ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম- ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি

আপনারা অনেকে ব্রয়লান মুরগির ফ্রার্ম করতে চান, কিন্তু জানেন না ব্রয়লান মুরগির বাচ্চার দাম কত বা ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি পদ্ধতি সম্পর্কে। তাইতো আপনারা যারা ব্রয়লান মুরগির বাচ্চার দাম বা ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন কারণ, এখানে আমরা ব্রয়লান মুরগির বাচ্চার দাম ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে সুন্দর ভাবে আলোচনা করবো, তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রয়লান মুরগির বাচ্চার দাম সম্পর্কে !!

অনেকে হয়তো ভাবছেন ব্রয়লার মুরগির ফ্রার্ম করবেন, এর জন্য ব্রয়লার মুরগি সম্পর্কে অনেকে জানতে চাচ্ছেন, কারণ ব্রয়লার মুরগির ফ্রার্ম করতে হলে ব্রয়লার মুরগি সম্পর্কে অনেক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তা না হলে আপনি লোকসানের সম্মুখীন হতে পারেন কারণ, ব্রয়লার মুরগি প্রতিনিয়ত বাজার উঠানামা করে। ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম প্রতিনিয়ত উঠানামা করে, এর জন্য আপনাকে সঠিক সময় সঠিক জাত নির্বাচন করে,

সঠিক দামে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কিনতে হবে, এছাড়া আপনি যদি প্রকৃত খামারি হয়ে থাকেন। তাহলে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে, তাহলে আপনার ফার্মের ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা আপনি নিজেই উৎপাদন করতে পারবেন, এতে করে আপনার টাকা খরচ অনেকটা কম হবে, কারণ ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম আমাদের দেশে অনেক বেশি থাকে এর জন্য যদি আপনি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি নিজের খামারের বাচ্চা নিজেই উঠাতে পারবেন। 

আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি বা ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম উঠানামা করে এর জন্য সব সময় ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম একই থাকে না। যার কারনে আমাদের দেশে খামারিরা অনেক সময় লোকসানের সম্মখীন হয়, এর জন্য আমাদের জেনে থাকা উচিত যে, স্বাভাবিক অবস্থায় ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত হওয়া উচিত, সেটা যদি না জানা থাকে তাহলে অনেক সময় ব্রয়লার মুরগির বাচ্চাকে নিয়ে লচের সম্মুখীন হতে হয় তাইতো আমরা জানবো ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত

 

তবে এই দাম সময় ভেদে উঠানামা করতে পারে, কারণ অনেক সময় উৎপাদন সক্ষমতা খাদ্য চিকিৎসা উপর নির্ভর করে ব্রয়লার  বাচ্চার দাম নির্ধারণ করা হয়। 

১। খুব ছোট বাচ্চা কিনা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ খুব ছোট বাচ্চা অনেক সময় দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, এতে করে আপনার বাচ্চার গ্রোথ অনেকটা কমে যাবে এর জন্য ছোট বাচ্চাকে  কেনা উচিত নয়।

 

২। বাচ্চার বয়স কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ দিন হাওয়া উত্তম, এ সকল বাচ্চা অনেকটা স্বাস্থ্যবান এবং রোগ মুক্ত হয়ে থাকে, এতে করে আপনি এই বয়সের বাচ্চা কিনে অনেকটা লাভবান হতে পারবেন।

 

৩। বাচ্চা কেনার সময় দেখে নিতে হবে যে বাচ্চার শ্বাস  প্রশ্বাসের সমস্যা আছে কিনা কারণ অনেক সময় বাচ্চার অসুস্থতার কারণে শ্বাস প্রশ্বাসের নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

 

৪। বাচ্চার পা সোজা হতে হবে এতে করে আপনার বাচ্চা চলাফেরা এবং গ্রোথ অনেকটা ভালো হবে।

৫। বাচ্চা কেনার সময় বাচ্চার শরীরের সুগঠিত গঠন দেখে কিনতে হবে কারণ গঠনের উপর নির্ভর করে বাচ্চা বড় হবে।

 

৬। বাচ্চা কেনার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টিকা দেওয়া আছে কিনা সেটা জেনে নিতে হবে কারণ টিকা দেওয়া না, থাকলে বাচ্চার অনেক সময় নানান ধরনের অসুখ হতে পারে এর জন্য সব সময় টিকা দেওয়া বাচ্চা কিনতে হবে।

 

৬। বিশ্বস্ত লোকের কাছ থেকে বাচ্চা কিনতে হবে তা না হলে আপনি বাচ্চা কিনে অনেক সময় লোকসানের সম্মুখীন হতে পারেন, কারণ বিশ্বস্ত লোক ছাড়া অনেক সময় আপনাকে খারাপ বাচ্চা দিতে পারে। 

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম একাক সময় একাক হয়ে থাকে, আর এর ব্রয়লার বাচ্চার দাম ওঠানামার কিছু কারণ আমরা আজকে তুলে ধরবো তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

 

১। বাজারে যখন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পায় তখন ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম অনেক সময় বেড়ে যেতে পারে।

২। উৎপাদন খরচ যখন বেড়ে যায় তখন ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে যায় বিশেষ করে যখন খাবারের দাম কিংবা ওষুধের দাম বেড়ে যায় তখন আপনার ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে যায় ।

আমাদের দেশে অনেকে ব্রয়লার মুরগির ফ্রার্ম করে থাকে, কিন্তু ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করা সম্পর্কে কোন জ্ঞান থাকে না, ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কিনে পালন করতে হয়। কারন আমাদের দেশে সাধারণত দেশি মুরগি পালন করা হয়, কারণ দেশি মুরগি তার পেটের নিচে তা দিয়ে ১০ থেকে ১২ টা বাচ্চা উৎপাদন করে, আমাদের গ্রামাঞ্চলে সকলে জানে যে এ ভাবে মুরগির বাচ্চা তোলানো হয়, কিন্তু আসলে তা নয় ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা মেশিনের সাহায্যে একসাথে হাজার হাজার বাচ্চা ফোটানো হয় আর বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দিয়ে আমাদের বিভিন্ন খামারির কাছে বিক্রি করা হয় তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উঠানোর পদ্ধতি ।

প্রথমে আপনাকে একটি বিদ্যুৎ চালিত ইলেকট্রনি ইনকিউবেটর কিনতে হবে, তারপর এর ভেতরে আপনাকে ব্রয়লার মুরগির ডিম দিতে হবে, তারপরে সেখানে মেশিনের মাধ্যমে তাপ দিতে হবে, এভাবে কিছুদিন চলার পর ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন, হবে তারপর সে বাচ্চাগুলোকে ভালোভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে দিয়ে সেগুলো লালন পালন করতে হবে। 

বর্তমানে আমাদের দেশে আমিশের চাহিদা পূরণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ব্রয়লার মুরগি, এর জন্য আমাদের দেশে ব্রয়লার মুরগির খামারের চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, কারণ ব্রয়লার মুরগি পালন করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। এর জন্য আমাদের অনেকে জানার আগ্রহী থাকে যে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা কোথায় পাওয়া যায় আমাদের দেশে প্রায় জায়গাতেই ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। কারন আমাদের দেশে প্রতিটা গ্রামাঞ্চলে ব্রয়লার মুরগির খামার আছে যার কারনে বাচ্চার প্রয়োজন পড়ে এর জন্য আমাদের দেশে এখন প্রতিটি জায়গাতে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার উৎপাদনের ফ্যাক্টরি তৈরি হয়ে গেছে। 

ব্রয়লার মুরগি অনেক সময় অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা এর জন্য ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা পালন করতে হলে আপনাকে অনেকধরনের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে চলুন আমরা জানবো সে নিয়ম নীতি সম্পর্কে।

 

১। বাচ্চা উৎপাদনের পরে তিন দিন আপনাকে জীবানু নাশক প্রয়োগ করতে হবে তারপরে বাচ্চা সেখানে রাখতে হবে ।

২। হ্যাচারীর তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে যাতে করে বাচ্চার অতিরিক্ত তাপ বা কম তাপের কারণে নষ্ট হয়ে না যায়। 

৩। বাচ্চাগুলো ওঠার পর শুকনো এবং নির্দিষ্ট জায়গায় বাচ্চাগুলোকে রাখতে হবে এবং সঠিক পরিমাণে খাবার দিতে হবে।

৪। বাচ্চার সঠিক মাপে সঠিক সময় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে, তা না হলে বাচ্চা অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে।

 

৫। লাইট যুক্ত করতে হবে যাতে বাচ্চার ঠান্ডা না লাগে, এবং বাচ্চাগুলোকে যেখানে রাখতে হবে সেখানে খেয়াল রাখতে হবে যেন, বাহিরে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। 

আপনারা যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লেন আশা করি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে, অনেকে ব্রয়লার মুরগি পালন করার আগ্রহী থাকে তো এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, এবং ব্রয়লার মুরগী সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন ধন্যবাদ !!