বেশি কান্না করলে কি হয় - বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হতে পারে

আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে চান? এই পোস্টে বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে পোস্টটি পড়ুন। 

তাহলে বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।এছাড়াও আরো জানতে কান্না কি ও কান্নার অপকারিতা এবং কান্না করলে মাথা ব্যথা করে কেন তা সম্পর্কে। পাশাপাশি ছোট বাচ্চার কান্না থামানোর উপায় ও বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় তার ধারণা পাবেন। যারা বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা সহ অন্যান্য বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন শুর করি বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সহ অন্য সব বিষয়ের পোস্টটি। 

সূচিপত্র: বেশি কান্না করলে কি হয় - বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হতে পারে

কান্না কি - কান্নার অপকারিতা

"কান্না" এই শব্দটির সাথে আমরা প্রতিনিয়তই পরিচিত হয়। কান্না নামক কথাটি দ্বারা একটি দুঃখ জনক কোনো কিছু কে বোঝায়। আমাদের সাথে যখন কোনো অতি দুঃখজনক ঘটনা ঘটে এবং এইটা যখন আমরা সহ্য করতে পারি না তখন আমাদের ভেতর থেকে কান্না চলে আসে। আবার অনেকে কোনো সুখ পেয়েও কান্না করে। আমরা সবাই কান্নার সাথে পরিচিত হলেও অধিকাংশ মানুষই কান্না কি বা এর আসল বিষয়টি সম্পর্কে জানে না। কান্নার অপকারিতা কি সে সম্পর্কেও সবার তেমন একটা ধারণা নেই। এই পাঠে আমরা কান্না কি ও কান্নার অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন প্রথমেই জেনে নিই কান্না কি সে সম্পর্কে। 

কান্না এক প্রকারের সিক্রেটমোটর ফেনোমেনন। এটি এক ধরনের জটিল প্রক্রিয়া। যেটি চোখের ল্যাক্রিমাল আকারে চোখের ভেতর থেকে পানি আকারে বেড়িয়ে আসে। আমাদের দেহের মস্তিষ্কের সাথে ল্যাক্রিমাল গ্লান্ডের অন্তঃ যোগাযোগ আছে যার ফলে যখন মস্তিষ্কে আবেগ প্রবণ মুহূর্ত তৈরি হয়, তখন ল্যাক্রিমাল গ্লান্ডে আঘাত করে। এর থেকে আমাদের কান্না চলে আসে। কান্না আসে তখনই যখন আমাদের কষ্ট বা আবেগ সয়তে পারি না। এর ফলে চোখ থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। এতে আমাদের মন হালকা হয়। ফলে আমাদের কিছুটা স্বস্তি অনুভব হয়। আমাদের মধ্যে যে কান্না আসে। সেগুলো মূলত তিন ধরনের। যথাঃ মৌলিক, প্রতিবিম্ব ও আবেগীয় কান্না। 

কান্নার কিছু অপকারিতা রয়েছে। তবে বড়দের কান্না আর ছোটদের কান্নার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বড়রা সাধারণত অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ বা কষ্ট থেকে কান্না করে। আর ছোট শিশুরা যখন কোনো কষ্ট বা ক্ষুধা অনুভব করে তখন তারা এই কান্নার মাধ্যমে সে বিষয়ে মা বাবাকে জানানোর চেষ্টা করে। তবে যারা অতিরিক্ত কান্না করে তাদের জন্য এটি পরবর্তীতে হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। 

এটি তাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া যে শিশুরা সবসময় কান্না করে সেটি মোটেও তাদের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এই বিষয়ে। আশা করি আপনারা এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া বেশি কান্না করলে কি হয় ও বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা জানতে পরবর্তী প্যারা গুলো অনুসরণ করুন। 

বেশি কান্না করলে কি হয় - কান্না করলে মাথা ব্যথা করে কেন

কান্না নামটি শুনলেই আমাদের মনে একটা কষ্ট বা আবেগ প্রবণ এর কথা মনে আসে। কান্না করলে তেমন একটা ক্ষতি হয় না। তবে বেশি কান্না করলে কিন্তু সে ব্যাপারটি মোটেই সুবিধার নয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা বেশি কান্না করে। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে জানে না বেশি কান্না করলে কি সে সম্পর্কে। তাদের কে অবশ্যই জেনে রাখা উচিত বেশি কান্না করলে কি হয় তা সম্পর্কে। এছাড়া অনেকের কান্না করলে মাথা ব্যথা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কান্না করলে মাথা ব্যথা করে কেন সে সম্পর্কে। এই পাঠে আমরা বেশি কান্না করলে কি হয় ও কান্না করলে মাথা ব্যথা করে কেন তা জানবো। চলুন জেনে নিই বেশি কান্না করলে কি হয় তা সম্পর্কে। 

কান্না আমাদের মনকে ভারি হতে নরম করে। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে শতকরা ৮৫ ভাগ নারী ও ৭৩ ভাগ পুরুষ কান্নার পর স্বস্তি পায়। তবে যারা বেশি কান্না করে তার ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। অতিরিক্ত কান্না থেকে আমাদের মস্তিষ্কে এফেক্ট আসতে পারে। এর ফলে আমাদের ব্রেইনের কার্যক্রম অনেকট দূর্বল হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক কাজে বাধা চলে আসে। আর যেসব শিশুরা অতিরিক্ত কান্না করে তারা বড় হয়ে বদমেজাজি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি কান্না শিশুর বৃক্ক রস গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে শিশু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, যেটি মোটেও তার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। 

এছাড়া বেশি কান্না শরীরের ওপর হুমকি ফেলে। এমনকি তার স্বাভাবিক বিকাশকেও ব্যাহত করে ফেলে। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বেশি কান্না করলে কি হয় তা সম্পর্কে। বেশি কান্না করলে কি হয় এই প্রশ্নের আরেকটা উত্তর হলো এর থেকে মাথা ব্যথা করে। বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, কান্না মস্তিষ্কে উদ্বেগের সৃষ্টি করে। কান্নার ফলে দেহে করটিসলের মতো হরমোন নিঃসরণ হয়, যার ফলে মস্তিস্কে নিউরোট্রান্সমিটার কে উদ্দীপিত করে। কান্না থেকে মাথা ব্যথা করে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এই বিষয়ে ও বেশি কান্না করলে কি হয় স সম্পর্কে। এছাড়া বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা জানতে নিচের অংশটি পড়ুন। 

বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয়

আমরা যেহেতু চোখ দিয়েই কান্না করি তাই আমাদের সবার জেনে রাখা উচিত যে বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। আমরা অনেকে অতিরিক্ত কান্না করি কিন্তু এটা জানি না যে বেশি কান্না করলে কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নিই বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা সম্পর্কে। 
সাধারণত যারা বেশি কান্না করে একটানা, তাদের চোখ সাধারণত লাল হয়ে হালকা ফুলে যায়। এতে অনেক সময় চোখ ব্যথা করা শুরু হতে পারে। অনেকের এই কান্না থেকে চোখ টনটন করতে পারে। আর এ থেকেই অনেক সময় মস্তিষ্কে আঘাত যেতে পারে। তবে কান্না করলে আমাদের চোখে যে লুব্রিকেট জমে তা পরিষ্কার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত কান্না মোটেও চোখ ও মস্তিষ্কের জন্য ভালে না। ফলে এ অভ্যাস টি ছাড়া জরুরি। তো নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে। আশা করি এখন থেকে বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা নিয়ে আর সংশয় থাকবে না।

ছোট বাচ্চার কান্না থামানোর উপায় 

সাধারণত কান্না জিনিসটা ছোট বাচ্চারা প্রতিনিয়তই করে। এতে অনেক মা বাবা অতিষ্ট হয়ে পড়ে। আপবি যদি ছোট বাচ্চার কান্না থামানোর উপায় না জাবেন তাহলে এ সমস্যা আপনার লেগেই থাকবে। তাই এই পাঠে আমরা ছোট বাচ্চার কান্না থামানোর উপায় গুলে জানবো। 
  • শিশুর কান্না থামানোর জন্য আপনার একহাতের তালু তার মাথার নিচে দিন ও অন্য হাত দিয়ে মুখে ও শরীরে আদর করুন। 
  • শিশুর মুখে চুষনী দিন। এতে সে ব্যস্ত থাকবে ও কান্না থামাবে।
  • শিশুর কান্নার সময় মুখে শব্দ করুন। এতে সে অনেকটা শান্ত হয়ে যাবে।
  • বাসায় দোলনা থাকলে সেখানে শিশুকে শুইয়ে চড়ান। এতে আরাম অনুভব করবে ও কান্না থামাবে। 

বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় - বাচ্চা বেশি কান্না করলে দোয়া

বাচ্চা কান্না করলে সবারই খারাপ লাগে। যখন অতিরিক্ত কান্না করে তখন অনেকের বিরক্তি চলে আসে। তাই ইসলামে এর জন্য কিছু দোয়া রয়েছে। আপনি কি জানেন যে বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় বা বাচ্চা বেশি কান্না করলে দোয়া কোনটা পড়তে হয়? চলুন জেনে নিই বাচ্চা কান্না করলে কোন সূরা পড়তে হয় বা বাচ্চা বেশি কান্না করলে দোয়া কি সে সম্পর্কে।  
বাচ্চা কান্না করলে একবার আউজুবিল্লাহ পড়বেন। এরপরে বিসমিল্লাহ সহিত পাঠ করে একবার সূরা ফাতিহা ও ৭-১৫ বার সূরা ইখলাস পড়ে শিশুর ডান কানে ফু দিবেন ও একই নিয়মে পাঠ করে আবার বা কানে ফু দিবেন। ইন শা আল্লাহ কান্না থেমে যাবে আল্লাহ'র দোয়ায়। নিশ্চয়ই বাচ্চা বেশি কান্না করলে দোয়া কি তা জেনেছেন।  আশা করি আজকের পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 188

শেষ কথাঃবেশি কান্না করলে কি হয় - বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হতে পারে

এই আর্টিকেলটি মূলত কান্না নিয়ে বেশি কান্না করলে কি হয় বেশি কান্না করলে কি ক্ষতি হতে পারে আপনারা যারা অতিরিক্ত কান্না করেন তারা এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন কারণ এই আর্টিকেলে বেশি কান্না করলে চোখের কি ক্ষতি হয় তা নিয়ে আমরা লিখে রেখেছি এ আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আরো কিছু জানার থাকলে তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪