নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা
নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি অধিকাংশ ব্যক্তি রায় জানেন না। নেটওয়ার্ক
আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকটি কাজকে, প্রত্যেকটি মুহূর্তকে সহজ করে তুলেছেন।
বিশেষ করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা সবচাইতে বেশি। যেকোনো ডেটা আদান
প্রদান করতে নেটওয়ার্কগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের আর্টিকেলটিতে
নেটওয়ার্ক সম্পর্কে প্রত্যেকটি তথ্য, নেটওয়ার্কের সুবিধা, ব্যবহার, কাজ
সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
নেটওয়ার্ক আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে। দৈনন্দিন কাজকর্ম
গুলো হাতের নাগালে এনেছেন যা আমরা খুব সহজে ঘরে বসে করতে পারি। এটি সম্ভব হয়েছে
শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। পূর্বে যখন নেটওয়ার্ক ছিল না তখন কোন বার্তা
পাঠাতে সপ্তাহ বা মাসেরও বেশি সময় লাগতো। কিন্তু বর্তমানে মুহূর্তের মধ্যেই
তথ্য, বার্তা আগাম প্রদান করা যায়। নেটওয়ার্ক কি, নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা
কি, কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো
আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো একাধিক কম্পিউটার অথবা একাধিক ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ
স্থাপনকারী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাই কোন ডিভাইস থেকে অথবা কোন কম্পিউটার থেকে অন্য
কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ধরনের ডাটা, সফটওয়্যার, আদান
প্রদান করার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে তথ্য আদান-প্রদান করা।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইমেইল, চ্যাট, ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগকে
সহজ করে তুলেছেন। যা পূর্বে মানুষের মাধ্যমে চিঠি পাঠায়ে এই কাজ গুলোকে পরিচালনা
করা হতো। কেন্দ্রীয় ডেটা ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের তথ্য আদান-প্রদান করতে
সহজ থেকে সহজতার হয়েছে। দূরবর্তী কোনো তথ্য, আদান প্রদান, নিয়ন্ত্রণ ও
পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে খুব সহজেই।
নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি
বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা অনেক যা
বলে শেষ করার মত নয়। নেটওয়ার্কের সুবিধা আমরা ঘরে বসে ভোগ করছি। নেটওয়ার্ক
সেবা পাওয়ার পূর্বে যা কখনোই আমরা পাইনি। নেটওয়ার্ক সেবাগুলো এমনই যা মানুষের
কাজ গুলোকে সবচাইতে সহজ করেছে। আপনি একটু ভেবে দেখুন আপনার কোন প্রিয়জন দূরে
কোথাও থাকলে সাথে মুহূর্তের মধ্যে কথা বলতে পারছেন। যেকোনো তথ্য আদান প্রদান করতে
পারছেন।
কিন্তু এখন থেকে কিছু বছর পূর্বে যখন নেটওয়ার্কের প্রচলন ছিল না। তখন আপনার
প্রিয়জনের সাথে এরকম ভাবে কি কথা বলতে পারতেন। নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি এ
সম্পর্কে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন। নিচে নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি তা পয়েন্ট
আকারে আলোচনা করা হলোঃ
- ডেটা আদান প্রদান
- ত্রুটিহীন কাজ
- ডেটা শেয়ারিং
- ডেটা সংরক্ষণ
- যোগাযোগের সুবিধা
- দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ
- নিরাপত্তার সুবিধা
- কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ
- বিক্রয় ও গ্রাহকদের সেবা উন্নয়ন
- নিখুঁত পর্যবেক্ষণ
ডেটা আদান প্রদানঃ নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি তার মধ্যে একটি হলো
ডেটা আদান-প্রদান। ডেটা আদান প্রদান করার জন্য নেটওয়ার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা পৌঁছানোর জন্য ব্যবস্থার ব্যবহার করা হয়। এ
নেটওয়ার্ক সংযোগের কারণেই ডেটা সহজে ট্রান্সফার করা যায়। নেটওয়ার্ক একটি সংযোগ
স্থল তৈরি করেছে যা ডেটা আদান প্রদান করতে সাহায্য করে।
ত্রুটিহীন কাজঃ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ত্রুটিহীন কাজ সফল হয়েছে। মানুষের
মাধ্যমে যে কাজ করলে ভুল ভ্রান্তি হতো তা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করায় সেই ভুল
গুলো এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কোন ব্যক্তি যখন নিজের হাতে কোন কাজ করে তখন সেটি ভুল
হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করা কাজ গুলো কখনোই
ভুল হয় না।
ডেটা শেয়ারিংঃ নেটওয়ার্কের ফলে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডাটা
শেয়ার করা যায়। নেটওয়ার্ক ছাড়া কখনোই ডেটা শেয়ার করা যেত না। একটি কম্পিউটার
থেকে অন্য কম্পিউটারে, একটি মোবাইল ফোন থেকে অন্য মোবাইল ফোনে, একটি ডিভাইস থেকে
ডিভাইসে একই সংযোগে যুক্ত করেছে নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একটি ডিভাইস
থেকে অন্য ডিভাইসে এটা আদান প্রদান করা যাচ্ছে।
ডেটা সংরক্ষণঃ আমরা এই নেটওয়ার্ক এই ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন
ডিভাইস গুলো কি কাজে লাগে ডেটা সংরক্ষণ করতে পারছি। যা পূর্বে কখনো সম্ভব হয়নি।
নেটওয়ার্ক আবিষ্কারের পরেই দ্রুত কোন ডেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা
যায়।
যোগাযোগের সুবিধাঃ নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি তার মধ্যে একটি হলো
যোগাযোগের সুবিধা। আপনি মুহুর্তের মধ্যেই পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের
কোন বন্ধু অথবা স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন। হাতে থাকা মোবাইল ফোনের
মাধ্যমেই ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলছেন, ভিডিও কনফারেন্সিং করছেন। এটা কিভাবে সম্ভব
হচ্ছে একমাত্র নেটওয়ার্কের ফলেই নেটওয়ার্ক আপনার এই ডেটা মুহূর্তের মধ্যেই আদান
প্রদান করছে।
দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণঃ নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ঘরে বসে যে কোন কিছু
নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনি আপনার ডিভাইসের মাধ্যমেই আপনার সকল কার্যক্রম গুলো
পরিচালনা করতে পারছেন। অফিসে না গিয়েই অফিসের স্টাফদের তালিকা গুলো মুহূর্তের
মধ্যেই সংরক্ষিত করতে পারছেন যা শুধুমাত্র নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
নিরাপত্তার সুবিধাঃ আমরা প্রয়োজনীয় কোন ডকুমেন্ট পূর্বে কাগজপত্রের
মাধ্যমে নিজের বাসা বাসভবনে রাখতাম। পূর্বে এগুলোর নিরাপত্তার অভাব ছিল। কিন্তু
বর্তমানে আবিষ্কারের পর এই ডকুমেন্ট গুলো ইন্টারনেটের সার্ভারে আপলোড করে রাখা
যায়। ফলে এই তথ্যগুলো চুরি হওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
দীর্ঘদিন বছরের পর বছর তথ্যনগুলো সংরক্ষণ করা যায়।
কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণঃ কোন এক স্থান থেকে বসে নেটওয়ার্ক কানেকশন এর
মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কম্পিউটার ডিভাইসের মাধ্যমে একই স্থান
থেকে পুরো পৃথিবীর ডিভাইস গুলো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা
যায় যা একমাত্র নেটওয়ার্ক সংযোগ করেছে।
বিক্রয় ও গ্রাহকদের সেবা উন্নয়নঃ নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মাধ্যমে ব্যবসার
বিক্রয় ও সেবা উন্নয়ন করা সহজ হয়েছে। আপনি শুধুমাত্র আপনার ব্যবসা নিজের
এলাকায় করতে পারতেন। কিন্তু এখন নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মাধ্যমে পুরো দেশে, পুরো
বিশ্বে আপনার ব্যবসার বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারছেন। এর ফলে আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি
গ্রাহকেরা এ সেবা কখন করতে পারছে। যা একমাত্র সম্ভব হয়েছে নেটওয়ার্ক কানেকশন এর
মাধ্যমে।
নিখুঁত পর্যবেক্ষণঃ নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি কাজের,
প্রত্যেকটি বিষয়ের, প্রত্যেকটি তথ্যের নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে। আপনি
কোন কাজে কোন কর্মী নিয়োগ করেছেন সে কাজ করছে কিনা সকল বিস্তারিত তথ্য আপনি ঘরে
বসেই দেখতে পাচ্ছেন। যা একমাত্র নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।
প্রিয় পাঠক উপরে নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি সে সম্পর্কে পয়েন্ট আকারে
আলোচনা করেছি। এর চাইতে আরো অনেক বেশি নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধার
রয়েছে যা বলে শেষ করার মত নয়।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা
নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি? বিশেষ করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা
অনেক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রত্যেকটি কাজ সহজ থেকে সহজতর হয়েছে।
কম্পিউটারের মাধ্যমে বর্তমানে এমন কোন কাজ নেই যা করা যাচ্ছে না। চিকিৎসা
ক্ষেত্রে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। নিচে
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলোঃ
- ডেটা আদান-প্রদান
- ডেটা সংরক্ষণ
- ডেটা নিয়ন্ত্রণ
- তথ্য শেয়ারিং
- তথ্য ব্যবহারের সুবিধা
- দূরবর্তী অ্যাক্সেস সুবিধা
- আর্থিক ব্যয় কম
- দ্রুত যোগাযোগ
- একাধিক ডিভাইসে সংযোগ
- কাজের সুবিধা
- ই লার্নিং
- ই কমার্স
- ব্যবসায়িক উন্নয়ন
- প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন
- মাল্টিমিডিয়া শেয়ারিং
উল্লেখিত ক্ষেত্রগুলোতে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সবচাইতে বেশি সুবিধা রয়েছে। এই
সুবিধাগুলোর কারণে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কম্পিউটার
নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা আমাদের জীবনে অপরিসীম যা বলে শেষ করার মত নয়। আমাদের
ব্যক্তিগত জীবনকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সহজ করে তুলেছে যা পূর্বে সহজ ছিল না।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি ঘরে বসেই কম্পিউটার
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রত্যেকটি কাজ করতে পারছেন। যা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।
ব্যাংকের লেনদেন থেকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
ব্যবহার করা হচ্ছে। আপনি ঘরে বসেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই বাজারে
কেনাকাটা করতে পারছেন।
সেই পণ্য আপনার ঘরে এসে বিক্রেতারা পৌঁছে দিচ্ছে। যা একমাত্র কম্পিউটার
নেটওয়ার্কের সুবিধার ফলেই সম্ভব হয়েছে। নিমিষে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও
প্রান্তে যেকোনো তথ্য আদান প্রদান করতে পারছেন শুধুমাত্র কম্পিউটার নেটওয়ার্কের
ফলে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এনেছে অগণিত
পরিবর্তন।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার
প্রত্যেকটি কর্ম ক্ষেত্রেই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহার হচ্ছে। কয়েক বছর
পূর্বেই এরকম কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহার ছিল না। কিন্তু হুট করে কয়েক বছর
ধরে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য শেয়ার করতে, একে
অপরের সাথে যোগাযোগ করতে, তথ্য সংরক্ষণ করতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর ব্যবহার
প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যবসায়িক ও অফিস কার্যক্রম গুলোতে কম্পিউটার
নেটওয়ার্কের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান, ইমেইল, ডকুমেন্ট, এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে
খুব সহজে শেয়ার করা যায়। আপনি ঘরে বসে দেশের বাইরের যেকোনো ব্যবসায়ীর সাথে ডিল
করতে পারছেন কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সুবিধা। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে
শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই স্কুল কলেজের যে কোন ক্লাস করতে পারছে। শিক্ষকেরা ডিজিটাল
লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ফলে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইন
ব্যবসা গুলো পরিচালনা করা হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। আপনি যে সেবা
গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিক্রেতা অথবা সেবা প্রধান কারি প্রতিষ্ঠান গুলো সেই সেবা
গুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনাকে প্রদান করছে।
নেটওয়ার্ক কি ও কত প্রকার
নেটওয়ার্ক মূলত একটি ডিভাইসের সাথে অন্য একটি ডিভাইসের সংযোগ স্থাপনকারী
ব্যবস্থা। কোন ডিভাইসের সাথে কোন ডিভাইসের যোগসূত্র করার মাধ্যমিক হচ্ছে
নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন ধরনের ডাটা আদান-প্রদানকরা নেটওয়ার্কের প্রধান কাজ।
নেটওয়ার্কের কাজ ভিত্তিক কয়েকটি প্রকার রয়েছে। নিচে নেটওয়ার্কের সবচাইতে
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলোঃ
- লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN)
- ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN)
- স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক (SAN)
- পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN)
- ক্লাইন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক (CSN)
- ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (VPN)
- ওয়াইড এরিয়ার নেটওয়ার্ক (WAN)
- মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)
- পিয়ার টু পিআর নেটওয়ার্ক (P2P)
উপরের প্রত্যেকটি নেটওয়ার্কের ভিন্ন ভিন্ন প্রকার। কাজের ধরন অনুযায়ী এ
নেটওয়ার্ক গুলো ভিন্ন ভিন্ন নাম করেন করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্ক গুলো বিভিন্ন
প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী এই নেটওয়ার্ক গুলো
বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়।
নেটওয়ার্ক এর কাজ কি
নেটওয়ার্কের কাজ মূলত পৃথিবীর সকল ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। নেটওয়ার্ক
পুরো পৃথিবীতে জালের মত বিস্তার করে আছে। এই নেটওয়ার্ক কানেকশন এর মাধ্যমে আপনি
আপনার ডিভাইসটি দিয়ে প্রধান সার্ভারের সাথে যুক্ত হতে পারছেন। প্রধান সার্ভার
থেকে আপনি যে কোন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন।
যেকোনো তথ্য শেয়ার করতে পারছেন। যেকোনো তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছেন।
নেটওয়ার্কের প্রধান কাজ হল এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস অথবা পৃথিবীর প্রত্যেকটি
ডিভাইসের সাথে আরেকটি ডিভাইসের সংযোগ স্থাপন করা।
নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে
নেটওয়ার্ক বিভিন্ন ডিভাইসের সমন্বয়ে একটি তৈরি সংযোগ মাধ্যম। বিভিন্ন ডিভাইসের
রিসোর্স শেয়ার করে নেটওয়ার্কের সিস্টেম। নেটওয়ার্কের বিভিন্ন প্রটোকল যেটা
আদান প্রদান করেন। নেটওয়ার্কের বিভিন্ন প্রটোকল বিভিন্ন ধাপে কাজ করে। এটি এক
ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস সংযোগ স্থাপন করে। বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে কেবল যুক্ত,
অথবা তারবিহীন সংযোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক কাজ করে। তার হীন নেটওয়ার্ক গুলোর
মধ্যে ব্লুটুথ সংযোগ রাউটার, এডাপটার, অন্যতম।
লেখকের মন্তব্য
নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কি, কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে
পুরো আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নেটওয়ার্ক সম্পর্কিত প্রত্যেকটি
তথ্যের সঠিক উত্তর শেয়ার করেছি। আশা করি তথ্যগুলো জেনে আপনারাও উপকৃত হবেন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
নিয়মিত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
অন্যান্য তথ্য সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের তথ্য ও প্রযুক্তি
ক্যাটাগরি ঘুরে আসুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url