d rise 40000 কেন খায়, খাওয়ার নিয়ম, এর কাজ, উপকারিতা

রোগীদের বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসকেরা ডি রাইজ 40000 খাওয়ার পরামর্শ দেন রোগীরা খেয়ে নেন। কিন্তু d rise 40000 কেন খায় সে সম্পর্কে জানেন না। এই ওষুধের উপকারিতা গুলো কি তা অধিকাংশই রোগীরা জানেন না। অনেকেই খোঁজাখুঁজি করেন এই ওষুধের বিস্তারিত সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটিতে cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম ডি রাইজ 40000 এটির উপকারিতা, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, দাম, সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
d rise 40000 কেন খায় - cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম
d rise 40000 মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধ। শরীরে যখন ভিটামিনের প্রচুর পরিমাণে ঘাটতে দেখা দেয় চিকিৎসকেরা তখন এই ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেন। ডি রাইজ 40000 সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ d rise 40000 কেন খায় - cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম

d rise 40000 এর কাজ কি

d rise 40000 মূলত একটি ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট। এটি ভিটামিন ডি এর সকল চাহিদা পূরণ করেন। যে ব্যক্তির শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে চিকিৎসকেরা সেই ব্যক্তিদের ডি রাইজ 40000 সেবন করার পরামর্শ দেন। ডি রাইজ 40000 ক্যাপসুল ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের শোষন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। d rise 40000 ক্যাপসুলটির প্রধান কাজ হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখা। d rise 40000 কেন খায়, d rise 40000 এর কাজ কি নিচে তার পয়েন্ট আকার দেওয়া হলোঃ
  • d rise 40000 হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখে
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • পেশীকে দুর্বলতা দূর করে
  • পেশীকে শক্তিশালী করে
  • ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে
d rise 40000 এই ঔষধটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটি ঔষধ। এই ওষুধ সেবনের সময় অবশ্যই সাবধানতা ও সঠিক নিয়মে সেবন করা উচিত। উপরে d rise 40000 এর কাজ কি তা সঠিকভাবে তুলে ধরেছি।

d rise 40000 কেন খায়

রোগীরা d rise 40000 ক্যাপসুল সেবন করেন কিন্তু d rise 40000 কেন খায় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। অনেকেই এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাও করেন। এই ওষুধটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল। এই ঔষধে রয়েছে 40000 IU (International unit) ৪০০০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আসলে এই ক্যাপসুল কতটা ক্ষমতা সম্পূর্ণ। নিচে d rise 40000 কেন খায়, d rise 40000 খাওয়ার উপকারিতা গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলোঃ
  • ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে
  • দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • পেশীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
  • ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করে
  • রিকেটস প্রতিরোধ করে
  • ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে
  • হাড়ের ব্যথা দুর্বলতা দূর করে
  • হরমোনের অভাবজনিত সমস্যা দূর করে
  • ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত মানসিক সমস্যা দূর করে
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করেঃ d rise 40000 কেন খায় এর কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা। এই ক্যাপসুল টির প্রধান কাজ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা। বিভিন্ন ব্যক্তি রয়েছে যাদের শরীরে কেমন সূর্যের আলো পড়েনা। 

দীর্ঘদিন স্যাঁতশ্বেতে অথবা ছায়ায় থাকার কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয়। এরপর শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। তখন চিকিৎসকেরা ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য ডি রাইজ 40000 ক্যাপসুল সেবন করার পরামর্শ দেন।

দাঁত ও হাড় মজবুত রাখেঃ ডি রাইজ 40000 মূলত ভিটামিন ডি ৩ সাপ্লিমেন্ট। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যাদের হাড় অত্যন্ত দুর্বল, হাড়ের মধ্যে ব্যথা করে, চাবাই, কামড়ায়, প্রচন্ড ব্যথা ও যন্ত্রণা করে তাদের জন্য d rise 40000 ক্যাপসুল অত্যন্ত উপকারী। এই ক্যাপসুলটি শরীরের ক্যালসিয়ামের শোষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ফলে হার ও দাঁত মজবুত হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ d rise 40000 এই ক্যাপসুল সেবন করার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। শরীরের বিভিন্ন কোষগুলোতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, জীবাণু আক্রমণ করলে সেগুলো প্রতিরোধ করে। যাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ জনিত সমস্যা রয়েছে এই সমস্যা দূর হয়। এই ক্যাপসুলটি শরীরের এন্টি মাইক্রোবিয়াল প্রোটিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পেশীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করেঃ যাদের পেশী অত্যন্ত দুর্বল, তারা d rise 40000 সেবন করলে পেশী সঠিক সংকোচন ও শিথিল করনে এই ক্যাপসুল সাহায্য করে। পেশীর গঠন শক্তির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে শরীরে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার ফলে দ্রুত পেশি মজবুত ও শক্তিশালী হয়। দুর্বল পেশি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ফলে পেশির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
d rise 40000 কেন খায় - cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম
ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করেঃ d rise 40000 কেন খায় তার মধ্যে একটি কারণ হলো ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করা। d rise 40000 ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো শরীরের ক্যালসিয়ামের শোষণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শরীরের ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম সমতা ঠিক রাখে। ফলে শরীর দীর্ঘদিন সুস্থ থাকে।

রিকেটস প্রতিরোধ করেঃ শিশুদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে রিকেটস রোগ হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট রোগ প্রতিরোধ করতে d rise 40000 অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রিকেট সাধারণত হাড়ের একটি রোগ। ভিটামিন ডি এর অভাব হলে শিশুদের শরীরের হাড় বাঁকা হয়ে যায়। d rise 40000 ক্যাপসুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যায় শিশুদের হাড় শক্তিশালী মজবুত, ও হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করেঃ d rise 40000 ক্যাপসুলে থাকা ভিটামিন ডি শরীরের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন ডি ইনফ্লামেশন কমিয়ে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রোটিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

হাড়ের ব্যথা দুর্বলতা দূর করেঃ হাড়ে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে হাড়ের মধ্যে ব্যথা ও যন্ত্রণায় অনুভব হয়। এছাড়া হাড় হয় হলে হাড়ের ব্যথা হয়। d rise 40000 ক্যাপসুল ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে হাড়ের গঠন মজবুত করে হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এভাবে ধীরে ধীরে দুর্বল হাড়ের ব্যথা ও দুর্বলতা দূর হয়।

হরমোনের অভাবজনিত সমস্যা দূর করেঃ শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে শরীরে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণ হয় হলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে হার দুর্বল হয়ে যায়। কিন্তু d rise 40000 সেবন করলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ সঠিক রাখে। এভাবে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করে হরমোনের অভাবজনিত সমস্যা দূর করে।

ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত মানসিক সমস্যা দূর করেঃ d rise 40000 ক্যাপসুলে থাকা ভিটামিন ডি মানসিক সমস্যা দূর করে। ভিটামিন ডি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক থাকে হলে মানসিক সমস্যা গুলো দূর হয়।

প্রিয় পাঠক উপরে d rise 40000 কেন খায়, d rise 40000 এর উপকারিতা গুলো তুলে ধরেছি। এই ক্যাপসুলটি শরীরের কি কি ঘাটতি পূরণ করে। শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী আশা করি বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম

d rise 40000 চিকিৎসকের পরামর্শে অনেকেই সেবন করেন, কিন্তু এর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। আপনার রোগের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকেরা এই ক্যাপসুল খাওয়ার সঠিক পরামর্শ দেন। cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের ক্ষেত্রে
ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি হলে প্রতি সপ্তাহে ২০০০০ আই ইউ ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সেবন করুন
ভিটামিন ডি৩ ঘাটতি প্রতিরোধ করতে ২০০০০ আই ইউ প্রতি ৬ সপ্তাহে সেবন করুন

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে
ভিটামিন ডি৩ ঘাটতি পূরণ করতে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০০০আই ইউ ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত
ভিটামিন ডি৩ ঘাটতি প্রতিরোধ করতে ২০০০০ আই ইউ প্রতি ৪ সপ্তাহে সেবন করুন।

উপরে cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে তুলে ধরেছি। ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। কেননা একজন চিকিৎসক আপনার রোগের অবস্থা সম্পর্কে জেনে ঔষধের সঠিক ডোজ সেবন করার পরামর্শ দেবেন। আপনি কখনোই একাকী এই ঔষধ সেবন করবেন না।

d rise 40000 এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

cap d rise 40000 এর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সাধারণত প্রত্যেকটি ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গুলো সুসহনীয়। তবে এর ডোজ বয়স অনুপাতে অতিরিক্ত হলে সে ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমনঃ বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ঘুরানো, অরুচিভাব, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, বহুমূত্র, পিপাসা বৃদ্ধি পাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা, অবসন্নতা দেখা দিতে পারে। তবে ভিটামিন ডি রাইজ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই সঠিক মাত্রা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আশা করি তাহলে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো এড়িয়ে চলতে পারবেন।

d rise 40000 price in bangladesh

ক্যাপসুল d rise 40000 এর একটি বক্সে একপাতা ওষুধ রয়েছে। এক পাতায় মোট দশটি ক্যাপসুল থাকে। প্রতি পিচ ক্যাপসুল এর দাম বাংলাদেশি প্রাইজ ৩৫ টাকা। ১০টি ক্যাপসুল এর মোট দাম ৩৫০টাকা। আপনি এই দামে d rise 40000 ক্যাপসুল বাংলাদেশের যে কোন ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

d rise 40000 কিসের ঔষধ

ডি রাইজ 40000 মূলত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট। শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে চিকিৎসকেরা ডি রাইজ 40000 ক্যাপসুল সেবন করার পরামর্শ দেন। এই ওষুধের একাধিক গুনাগুন রয়েছে। উপরে ডি রাইজ ৪০০০ ক্যাপসুলের উপকারিতা, কিসের ঔষধ, কোন রোগগুলো নিরাময় হয় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়েছি। আপনি সেই বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটিতে d rise 40000 কেন খায়, cap d rise 40000 খাওয়ার নিয়ম নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরেছি। এছাড়া ডি রাইজ 40000 সম্পর্কে প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছি। আশা করি বিষয়গুলো জেনে উপকৃত হবেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। নিয়মিত এরকম আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন। 

চিকিৎসা সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে চিকিৎসা ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪