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। গলায় খুসখুসে কাশি ও গলা শুকিয়ে থাকা অনুভব করতে পারেন। খাদ্যনালির সমস্যা হলে বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে। দিনের অধিকাংশ সময় গলায় খাবার আটকে থাকার অনুভূতি অনুভব করবেন। এছাড়া শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্টের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
তবে এই বিষয়গুলো দেখে নিশ্চিত হবেন না যে খাদ্যনালীর সমস্যা হয়েছে। একমাত্র চিকিৎসক পরীক্ষার নিরীক্ষার মাধ্যমে খাদ্যনালের সমস্যা হয়েছে কিনা সে বিষয় নিশ্চিত হতে পারবেন।
খাদ্যনালী অপারেশন
খাদ্যনালীর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হলে অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনার খাদ্যনালীর সমস্যা হলে যে অপারেশন করতে হবে এমন কোন কথা নয়। যদি গুরুতর সমস্যা হয়, অথবা প্রতিনিয়ত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে সে ক্ষেত্রে অপারেশন করার প্রয়োজন হতে পারে। কখনোই অপারেশন করার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবেন না।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। ঔষধ সেবন করে যদি সুস্থ না হন অপারেশন করা যদি একান্তই প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে খাদ্যনালির অপারেশন করতে পারেন। তবে অপারেশন করার জন্য একজন দক্ষ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে অপারেশন করুন।
খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার কারণ
খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। একাধিক কারণে খাদ্যনালী শুকিয়ে যায়। আপনি যদি অতিরিক্ত ধূমপান করেন সে ক্ষেত্রে আপনার খাদ্যনালী শুকিয়ে যাবে। মুখে লালার অভাব হলে খাদ্যনালী শুকিয়ে খাবার গ্রহণের সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে মুখের শুষ্কতা ডায়াবেটিস, অন্যান্য ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে খাদ্যনালী শুকিয়ে যেতে পারে।
ডিহাইড্রেশনের জন্য খাদ্যনালী শুকিয়ে যায়। আপনার শরীরে যদি পানির অভাব হয় এক্ষেত্রে আপনার খাদ্যনালী শুকিয়ে যাবে। শুষ্ক বাতাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করার ফলে খাদ্যনালী শুকিয়ে যায়। শীতকালীন শুষ্ক বাতাস বিশ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করলে খাদ্যনালী শুকিয়ে যায়।
লেখক এর মন্তব্য
পুরো আর্টিকেলটিতে খাদ্যনালী ভালো রাখার উপায় ও খাদ্যনালী শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ, খাদ্যনালী চিকন হয়ে যাওয়ার লক্ষণ, খাদ্যনালী সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
খাদ্যনালী সম্পর্কে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। ইনফরমেশন সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url