গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় - গাভী হিটে আসার লক্ষণ
আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্যক্তিরাই জীবিকা নির্বাহ করার জন্য গবাদি পশু পালন করেন। কেউবা ষাঁড় গরু আবার কেউ বা গাভি পালন করেন। ভালো জাতের বাচ্চা নেওয়ার জন্য গাভীকে ভালো জাতের বীজ দেওয়া হয়। গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় অনেকেই জানেন না। কেননা অধিকাংশ ব্যক্তিরা গবাদি পশু পুষলে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে না। গাভী হিটে আসার লক্ষণ বুঝতে পারেন না দীর্ঘ সময়ও গাভি বাচ্চা প্রসব করতে ব্যর্থ হয়। আজকের আর্টিকেলটিতে গাভীর প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
বেশি জাতের গাভী থেকে উন্নত জাতের বাচ্চা নেয়ার জন্য ভাল জাতের বীজ দিলে সবচাইতে ভালো হয়। তবে গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় না জানলে গাভী বীজ কনসিভ করেনা। ফলে বারবার বীজ দিতে হয়, বারবার গাভী হিটে আসে। তাই গাভী হিটে আসার লক্ষণ বুঝে সঠিক সময়ে বীজ দিলে দ্রুত বীজ কনসিভ হয়। সময় মত প্রতিবছর গাভী থেকে ভাল জাতের বাচ্চা পাওয়া যায়। গরুর বীজ চেনার উপায়, গাভী বীজ না রাখার কারণ, গাভী সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় - গাভী হিটে আসার লক্ষণ
গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয়
অনেকে একাধিক বার গাভীকে বীজ দেওয়ার পরেও গাভী বীজ গ্রহণ করে না। পুনরায় অল্প কিছুদিন পর পর গাভী হিটে আসে। সঠিক নিয়ম না জানার কারণে গাভী পুনরায় হিটে আসে। আপনি সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে গাভীকে বীজ দিলে গাভী কখনোই বারবার হিটে আসবেনা। গাভীকে বীজ দিলে অবশ্যই কিছু করণীয় মেনে চলতে হবে। তাহলে গাভীর বীজ গ্রহণ করার সম্ভাবনায় ৯৯% বৃদ্ধি পাবে। গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- গোসল করানো
- ঠান্ডা স্থানে রাখা
- পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ানো
- লবণ খাওয়ানো যাবে না
- খালি পেটে রাখা
- স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা
- ষাঁড় গরু থেকে দূরে রাখা
- পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখা
- গাভীর ওজন পর্যবেক্ষণ করা
- চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
গোসল করানোঃ আপনি গাভীকে যখন বীজ তার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর গাভীকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভালোভাবে গাভীর পুরো শরীর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। এরপর গাভীকে তার বাসস্থানে অথবা সেডে বেঁধে রাখুন।
ঠান্ডা স্থানে রাখাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় হল ঠান্ডা স্থানে রাখা। আপনি যখন বীজ দেবেন তারপর কমপক্ষে দুই ঘন্টা ঠান্ডা বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় বেঁধে রাখুন। এতে গাভীর বীজ কনসিভ করার ক্ষমতা ৯৯% বেড়ে যায়।
পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ানোঃ আপনি দিন গাভীকে বীজ দেবেন সেই দিন থেকে গাভীকে কমপক্ষে একমাস পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন না। এতে গাভি দ্রুত পুনরায় হিটে আসার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই গাভি যাতে হিটে না আসে এজন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।
লবণ খাওয়ানো যাবে নাঃ আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত কোন গাভীকে বীজ দেওয়ার পর কাঁচা লবণ পানির সাথে খাওয়ালে ওই গাভী বীজ কনসিভ করেনা। তাই গাভীকে বীজ দিলে কমপক্ষে ১৫ দিন গাভীকে কাঁচা লবণ খাওয়াবেন না।
খালি পেটে রাখাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর কমপক্ষে ২-২.৫ ঘন্টা খালি পেটে রাখুন। গাভীকে কোন খাবার খেতে দিবেন না। গাভী খালি পেটে থাকলে বীজী কনসিভ হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। গাভীকে বীজ দেওয়ার সাথে সাথেই যদি খাবার খাওয়ানো হয় সে ক্ষেত্রে ওই গাভী বীজ গ্রহণ করে না।
স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার একমাস পর থেকে গাভীর স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। গাভীর স্বাস্থ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে গাভী বীজ গ্রহণ করেছে কিনা। দুধ দেওয়া গাভী দুধের পরিমাণ কমিয়ে আসবে। গাভী যদি লাফালাফি করত সেক্ষেত্রে শান্ত প্রকৃতির হবে। খাবারে প্রচুর পরিমাণে রুচি আসবে। গাভী শুয়ে থাকতে পছন্দ করবে।
ষাঁড় গরু থেকে দূরে রাখাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় হলো ষাঁড় গরু থেকে দূরে রাখা। আপনার সেডে যদি ষাঁড় গরু থাকে সে ক্ষেত্রে কখনোই ষাঁড় গরুর কাছাকাছি গাভীকে রাখবেন না। বীজ দেওয়ার পর যদি গাভীকে ষাঁড় গরুর কাছাকাছি রাখেন সে ক্ষেত্রে গাভী পুনরায় হিটে আসবে। গাভীকে বারবার বীজ দিলেও গাভী সেই বীজ গ্রহণ করবে না।
পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত স্থানে রাখুন। বীজ দেওয়ার পর গাভীকে যদি জীবাণু অথবা রোগ এর সম্মুখীন হতে হয় সে ক্ষেত্রে গাভীর বিচ কনসিভ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাই। তাই কমপক্ষে ৯০ দিন গাভীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখতে চেষ্টা করুন।
গাভীর ওজন পর্যবেক্ষণ করাঃ গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় হলো নিয়মিত গাভীর ওজন পর্যবেক্ষণ করা। গাভীর শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে না সুস্থ হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। গাভীকে বীজ দেওয়ার এক মাস পর থেকেই গাভীকে পুষ্টিকর খাবার দিন। বিশেষ করে বেশি বেশি কাঁচায় ঘাস খাওয়ান। এতে গাভী সুস্থ স্বাস্থ্যবান বাচ্চা প্রসব করবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াঃ গাভীর শারীরিক অবস্থা গুলো উন্নতি অথবা অবনতি সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গাভীর কি হচ্ছে, কেমন হচ্ছে শারীরিক অবস্থা গুলো চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন। গাভীর যদি শারীরিক কোনো সমস্যা না হয় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করার প্রয়োজন নেই। তবে যদি কোন রোগ হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করুন। কখনো নিজে নিজে চিকিৎসা করার চেষ্টাও করবেন না।
প্রিয় পাঠক উপরে গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করনীয় সম্পর্কে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই প্রত্যেকটি পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে পারেন আমার বাস্তব ধারণা থেকে বলছি অবশ্যই আপনার গাভী ৯৯% বীজ কনসিভ করবে। প্রিয় পাঠক আশা করি গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
গাভী হিটে আসার লক্ষণ
গাভী হিটে আসার অনেক লক্ষণ রয়েছে। আপনি খুব সহজে কিছু নিয়ম দেখলে বুঝতে পারবেন আপনার গাভি হিটে এসেছে বা আসতে চলেছে। গাভী হিটে আসার পূর্বে কিছু শারীরিক ভঙ্গি প্রকাশ করে যেগুলো দেখলে আপনি খুব সহজে বুঝে যাবেন গাভী হিটে এসেছে। গাভী হিটে আসার লক্ষণ গুলো নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলঃ
- প্রচুর পরিমাণে ডাকাডাকি করবে
- অন্য গরুকে বারবার মাউন্ট করবে
- অন্য গরুর মাউন্ট গ্রহণ করবে
- প্রসাবের পথ দিয়ে হালকা তরল বের হবে
- অস্থিরতা ও লাফালাফি করবে
- খাবার গ্রহণ করতে চাইবে না
- লেজ বারবার নাড়াবে
- ঘন ঘন প্রস্রাব করবে
- দুধের উৎপাদন কমে যাবে
- প্রসাবের পথ লালচে ও ফোলা ভাব ধারণ করবে
গাভী হিটে আসলে এ কর্মকান্ড গুলো দেখা যায়। তবে কোন কোন গাভী প্রচুর পরিমাণে ডাকাডাকি নাও করতে পারে। তবে অন্য গরুকে মাউন্ট করার চেষ্টা করবে। অন্য গরু যদি পাশাপাশি না থাকে সে ক্ষেত্রে গাভীর অস্থিরতা ও লাফালাফি দেখে পারবেন গাভী হিটে এসেছে। আশা করি গাভী হিটে আসার লক্ষণ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
গরুর বীজ চেনার উপায়
আপনি গরুর বীজ দেখলেই সহজে বুঝতে পারবেন গরুর সেই বীজ ভালো কিনা। কেননা গরুর অরিজিনাল বীজ গরুকে না দিলে গরু সেই বীজ গ্রহণ করে না। সঠিক ও ভালো বীজ গরুকে না দিলে পুনরায় বারবার গরুকে বীজ দিতে হয়। তাই গরুকে বীজ দেওয়ার পূর্বে সঠিক বীজ চিনে গরুকে বীজ দিন। নিচে গরুর বীজ চেনার উপায় দেওয়া হলঃ
- বীজের গুণগতমান পরীক্ষা করুন
- বীজের রং হালকা সাদা অথবা ধূসর হবে
- বীজ স্বচ্ছ আকারের হবে
- মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে স্প্যাম ক্রাউন্ট করুন
- বীজে কোন দাগ ও অমিশ্রণ আছে কিনা পরীক্ষা করুন
- প্যাকেটের গায়ে সঠিক তথ্য যাচাই করুন
- বীজের ব্যান্ড যাচাই করুন
- সঠিক তাপমাত্রায় বীজ সংরক্ষণ করা হয়েছে কিনা যাচাই করুন
উপরের এই নিয়মগুলো বীজের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করে আপনি খুব সহজেই গরুর বীজ চিনতে পারবেন। আপনি এই বিষয়গুলো যাচাই করে খুব সহজেই গাভীর ভালো বীজ চেনে বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন।
গাভী বীজ না রাখার কারণ
বিভিন্ন সমস্যা হলে গাভী বীজে রাখেনা। একাধিকবার বীজ দেওয়ার পরেও গাভি বীজ গ্রহণ করে না। এ সমস্যায় অনেক ব্যক্তিরাই ভোগেন। যাদের গাভীর এরকম সমস্যা রয়েছে তারা গাভীকে বীজ দেওয়ার পর করণীয় নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। এতে আশা করি গাভী বীজ গ্রহণ করবে। গাভী বীজ না রাখার কারণ একাধিক বিভিন্ন কারণে গাভী বীজ রাখে না। গাভীকে বারবার বীজ দেওয়ার পর গ্রহণ না করার কারো নিচে দেওয়া হলঃ
- হিট সঠিকভাবে চিহ্নিত না করা
- বীজের গুণগত মান কম হলে
- গাভীর পুষ্টি জনিত অভাব
- গাভীর শরীরে হরমোনের ঘাটতি
- নোংরা ও জীবাণুযুক্ত স্থানে গাভীকে রাখলে
- গাভীর প্রজ*নন অঙ্গে সংক্রমণ অথবা সমস্যা থাকলে
- বীজ দেওয়ার সময় ভুল হলে
- বীজ দেওয়ার পর শর্করা ও পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়ালে
- পরিবেশগত প্রভাবের কারণে
- গাভীর শরীরের ওজন অতিরিক্ত হলে
উপরে দেওয়া এ কারণগুলোর মধ্যে একাধিক কারণে গাভী বীজ গ্রহণ করে না। তাই আপনি গাভী বীজ গ্রহণ না করলে এই কারণগুলো এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বীজ দেওয়ার পর করণীয় নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। এতে আশা করি সঠিক ফলাফল পাবেন।
গরু হিটে আসার কত ঘন্টা পর বীজ দিতে হয়
অনেক ব্যক্তিরাই গরু হিটে আসার সাথে সাথে অথবা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বীজ দেন। গরু হিটে আসার সাথে সাথে অথবা অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বীজ দিলে গাভী সেই বীজ গ্রহণ করে না। কেননা গাভী হিটে আসলে কমপক্ষে ৫-৬ ঘন্টা উত্তেজিত থাকে। এমন সময় গাভীর প্রসাবের পথ দিয়ে সাদা তরল পদার্থ বের হয়।
এই সময় যদি আপনি গাভীকে বীজ দেন এক্ষেত্রে গাভী বীজ গ্রহণ করবে না। তরল পদার্থের সাথে গাভীর বীজ বাইরে বেরিয়ে আসবে। তাই গরু হিটে আসলে সঠিক সময় পর বীজ দিতে হয়। গরু হিটে আসার ১২-১৮ ঘন্টা পর বীজ দেওয়া সবচাইতে উপযুক্ত সময়। এই সময় বীজ দিলে গাভী বীজ গ্রহণ করার সম্ভাবনা ৯৯%।
গাভী হিটে আসার পর রক্ত আসলে করণীয় কি
গাভী হিটে আসার পর রক্ত আসলে বুঝতে হবে গাভীর হিট পার হয়ে গিয়েছে। গাভী হিটে আসার পর রক্ত আসা স্বাভাবিক। গাভী হিটে আসার পর রক্ত আসলে পুনরায় গাভী হিটে আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এমন সময় আপনি গাভীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে পারেন। তাহলে গাভী দ্রুত হিটে আসবে। গাভীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে দ্রুত পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গরুর বীজের দাম
গরুর বীজের দাম সাধারণত নির্ধারিত হয় গরুর জাতের উপর। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার বীজের দাম বিভিন্ন রকম। এরমধ্যে সিমেন্টাল, হলিস্টাইন, জার্সি, ব্রাহমা, শাহীওয়াল, জাতের বীজের দাম ভিন্ন ভিন্ন রকম। এছাড়া গুণগতমান এবং উৎপাদক কোম্পানির উপর ভিত্তি করে গরুর বীজের দাম নির্ধারিত হয়। এলাকা অনুযায়ী বীজের সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য বীজের দাম কম বেশি হতে পারে। সর্বনিম্ন জাতের গরুর বীজের দাম ৫০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ভালো জাতের গরুর বীজের দাম ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হয়।
গাভী বাচ্চা দেওয়ার কত দিন পর হিটে আসে
গাভী বাচ্চা দেওয়ার কতদিন পর হিটে আসে তা নির্ধারিত হয় গাভীর জাতের ওপর। বিভিন্ন জাতের গাভী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হিটে আসে। কোন গাভী বাচ্চা দেওয়ার ৯০ দিন পর হিটে আসে। আবার কোন গাভী ৩০- ৩৫ দিন পর হিটে আসে। তবে স্বাভাবিকভাবে অধিকাংশ গাভীর ক্ষেত্রেই ৪৫-৭৫ দিন পর হিটে আসা দেখা যায়।
গাভীর প্রজনন সমস্যা
অধিকাংশ গাভীর প্রজ*নন সমস্যা দেখা যায়। এই প্রজ*নন সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। এরমধ্যে হরমোনের অসামঞ্জস্য গর্ভধারণের জন্য হতে পারে। প্রজ*নন অঙ্গের ইনফে*কশন হলে গাভীর প্র*জনন সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য গাভীর প্রজ*নন সমস্যা হয়।
লেখকের মন্তব্য
গাভী হিটে আসার লক্ষণ, গরুর বীজ চেনার উপায় ও গাভী সম্পর্কে প্রত্যেকটি বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে প্রত্যেকটি খামারিরা উপকৃত হবেন। গাভী পালন করার জন্য সঠিক নিয়ম অনুসরণ করুন সেক্ষেত্রে আপনি প্রতিবছর গাভীর সুস্থ বাচ্চা পাবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
এরকম ইনফরমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ক্যাটাগরি গুলো ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url