গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম - গীতার কয়টি নাম জানুন
এছাড়াও আরো জানতে পারবেন গীতার গুহ্য নাম ও গীতার অধ্যায়ের নাম এবং গীতার শ্লোক কয়টি সে সম্পর্কে। পাশাপাশি গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ম্য ও গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ আলোচনা করা হবে। যারা গীতার কয়টি নাম ও গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেরি না করে গীতার কয়টি নাম ও গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত পোস্টটি শুরু করি।
সূচিপত্র: গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম - গীতার কয়টি নাম জানুন
- গীতার কয়টি নাম
- গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম
- গীতার অধ্যায়ের নাম গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ম্য
- গীতার শ্লোক কয়টি - গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ
- শেষকথাঃগীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম - গীতার কয়টি নাম জানুন
গীতার কয়টি নাম - গীতার গুহ্য নাম জানুন
গীতাকে গীতোপনিষদ বলা হয়। অর্থাৎ গীতা বৈদান্তিক সাহিত্যের অন্তর্গত। এটি একটি স্বতন্ত্র ধর্মগ্রন্থ যা পৃথক শাস্ত্রের মর্যাদার অধিকারী। "উপনিষদ্" নামের ধর্মগ্রন্থ গুলো শ্রুতি শাস্ত্রের অন্তর্গত হলেও মহাভারতের অংশ বলে গীতা স্মৃতি শাস্ত্রের অন্তর্গত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে গীতা হলো ভগমান স্বরুপ। তাই গীতা কে বলে শ্রীভগবান। এখন অনেকেই গীতা কে জানলেও গীতার কয়টি নাম বা গীতার গুহ্য নাম সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা নেই বললেই চলে।
যারা সনাতন ধর্মাবলম্বী রয়েছে তাদের কে গীতার কয়টি নাম বা গীতার গুহ্য নাম সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। কেননা আপনি যদি গীতার কয়টি নাম বা গীতার গুহ্য নাম গুলো জেনে না রাখেন নানা কাজে সমস্যায় পরতে পারেন। তো যারা গীতার কয়টি নাম তা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য এই পাঠটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই গীতার কয়টি নাম ও গীতার গুহ্য নাম সম্পর্কে বিস্তারিত।
আরো পড়ুনঃ ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত
গীতার নাম বা গুহ্য নাম হলো ১৮ টি। এসব নাম গুলে প্রতিদিন একবার হলেও স্মরণে রাখা উচিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। গীতার ১৮ টি নাম গুলো হলোঃ
- ১.গঙ্গা
- ২.গীতা
- ৩.সাবিত্রী
- ৪.সীতা
- ৫.সত্যা
- ৬.পতিব্রতা
- ৭.ব্রহ্মবিদ্যা
- ৮.ব্রহ্মাবলী
- ৯.ত্রিসন্ধ্যা
- ১০.মুক্তিগেহিনী
- ১১.অর্ধমাত্রা
- ১২.চিতানন্দা
- ১৩.ভবগ্নী
- ১৪.ভ্রান্তিনাশিনী
- ১৫.বেদত্রয়ী
- ১৬.পরানন্দা
- ১৭.তত্ত্বার্থ ও
- ১৮.জ্ঞানমঞ্জুরী।
গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম - গীতার অধ্যায়ের নাম জানুন
- ১ম অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে রয়েছে অর্জুন বিষাদ যোগকল। এখানে ৪৬টি শ্লোকের মাধ্যমে অর্জুনের মনঃস্থিথি আলোচনা করা হয়েছে।
- ২য় অধ্যায়ঃ সাংখ্য যোগ হলো গীতার ২য় অধ্যায়। এই অধ্যায়ে ৭২ টি শ্লোক রয়েছে। এই অধ্যায় টি হলো গীতার বাস্তব সারাংশ।
- ৩য় অধ্যায়ঃ এখানে ৪৩ টি শ্লোক রয়েছে এঝানে কর্মযোগের বর্ণনা করা হয়েছে।
- ৪র্থ অধ্যায়ঃ এই অধ্যায়ে জ্ঞান কর্ম সন্ন্যাস যোগ সম্পর্কে বর্ণনা দেওয়া রয়েছে। এখানে ৪২ টি শ্লোক রয়েছে।
- ৫ম অধ্যায়ঃ কর্ম সন্ন্যাস হলো গীতার ৫ম অধ্যায়ের বিষয়বস্তু। এখানে ২৯ টি শ্লোক রয়েছে।
- ৬ষ্ঠ অধ্যায়ঃ গীতার ষষ্ঠ অধ্যায় হলো আত্মসংযম যোগ। এতে ৪৭ টি শ্লোক বর্ণনা করা হয়েছে।
- ৭ম অধ্যায়ঃ জ্ঞান বিজ্ঞান এর যোগ হলো ৭ম অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। এতে ৩০ টি শ্লোক রয়েছে।
- ৮ম অধ্যায়ঃ গীতার এই অধ্যায় এর বিষয়বস্ত হলো অক্ষরব্রহ্ম যোগ। এখানে ২৮ টি শ্লোক রয়েছে।
- ৯ম অধ্যায়ঃ রাজবিদ্যারাজগুহ্য এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এতে ৩৪ টও শ্লোক রয়েছে।
- ১০ম অধ্যায়ঃ বিভূতি যোগ হলো দশম অধ্যায় এর বিষয়বস্তু যেখানে ৪২ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১১ অধ্যায়ঃ বিশ্বস্বরুপদর্শন যোগ এখানে বর্ণনা করা হয়েছে ও এতে ৫৫ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১২ অধ্যায়ঃ এটি হলো ভক্তিযোগের অধ্যায় যেখানে ২০ টি শ্লোক আছে।
- ১৩ অধ্যায়ঃ ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ বিভাগ গীতার ত্রয়োদশ অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। এখানে ৩৫ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১৪ অধ্যায়ঃ এটি হলো গণত্রয় বিভাগ যেখানে ২৭ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১৫ অধ্যায়ঃ পুরুষোত্তম বিভাগ হলো গীতার পঞ্চদশ অধ্যায় এর আলোচ্য বিষয়। এতে ২০ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১৬ অধ্যায়ঃ গীতার ষোড়শ অধ্যায় এর আলোচ্য বিষয় হলো দৈবাসুরসংপদ্বিভাগ। এতে ২৪ টি শ্লোক রয়েছে।
- ১৭ অধ্যায়ঃ এটি হলো শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগ যেখানে ২৮ টি শ্লোক আছে।
- ১৮ অধ্যায়ঃ মোক্ষ-সন্ন্যাস যোগ হলো গীতার শেষ অধ্যায়। এতে ৭৮ টি শ্লোক রয়েছে।
গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ম্য -গীতার কয়টি নাম জানুন
আরো পড়ুনঃ কোন মেয়েকে প্রেমে ফেলার উপায়
- গঙ্গা: গঙ্গায় ডুবলে ব্যক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে বলে প্রথমে এর নাম।
- গীতা: গীতা পাঠ করলে তার পাপ গুলো না হয়ে যায়।
- সাবিত্রী: তিনি এতটাই সতী ছিল যিনি তার মৃত স্বামীর জীবন ফিরে এনেছে।
- সীতা: মাতা সীতা এতটা পবিত্র ছিল যার কারণে রাবণ অনেক করে তার বিনষ্ট করতে পারে নাই।
- সত্ত্বা: সত্ত্বা হলো আত্মার প্রতিচ্ছবি। আত্মা যেমন অমর গীতাও তেমন অমর।
- পতিব্রতা: পতিব্রতা বলতে ভগবানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা বুঝিয়েছে।
- ব্রহ্মাবলী: ব্রহ্মশক্তি বলতে যে শক্তি কোনো বিবাশ নাই।
- ব্রহ্মবিদ্যা: এটিকে ব্রহ্মাবলীর অনুরূপ বলা হয়ে থাকে।
- ত্রিসন্ধ্যা: ত্রিসন্ধ্যা হলো ৩ টি কাল তথা ইহকাল ও বর্তমান কাল ও পরকাল এর সমষ্টি।
- মুক্তিগেহিনী: একমাত্র গীতা পাঠ করলেই মুক্তি পাওয়া যায়।
- অর্ধম্ত্রা: গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন গীতার অর্ধেক যার কারণে এটি এসেছে।
- চিতানন্দা: চিৎ জগতের আনন্দ কে বোঝানো হয়।
- ভবগ্নী: অগ্নির মতো গীতায় পারে পাপ কে দূর করতে।
- ভ্রান্তিনাশিনী: যেসব জিনিসে আমড়া বিভ্রান্ত হয় তার থেকে বিভ্রান্ত বাশ করতে গীতায় পারে।
- বেদত্রয়ী: ত্রি বেদের সহযোগ গঠিত শক্তি কে বেদত্রই বলে।
- পরনন্দা: অন্যের দোষ না দেখে ভালো দিক দেখা।
- তথাস্তু জ্ঞান মুঞ্জুরী: গীতা হলো পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানের আধার যার কারণে একে জ্ঞানমুঞ্জুরী বলে।
গীতার শ্লোক কয়টি - গীতার শ্লোক বাংলা অর্থ সহ জানুন
গীতার ১৮ অধ্যায়ের নাম - গীতার কয়টি নাম: শেষকথা -গীতার নাম জানুন
আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর সব দেশের নাম ইংরেজিতে
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url