শিশুদের জ্বর কমানোর 12 টি ঘরোয়া উপায়
প্রযুক্তির এই যুগে ঝড় একটি সামান্য আসুক ফলে বাসা বাড়িতে শিশুদের জ্বর
কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করা যায় কিন্তু এরপরে অনেকে শিশুর জ্বর
কমানো ঘরোয়া উপায় জানেনা তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি !!
এই আর্টিকেলে আমরা জানবো শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় শিশুর জ্বর ১০২
১০১ ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয় কি শিশু জ্বর ও বমি হলে করণীয় কি শিশুর জ্বর
হলে কি খাবার খাবে শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি প্রভৃতি কিছু বিষয় নিয়ে
আলোচনা করব তো যারা শিশুর জ্বর নিয়ে জানতে চাচ্ছেন এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য
তো চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর জ্বর কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় !!
সূচিপত্র: শিশুদের জ্বর কমানোর 12 টি ঘরোয়া উপায় আলোচনা
শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি
পরিবারের বাচ্চাদের জ্বর হয় কিন্তু জ্বরের তাপমাত্রা যখন অনেক বেড়ে যায় তখন
কি করবে অনেকে বুঝতে পারে না এবং ঘাবড়ে যায় তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি
আজকের এই আর্টিকেলটি শিশুর জ্বর হলে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব প্রথমে
থার্মোমিটার হাতের কাছে রাখবেন এবং নিয়মিত জর মাপতে হবে প্রতি আধা ঘন্টা থেকে
এক ঘন্টা পর পর ঘুমের মধ্যে জ্বর মাপবেন কারণ অনেক বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকার মধ্যে
ঝড় বেরিয়ে যেতে পারে !!
জ্বর ১০০ ডিগ্রী উঠে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়াবেন এবং স্বাভাবিক
তাপমাত্রায় পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে মাথা থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত
মুছে দিবেন এবং জ্বর ১০২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বগল এবং কুঁচকি বরাবর মুছে দিতে হবে যতক্ষণ
তাপমাত্রা 103 104 থেকে 101 100 ডিগ্রি না নামে ততক্ষণ পানি ঢালতে
হবে খিচুনির সম্ভাবনা যাতে বেরিয়ে না যায় এর জন্য চেষ্টা করতে হবে যেন
তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায় তাই মাথা এবং ঘাড়ের পিছনে যত খুন তাপমাত্রা না কমে
ততক্ষণ পানি পট্টি দিতে হবে এবং তাপমাত্রা কমে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে
হবে !!
খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে সময় খাওয়ার রুচি থাকে না তাই অল্প খাবারের বেশি
শক্তি পাবে এমন খাবার দিতে হবে যেমন শরবত ডাবের পানি ফলের রস দুধ ডিম ইত্যাদি
সর্বোপরি চেষ্টা করতে হবে এবং উপরে আলোচনায় শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর
আওতাভুক্ত শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি তা আলোচনা করা হলো !!
শিশুর জ্বর ১০২ ,১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয় কি
আমাদের শিশুদের জ্বর ১০০ ডিগ্রী বা তার বেশি হলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি
এবং আমরা মনে করি শিশুর জ্বর ১০২ ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে করণীয় কি বা কি করা
যায় এই প্রশ্ন সবার মাঝে হয় তাই আজ আমরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চলেছি চলুন
জেনে নেওয়া যাক শিশুর জ্বর ওদিক হলে করণীয় কি
প্রথমে জ্বর ১০০ ডিগ্রী উঠে গেলে প্যারাসিটামল জাতীয় সিরাপ খাওয়াবেন এবং
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পানি দিয়ে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে শিশুর মাথা থেকে পা
পর্যন্ত মুছে দিবেন এবং জ্বর ১০২ ডিগ্রী বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে
হবে। এবং তাপমাত্রা কমলে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে
হবে !!
শিশুর জ্বর ১০২ ১০১ ও ১০০ ডিগ্রি হলে বাড়িতে তৈরি তরল জাতীয় পানি ও
পানির বেশি পারেন খাওয়াবেন এবং অন্যান্য খাওয়া হওয়ার স্বাভাবিক রাখতে হবে
এবং খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে এ সময় খাবারের রুচি থাকে না তাই অল্প
খাবারই বেশি শক্তি পাবে এমন জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে শিশুর গোটা শরীর হালকা
কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে শিশুর মাথা গলা বগল কখনো গরম হতে দেয়া
যাবে না এক মিনিট পরপর ভেজা কাপুর সিপে নিয়ে ওইসব জায়গায় রাখবেন সর্বোপরি
উপরে আলোচনায় বলা হয়েছে আপনি আপনার শিশু জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে বলা
হয়েছে !!
শিশুর জ্বর হলে কি খাবার খাবে
শিশুদের জ্বর হলে কি খাবার খাবে বা কি খাওয়ার খাওয়াবে তা নিয়ে দেখা দেয়
নানা সংকট তাই শিশুদের জ্বর হলে যে সকল খাবার গ্রহণ করতে হবে তা নিম্ন আলোচনা
করা হলো শিশুদের জ্বর হলে স্বাভাবিক তারা অল্প খাবার খায় এবং এই অল্প খাবারের
মধ্যে যাতে প্রোটিন ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে এদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে
এর জন্য শিশুদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে বিভিন্ন
ফলের রস তৈরি করে খাওয়াতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে
!!
আরো পড়ুনঃ গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করার উপায়
শরবত ডাবের পানি ফলের রস দুধ ডিম এসব জাতীয় খাবার শিশুদের জ্বর হলে বেশি
পরিমাণ খাওয়াতে হবে কারণ এসব জাতীয় খাবারের প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে যা
শিশুদের জ্বর ভালো করতে ভূমিকা পালন করে অতএব উপরের আলোচনায় বলেছি শিশুদের
জ্বর হলে কি খাবার খাওয়াবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং সে যে জ্বর কমানোর
ঘরোয়া উপায় সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে ফলে পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন
!!
শিশুদের জ্বর বা বমি হলে করণীয়
আমরা অধিকাংশ মানুষ শিশুদের জ্বর বা বমি হলে কি করতে হবে তা জানি না তাই
শিশুদের জ্বর বা বমি হলে কি করতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো শিশুদের জ্বর বা
বমি হলে তবে থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে নিতে হবে এবং জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রী হয়
তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ বা সিরাপ খাওয়াতে হবে এবং স্বাভাবিক
তাপমাত্রায় পাতলা কাপড় ভিজিয়ে শিশুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত মুছে দিতে হবে এবং
জ্বর ১০২ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ
গ্রহণ করতে হবে !!
বগলবা কুচকি বরাবর মুছে দিতে হবে যতক্ষণ জ্বর ১০৩ বা ১০২ থেকে ১০০ ডিগ্রী
পর্যন্ত না নামে ততক্ষণ মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং মাথায় পানি পট্টি দিতে হবে
এবং খিচুনির রাতে বেড়ে না যায় সেজন্য চেষ্টা করতে হবে যাতে তাপমাত্রা কমিয়ে
আনা যায় যতক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা না কমে ততক্ষণ পানি ঢালতে হবে !!
শিশুর বমি হলে তার মুখ থেকে বমি বের করে দিতে হবে এবং আপনার শিশুকে সাথে সাথে
এক কাজ করে রাখতে হবে বমির সময় আপনার শিশুকে কোন খাবার খেতে দেওয়া যাবে না
এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে সর্বোপরি আমরা উপরে
আলোচনা করেছি শিশুর জ্বর বা বমি হলে কি করণীয় তাই আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে
পারেন যে শিশুর জ্বর হলে কি করণীয় !!
পেঁয়াজ, আদা, সরিষার তেল ,এবং রসুন এর চিকিৎসা
পেঁয়াজ দিয়ে চিকিৎসা
বাচ্চাদের জ্বরের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার গুলিতে পেঁয়াজ একটি সাধারন এবং
বহুমুখী উপাদান এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং জর্জনিত কারণে
শরীরের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় কেবল একটি পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কাটুন এবং
দুই থেকে তিন টুকরো পেঁয়াজ দুই থেকে তিন মিনিট আপনার শিশুর পায়ের তলায় ঘোষণ
দিনে সর্বোচ্চ দুইবার এটি করুন তাহলে আপনার শিশুর তাপমাত্রা অনেকটা কমে আসবে
!!
আদা স্নান
হালকা গরম জলে দুই টুকরা আধা মিশিয়ে এই জল দিয়ে আপনার শিশুকে স্রান করাতে
পারেন এই জল আপনার শিশুকে পাঁচ মিনিটের একটি গোসল করান আদা ঘাম সৃষ্টি করতে
সাহায্য করে যা দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এটি শিশুর ভাইরাস জ্বরের এক
অন্যতম কার্যকরী ঘোরোয়া প্রতিকার !!
সরিষার তেল এবং রসুন মালিশ
সরিষার তেল এবং রসুন মিশ্রণ করে তা একটু গরম করে আপনার শিশুকে মালিশ করুন বিশেষ
করে বুক পিঠ ঘাড় হাতের তালু ইত্যাদিতে মালিশ করুন তাহলে দেখবেন আপনার
শিশুর জ্বর অনেকটা কমে আসবে এ সরিষার তেল এবং রসুন মালিশ সবচেয়ে ঘরোয়া
চিকিৎসার মধ্যে ভালো উপাদান শিশুদের জন্য !!
শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি
শিশুর জ্বর না কমলে কি করনীয় তা নিয়ে আমরা উদ্বেগ হয়ে পড়ি আর এই সমস্যা দূর
করার জন্য আজকে এই পোস্টটি নিয়ে আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি তো চলুন দেরি না
করে জেনে নেওয়া যাক শিশুর জ্বর না কমলে কি করনীয় !!
প্রথমে থার্মোমিটার দিয়ে মাঝে মাঝে শিশুর জ্বর মাপতে হবে এবং বগল কুঁচকি বরাবর
মুছে দিতে হবে যতক্ষণ তাপমাত্রা ১০২ ১০৩ থেকে নেমে ১০০ ডিগ্রি পর্যন্ত না নামে
ততক্ষণ মাথায় পানি ঢালতে হবে খিচুনি যাতে না উঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং
শিশু যতক্ষণ তাপমাত্রা না কমে ততক্ষণ পানি পট্টি দিতে হবে এবং তাপমাত্রা কমে
গেলে তার নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন
করতে হবে এবং সাধারণত শিশুদের জ্বর আসলে খাওয়ার পরিমাণ অনেকটা কমে যায় এর
জন্য প্রোটিনযুক্ত খাওয়ার বেশি করে খাওয়াতে হবে এজন্য পানি খাওয়ার স্যালাইন
ডাবের পানি ফলের রস দুধ মধু বেশি করে খাওয়াতে হবে অতএব উপরের আলোচনায় বলতে
পারি যে শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি তা জানাতে সক্ষম হয়েছি তাই আপনার শিশুর
জ্বর না কমলে এই নিয়মগুলো মানতে পারেন !!
শেষ কথা= শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়ের ক্ষেত্রে শিশুর জ্বর শিশুর জ্বর ১০২ ডিগ্রি
১০১ ডিগ্রী ও ১০০ ডিগ্রী হলে করণীয় কি শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি শিশুর বমি হলে
করণীয় কি শিশুর জ্বর না কমলে করণীয় কি শিশুর বমি হলে করণীয় কি তা সুন্দরভাবে
তুলে ধরা হয়েছে সুতরাং আশা করি এই আলোচনা থেকে শিশুর জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়
জানাতে সক্ষম হয়েছি এবং এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে এই পোস্টটি যদি
আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন আরো কিছু জানার থাকলে তা
কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং শিশুর জ্বর নিয়ে জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি
ভালোভাবে পড়ুন !!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url